বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হিজাব স্টাইল গাইড:স্টাইল ও আরামের মিল
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হিজাব স্টাইল জানতে চান? ক্লাস ইভেন্ট ও মৌসুম ভিত্তিক সাজেশন জানুন এই গাইডে
স্টাইল আরাম এবং ইসলামিক মার্জিত ফ্যাশনের ধূসর সমন্বয় পেতে করুন এই পূর্ণাঙ্গ
বিশ্ববিদ্যালয় হিজাব ফ্যাশন গাইড।
পেজ সূচিপত্রঃ বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাশন হিজাব গাইড
আলোচনায় যা যা থাকছে
- বিশ্ববিদ্যালয় এর মেয়েদের হিজাব স্টাইল গাইডঃ স্টাইল ও আরামের মিল
- বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হিজাব ফ্যাশনের গুরুত্ব
- পড়াশোনার সাথে মানানসই হিজাব স্টাইল
- ক্যাম্পাস ইভেন্ট অনুষ্ঠানের জন্য হিজাব ফ্যাশন
- মৌসুমভিত্তিক হিজাব সাজেশন
- হিজাব একসেসরিজ ও ম্যাচিং আইডিয়া
- FAQ: বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাব স্টাইল নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন
- লেখকের মন্তব্য
বিশ্ববিদ্যালয় এর মেয়েদের হিজাব স্টাইল গাইডঃ স্টাইল ও আরামের মিল
বিশ্ববিদ্যা লয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব ও ফ্যাশন সচেতনতা বজায় রাখা
এখন অনেক শিক্ষার্থীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে যারা
হিজাব পড়েন, তাদের জন্য স্টাইল ও আরামের সমন্বয় করা জরুরী। ক্লাসে
লাইব্রেরীতে বা ক্যাম্পাসে ইভেন্টে-সঠিক হিজাব স্টাইল আপনাকে শুধু আত্মবিশ্বাসী
দেখাবে না, বরং সারাদিন আরামদায়ক ও রাখবে।
সঠিক ফেব্রিক নির্বাচন
হিজাবের কাপড়ের ধরনই আরাম ও স্টাইল নির্ধারণে বন ভূমিকা রাখেঃ
- কটন হিজাব--গরমের দিনে ঘাম শোষণ করে শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচল সহজ করে।
- শিফন হিজাব--হালকা ও স্টাইলিশ তবে আন্ডার ক্যাপ ব্যবহার করলে বেশি ভালো থাকে।
- জার্সি হিজাব--টানটান ও আরামদায়ক, সারাদিন মাথায় ঠিক থাকে।
- ভিসকোজ ভিজাব--নরম ও ক্যাজুয়াল লুকের জন্য উপযুক্ত।
টিপসঃ প্রতিদিনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড় বেছে নিন, যাতে
পড়াশোনা ও চলাফেরায় কোন অসস্তি না হয়।
রং ও প্রিন্টের সমন্বয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুব বেশি গ্লামার্স লুক না রেখে সরলমার্জিত রং বেছে
নিন।
- নিউট্রাল কালার--সাদা, বেই্জ ধূসর, প্যাস্টেল-যেকোনো পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায়।
- প্রিন্টেড হিজাব--সলিড রঙ্গের জামার সঙ্গে হালকা প্রিন্টেড হিজাব পরলে লুক ফ্রেশ দেখাবে।
- সৃজনাল কালার--গ্রীস্মে হালকা রং, শীতে গারো রং বেশি সুন্দর লাগে।
সহজ ও কার্যকরী হিজাব স্টাইল
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হিজাব স্টাইল হওয়া উচিত এমন, যা সহজে ঠিক করা যায় এবং
দীর্ঘসময় মাথায় ঠিক থাকে।
- লুজ র্যাপ স্টাইল--হালকা করে মোড়ানো যাতে গরম লাগে না।
- টারবাল স্টাইল--মডার্ন এবং একটিভ ক্লাস ডে-তে খুবই সুবিধা জনক।
- -পিন-ফ্রি হিজাব--সময় বাঁচায় এবং ঝামেলা কমায়
এক্সেসরিজ ব্যবহার
অতিরিক্ত ঝলমলে এক্সেসরিজ এড়িয়ে চলুন। তবে ছোট আন্ডারক্যাপ, ম্যাচিং গ্রোথ বা
হেড ব্র্যান্ড হিজাবকে সুন্দর করে তুলতে পারে।
ঘামের দিকে নজর
- ক্লাস ও লাইব্রেরীতে বসে থাকার জন্য হালকা ও স্লিপ প্রপ হিজাব বেছে নিন।
- অনেক সময় হাটাহাটি করতে হলে শ্বাস প্রশ্বাস চলাচল ভালো হয় এবং কাপড় ব্যবহার করুন।
- গরমে ডার্ক কালার এড়িয়ে চলুন, কারণ তা তাপ শোষণ করে।
মৌসুম অনুযায়ী হিজাব নির্বাচন
- গরম কালঃ কটন , ভিস্কোজ বা লিলেন ফেব্রিক, হালকা রং।
- শীতকালঃউল বা প্যাশমিনা, গারো ও উষ্ণ রং।
- বর্ষাকালঃ পলিস্টার বা সিল্ক ব্লেন্ড, জল শোষণ কম হয়।
উপসংহারঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব শুধু ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক পরিচয় এর প্রতীক নয়, এটি
এমন স্টাইল ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। সঠিক কাপড়, রং ও স্টাইল
নির্বাচন করে আপনি সহজেই আরাম ও ফ্যাশনের মধ্যে সমন্বয় রাখতে পারেন।
প্রতিদিনের জন্য সরল কিন্তু মার্জিত হিজাব স্টাইল বেছে নিলে আপনি সারাদিন
আত্মবিশ্বাসী ও স্বাচ্ছন্দ থাকবে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হিজাব ফ্যাশনের গুরুত্ব
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পড়াশোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এটি ব্যক্তিত্ব গঠনের
আত্মবিশ্বাস অর্জনের এবং সামাজিক সম্পর্ক তৈরির এক অনন্য সময়। এই সময়ে হিজাব
পরিধান অনেকের জন্য কেবল ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক দিক নয়, এবং ফ্যাশন ব্যক্তিত্ব
এবং পরিচয় ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যক্তিত্ব ও পরিচয়ের প্রতীক
হিজাব শুধু একটি পোশাক নয়, এটি একজন নারীর পরিচয় ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হিজাব আপনাকে আলাদা ও মর্যাদাপূর্ণ করে তোলে।
- এটি ধর্মীয় মূল্যবোধকে প্রকাশ করে
- আপনাকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা ব্যক্তিত্ব প্রদান করে।
- মার্জিত পোশাকের অংশ হিসেবে অন্যদের চোখে সম্মান বাড়ায়।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি
সঠিকভাবে ও স্টাইলিশ ভাবে হিজাব পরিধান আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যখন আপনি
লুক দিয়ে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন, তখন ক্লাস সেমিনার কিংবা সামাজিক
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে দ্বিধা থাকে না।
টিপসঃ নিজের মুখের আকার, পোশাকের রং এবং ব্যক্তিত্বের সঙ্গে
মানানসই হিজাব বেছে নিন।
ফ্যাশন ও আধুনিকতার সমন্বয়ে
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তরুণীরা হিজাবের মাধ্যমে সহজেই ফ্যাশন ও আধুনিকতার
সমন্বয় করতে পারে।
- সলিড ও প্রিন্টেড হিজাব মিলিয়ে করা
- মৌসুমী অনুযায়ী কাপড় বেছে নেওয়া(গরমে পটল শীতে প্যাশমিনা)
- ট্রেন্ডি কিন্তু মার্জিত স্টাইল(টারবান,লুজ র্যাপ,পিন ফ্রি)
আরাম ও ব্যবহারিক সুবিধা
বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন জীবনে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হয়। এই কারণেই হিজাব
হতে হবে এমন যা সারাদিন আরাম দেয় এবং সহজে ঠিক থাকে।
- শ্বাস প্রশ্বাসযোগ্য ফেব্রিক ব্যবহার
- স্লিপ-গ্রুপ আন্ডার ক্যাপ ব্যবহার করলে হিজাব নড়ে না।
- হাঁটাহাঁটি বা বাসে-রিক্সায় যাতায়াতের সময়ও সহজে ম্যানেজ করা যায়।
সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রভাব
হিজাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক পরিবেশে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য প্রকাশ করে। এটি
যেমন একদিকে ধর্মীয় ঐতিহ্য ধরে রাখে, অন্যদিকে আধুনিক ফ্যাশনের মাধ্যমে
তরুণীদের সামাজিক যোগাযোগ ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়।
আত্মরক্ষা ও গোপনীয়তা
হিজাব অনেক তরুণীদের কাছে আত্মরক্ষার একটি উপায়। এটি ব্যক্তিগত স্পেস ও
গোপনীয়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে, বিশেষ করে জনাকীর্ণ স্থানে।
উপসংহারঃ
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হিজাব কে বলে একটি ধর্মীয় অনুশীলন নয়, বরং ফ্যাশ্ন,
আরাম ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের এক সুন্দর মেলবন্ধন। সঠিকভাবে হিজাব বেছে
নিয়ে আপনি সহজেই স্টাইলিশ ও মার্জিত থেকে নিজের মূল্যবোধ ধরে রাখতে পারেন।
পড়াশোনার সাথে মানানসই হিজাব স্টাইল
পড়াশুনার সময়ে পোষাক এসটাইল বেছে নেওয়া শুধুমাত্র ফ্যাশনের বিষয় নয়, বরং
আরাম মনোযোগ এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেও সরাসরি সম্পর্কিত। বিশেষ করে যারা হিজাব
পরিধান করেন, তাদের জন্য সঠিক হিজাব স্টাইল নির্বাচন করা পড়াশোনার পরিবেশে
স্বাচ্ছন্দ ও মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরামদায়ক ফ্যাব্রিক নির্বাচন
পড়াশোনার সময় দীর্ঘ সময় বসে থাকা হাঁটাহাঁটি বা লাইব্রেরীতে সময় কাটানোর
জন্য হিজাবের ফেব্রিক হতে হবে হালকা ও শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য।
- কটন হিজাবঃ গরমে ঘাম শোষণ করে, ত্বকে ঠান্ডা রাখে।
- জার্সি হিজাবঃ ও স্লিপ -গ্রুপ সারাদিন জায়গায় ঠিক থাকে।
- ভিসকোজ হিজাবঃ নরম হালকা ও পড়াশোনার সময় আরামদায়।
টিপসঃ বেশি ভারী বা সিল্কি ফেব্রিক এড়িয়ে চলুন, কারণ সেগুলোতে
পড়াশোনার সময় অস্বস্তি হতে পারে।
সহজে ম্যানেজ করা যায় এমন স্টাইল
পড়াশোনার সময় হিজাব এমনভাবে বাধা উচিত যাতে বারবার ঠিক করতে না হয় এবং
মুখমন্ডল খোলা থাকে।
- পিন- ফ্রি লুজ র্যাপঃ দ্রুত পড়া যায় ঠিক রাখতে কম সময় লাগে।
- টারবান স্টাইলঃ মুখ মণ্ডল খোলা রাখে এবং লেখাপড়ায় মনোযোগ বাধা দেয় না
- আন্ডারক্যাপ স্টাইলঃ হিজাব স্লিপ করা কমায়, সারাদিন স্থির রাখে।
রঙের সঠিক নির্বাচন
পড়াশোনার সময় চোখের আরাম ও মনোযোগ ধরে রাখতে রঙ্গের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
- হালকা ও স্নিগ্ধ রংঃ প্যাস্টেল বেইজ, হালকা ধূসর মনোযোগ বাড়ায়।
- সলিড কালারঃ প্রিন্টের চেয়ে পড়াশোনার পরিবেশে বেশি উপযোগী।
- মৌসুম অনুযায়ীঃ গরমে হালকা রং, শিতে উষ্ণ রং বেছে নিন।
ক্লাস ও লাইব্রেরি-বান্ধব ডিজাইন
বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ক্লাসরুমে ও লাইব্রেরীতে হিজাব স্টাইল হতে হবে
নূন্যতম ঝামেলাপূর্ণ।
- চিবুক ও কানের চারপাশে হালকা ফিটিং রাখুন।
- অতিরিক্ত কাপড় গলাই বা কাঁধে সুন্দরভাবে ড্রেস করুন যাতে বই পড়া বা লেখার সময় বাঁধা না হয়।
- ব্যাগ বা বইয়ের সাথে কাপড় আটকে যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে সরল স্টাইল ব্যবহার করুন।
দীর্ঘ সময় পরিধানের উপযোগী
পড়াশোনার সময় সাধারণত হিজাব অনেক ঘন্টা মাথায় থাকে। তাই এমন স্টাইল বেছে নিন
যা ধার ও কাঁধে অতিরিক্ত চাপ না দেয় এবং ত্বকে জালা না করে।
- লাইক ওয়েট ফেব্রিক
- স্লিপ -গ্রুপ আন্ডারক্যাপ
- অতিরিক্ত লেয়ার কমানো
উপসংহারঃ
পড়াশোনার সাথে মানানসই হিজাব স্টাইল হল এমন একটি সমন্বয় যেখানে আরাম সরলতা ও
মার্জিত লুক একসাথে থাকে। সঠিক ফেব্রিক স্টাইল ও রং বেছে নিয়ে আপনি পড়াশোনার
সময় আত্মবিশ্বাসী ফোকাস্ড ও স্বাচ্ছন্দ রাখতে পারবেন। মনে রাখবেন হিজাব কেবল
একটি পোশাক নয়--এটি আপনার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার প্রতীক।
ক্যাম্পাস ইভেন্ট অনুষ্ঠানের জন্য হিজাব ফ্যাশন
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শুধু পড়াশোনা ও ক্লাসে সীমাবদ্ধ নয়, এখানে বিভিন্ন
ধরনের অনুষ্ঠান সাংস্কৃতিক প্রোগ্রাম ডিবেট কম্পিটিশন ফ্রেসারস নাইট, কনভোকেশন
পহেলা বৈশাখ বা ্ট স্পোর্টস দের মত event নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। এসব
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই একটু বিশেষ লুক পছন্দ
করেন। যারা হিজাব পরিধান করেন তাদের জন্য এই ধরনের ইভেন্টে হিজাব স্টাইল হওয়া
উচিত এমন যা ফ্যাশনেবল অনুষ্ঠানের পরিবেশের সাথে মানান...
অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী হিজাব নির্বাচন
প্রতিটি ক্যাম্পাস ইভেন্টের আলাদা থিম ও পরিবেশ থাকে, তাই হিজাব ও হওয়া উচিত
সেই অনুযায়ী।
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানঃ রঙ্গিন ও প্রিন্টেড হিজাব সাথে ঐতিহ্যবাহী জামদানি কটন বা সিল্ক পোশাক
- কন ভোকেশনঃ গারো রঙ্গের সলিড হিজাব সাথে গাউন ও ফরমাল পোশাকের মিল।
- পহেলা বৈশাখঃ লাল-সাদা কম্বিনেশন এর হিজাব হালকা এমব্রয়ডারি বা ব্লক প্রিন্ট
- ডিবেট/সেমিনারঃ মার্জিত সলিড কালার সরল ড্রেপিং স্টাইল।
ফেব্রিক বাসাই
ইভেন্টে অনেক সময় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, নাচ গান বা বিভিন্ন কার্যক্রমে
অংশ নিতে হয়। তাই ফেব্রিক হতে হবে আরামদায়ক ও ইভেন্টের আবহাওয়ার সাথে
মানানসই।
- শিফন ও জর্জেটঃ হালকা ও ফ্লোই স্টাইলিশ লুকের জন্য
- প্যাশ্মিয়া বা উলঃ শীতকালীন ইভেন্টে উষ্ণতা ও সৌন্দর্যের মেলবন্ধন।
- সিল্ক বা শাটিনঃ গ্ল্যামারস লুকের জন্য সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে উপযুক্ত
রং ও ডিজাইনের সমন্বয়
ক্যাম্পাস ইভেন্টে রং বেছে নেওয়ার সময় পোশাক অনুষ্ঠানের থিম এবং নিজের
ব্যক্তিত্ব বিবেচনা করুন।
- উজ্জ্বল রংঃ হলুদ নীল লাল-উৎসবমুখর ইভেন্টের জন্য।
- নিউট্রাল টোনঃ বেইজ, ধূসর, প্যাস্টেল--ফরমাল অনুষ্ঠান বা পুরস্কার বিতরণী
- মেটালিক শেডঃ গোল্ড সিলভার--রাতের অনুষ্ঠান বা ডিনার নাইটের জন্য
হিজাব স্টাইল আইডিয়া
ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সময় হিজাবের স্টাইল হতে হবে এমন যা ছবিতে সুন্দর দেখায়
এবং সারাদিন ঠিক থাকে।
- লেয়ার্ড ড্রেপিংঃ হালকা ভলিউম যোগ করে ছবিতে ফ্রেম বান্ধব।
- টুইস্টেড ফ্রন্ট স্টাইলঃ ট্রেন্ডি ও ইউনিট
- পিন -ফ্রি মডার্ন স্টাইলঃ সময় বাঁচায় এবং আরামদায়ক।
- এক্সস রাইজড হিজাবঃ ছোট ব্রো চ মুক্ত বা বিডস দিয়ে সাজানো।
এক্সেসরিজ ও মেকাপের সমন্বয়
ইভেন্ট অংশ নেওয়ার সময় হিজাবের সাথে এক্সেসরিজ মেকাপ ও সঠিকভাবে মিলিয়ে নিতে
হবে।
- এক্সেসরিজঃ হেড পিন গ্রোথ স্টাইলিশ আন্ডারক্যাপ।
- মেকআপঃ ডে-টাইম ইভেন্টে ন্যাচারাল লুক নাইট ইভেন্টে গ্লোয়ি ও একটু গ্ল্যাম লুক।
- জুয়েলারিঃ লম্বা কানের দুল বা হালকা নেক পিস যা হিজাবের সাথে মানায়।
আরামের দিকটাও ভুলবেন না
ফ্যাশনের সাথে সাথে আরামও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ইভেন্টে অংশ নিতে গিয়ে হিজাব
বারবার ঠিক করতে হলে অস্বস্তি হয়।
- স্লিপ -গ্রুপ ব্যবহার করুন।
- হালকা ও শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড় বেছে নিন।
- অনুষ্ঠানের সময় অনুযায়ী ফেব্রিক নির্বাচন করুন।
উপসংহার
ক্যাম্পাস এভেন্টে হিজাব ফ্যাশন মানে শুধুমাত্র সুন্দরও স্টাইলিশ হওয়া নয়,
বরং নিজের ব্যক্তিত্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং আরামের সমন্বয় করা। সঠিক ফেব্রিক
রং ও স্টাইল বেছে নিলে আপনি শুধু ইভেন্টে উজ্জ্বল হবেন না বরং সারাদিন
আত্মবিশ্বাসী ও স্বাচ্ছন্দেও থাকতে পারবেন। মনে রাখবেন হিজাব আপনার সৌন্দর্যকে
বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি আপনাকে আলাদা করে পরিচিতি দেয়।
মৌসুম ভিত্তিক হিজাব সাজেশন
বাংলাদেশের আবহাওয়া মৌসুম ভেদে একেক সময় একেক রকম হয়। গরম, শী্ত,
বর্ষা--প্রতিটি মৌসুমের জন্য পোশাক এবং হিজাবের ধরন আলাদা হওয়া উচিত। কারণ
প্রতিটি মৌসুমের জলবায়ু তাপমাত্রা এবং পরিবেশ হিজাবের আরাম স্টাইল এবং
স্থায়িত্বে, সরাসরি প্রভাব ফেলে। সঠিক মৌসুমে সঠিক হিজাব বেছে নিলে
সারাদিন আরামদায়ক থাকা এবং ফ্যাশন বজায় রাখা দুটোই সম্ভব হয়।
গ্রীষ্মকালীন হিজাব সাজেশন
গ্রীস্মে তীব্র রোধ ও ঘাম জনিত অসস্তি থেকে বাঁচতে হিজাবের ফেব্রিক রং ও স্টাইল
বেছে নিতে হবে সাবধানে।
ফ্যাব্রিক সাজেশনঃ
- কটনঃ ঘাম শোষণ করে, শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য হালকা ও ঠান্ডা রাখে।
- ভিস্কোজঃ গরম এবং স্কিন ফ্রেন্ডলি সারাদিন পড়ে থাকা যায়।
- লাইট ওয়েট লিনেলঃ গরমে ঠান্ডা অনুভুতি দেয়।
স্টাইল সাজেশনঃ
- লুজ র্যাপ স্টাইলঃ বাতাস চলাচল সহজ হয়।
- পিন -ফ্রি হিজাবঃ গরম কম ঝামেলা পূর্ণ।
রংয়ের সাজেশনঃ
হালকা ও স্নিগ্ধ রং-প্যাস্টেল, সাদা হালকা গোলাপি আকাশী।
গারো রং এড়িয়ে চলা ভালো, কারণ তা তাপ শোষণ করে।
শীতকালীন হিজাব সাজেশন
শীতে উষ্ণতা স্টাইল দুটোই বজায় রাখতে হবে।
ফ্যাব্রিক সাজেশনঃ
- প্যাশমিনাঃ নরম উষ্ণ এবং স্টাইলিশ
- উল রেন্ডঃ শীতে ঠান্ডা প্রতিরোধে সেরা।
- কাশ্মীরঃ হালকা হলেও উষ্ণতা দেয়।
- স্টাইল সাজেশন
- লেয়ার্ড স্টাইলঃ ঘাড় ও কাধে উষ্ণতা দেয়
- ওভারসাইড হিজাবঃ শীতের দিনে ক্যাপের মত ব্যবহার করা যায়।
রঙ্গের সাজেশন
- গারো রং-বারগান্ডি, নেভি ব্ল, ডার্ক গ্রী্ন, মেরুন।
- মেটালিক টোন--গোল্ডেন ব্রোঞ্জ সিলভার--শীতকালীন ইভেন্টে মানায়
বর্ষাকালীন হিজাব সাজেশন
বর্ষায় বৃষ্টি ও আর্দ্রতার কারনে হিজাবের কাপড় ও স্টাইল বেছে নেওয়া কঠিন হতে
পারে।
ফ্যাব্রিক সাজেশনঃ
- কলেজ স্টার ব্লেন্ডঃ জল শোষণ কম হয়।
- সিল্ক ব্লেন্ডঃ দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং হালকা থাকে।
স্টাইল সাজেশনঃ
- টারবান স্টাইলঃ কাপড় ভিজলেও অসুবিধা হয় না।
- শর্ট র্যাপ স্টাইলঃ অতিরিক্ত কাপড় না থাকায় ভিজে গিয়ে ভারী হয় না।
রঙের সাজেশনঃ
- গারো রং--কালো নেভি ডার্ক গ্রে-জল দাগ কম দেখা যায়
- প্রিন্টেড হিজাব--পানি দাগ বাপ ভেজা অংশ ঢাকতে সহায়ক।
বসন্ত ও শরৎকালীন হিজাব সাজেশন
এই মৌসুমে আবহাওয়া থাকে মনোরম, তাই হিজাবে একসাথে আরাম্য ফ্যাশনে রঙ্গিন
ছোঁয়া নেওয়া যায়।
ফ্যাবরিক সাজেশনঃ
- শিফনঃ হালকা বাতাসে সুন্দরভাবে ড্রেপ হয়।
- ভিস কোজঃ বসন্তের জন্য আরামদায়ক ও রঙ্গিন।
স্টাইল সাজেশনঃ
- ফ্লোয়ি ড্রেপিং ঃ বসন্তের বাতাসে সুন্দর লুক দেয়।
- লেয়ার্ড লুজ স্টাইলঃ ফ্যাশনেবল কিন্তু আরামদায়ক।
রঙের সাজেশনঃ
- বসন্তে--ফ্লোরাল প্রিন্ট প্যাস্টেল শেড।
- শরতে--গোল্ডেন ব্রাউন, অলিভ গ্রিন, ডার্ক অরেঞ্জ।
উপসংহারঃ
মৌসুম অনুযায়ী হিজাব নির্বাচন শুধু আরামদায়ক থাকার জন্য নয়, বরং ফ্যাশন ও
ব্যক্তিত্ব বজায় রাখারও একটি কার্যকরী উপায়। সঠিক ফেব্রিক রং ও স্টাইল বেছে
নিলে আপনি প্রতিটি মৌসুমেই হিসাবের মাধ্যমে নিজের লুককে নতুন মাত্রা দিতে
পারবেন। মনে রাখবেন হিজাবের সৌন্দর্য তখনই ফুটে উঠে যখন তা আপনার জীবনযাত্রা ও
পরিবেশের সাথে মিল রেখে করা হয়।
হিজাব অ্যাক্সেসরিজ ও ম্যাচিং আইডিয়া
হিজাব কেবল একটি পোশাকের অংশ নয়, বরং এটি ব্যক্তিত্ব ও ফ্যাশন সচেতনতা পরিচয়
বহন করে। হিজাবকে আরো সুন্দর মার্জিত এবং স্টাইলিশ করে তুলতে
এক্সেসরিজের ভূমিকা অনেক বড়। সঠিকভাবে এক্সেসরিজ ও রঙ্গের মিল করে
মেঘ হিজাবকে একটি নতুন মাত্রা দেওয়া যায়, যা আপনার লুককে আরোও অন্যান্য করে
তোলে।
হিজাব এক্সেসরিজ এর ধরন
হিজাব পিন ও ব্রোঞ্জ
হিজাব সঠিকভাবে ধরে রাখতে এবং স্টাইল যোগ করতে পিন ও ব্রোঞ্জ অপরিহার্য।
- ডেকোরেটিভ পিনঃ মুক্ত পাথর বা ছোট্ট ফুল দিয়ে সাজানো।
- ম্যাগনেটিক পিনঃ কাপড় ছিদ্র না করেই হিজাব ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- স্টেটমেন্ট ব্রোঞ্জঃ বড় ও চোখে পড়ার মতো ডিজাইন, বিশেষ ইভেন্টে মানানসই।
আন্ডার ক্যাপ
- হিজাবের নিচে ব্যবহৃত আন্ডার ক্যাপ চুল ঠিক রাখে এবং হিজাব স্লিপ হওয়া কমায়।
- টিউব উন্ডার ক্যাপঃ লম্বা সময় পরিধানের জন্য আরামদায়ক।
- লেস আন্ডার ক্যাপঃ ফ্যাশনও আরামের সমন্বয়।
হেডব্র্যান্ড ও টারবান এক্সেসরি
টারবান স্টাইল বা লুজ হিজাবের সাথে হেডব্র্যান্ড ব্যবহার করে স্টাইল লুক পাওয়া
যায়।
ফেস চেইন ও হিজাব জুয়েলারি
বিশেষ অনুষ্ঠানে হিজাবের সাথে ছোট্ট কেইন বা ঝুলন্ত এক্সেসরি যুক্ত করলে
গ্লামার্স লুক পাওয়া যায়।
ম্যাচিং আইডিয়া
রংয়ের মিল
- মনক্রম ম্যাচিংঃ হিজাব ও এক্সেসরি জ একই রঙের টোনে রাখুন।
- কন্টাস্ট ম্যাচিংঃ পোশাক ও হিজাবের রং এর বিপরীতে একসেসরিসজ বেছে নিন যাতে লুক বেশি চোখে পড়ে।
- নিউট্রাল কম্বিনেশনঃ সাদা, বেইজ, ধূসর, এক্সেসরিজ যেকোনো রঙের হিজাবের সাথে মানায়।
পোশাকের সাথে মিল
- ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সোনালী বা রূপালী ব্রোচ
- ওয়েস্টার্ন বা ফিউশন লুকে মিনিমালিস্ট এক্সেসরিজ
ইভেন্ট অনুযায়ী ম্যাচিং
- দৈনন্দিন ক্লাস বা অফিসঃ হালকা ও মিনিমাল এক্সেসরিজ
- বিয়ে বা উৎসবঃ গ্লিটার মুক্ত ও পাথরযুক্ত পিন ব্রোচ
- ফরমাল মিটিংঃ সলিড কালারের সিম্পল ম্যাগনেটিক পিংক।
হিজাব অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহারের টিপস
এক্সেসরিজের ওজন খুব বেশি না হওয়া ভালো যাতে হিজাব নিচে নেমে না আসে
কাপড়ের ধরন অনুযায়ী পিন বা ব্রোচ বেছে নিন।(শিখনে ম্যাগনেটিক পিন ভালো, কটনে
সাধারণ পিনও চলবে)
ব্যবহার করার সময় পুরো লুক যেন অতিরিক্ত ভারী না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
মৌসুম অনুযায়ী এক্সেসরিজ নির্বাচন
- গরমকালঃ হালকা ও ছোট আকারের পিন বা ব্রোচ।
- শীতকালঃ উষ্ণতা বাড়াতে ওভারসাইড আন্ডারক্যাপ বা নরম লেয়ার্ড হেড ব্যান্ড।
- বর্ষাঃ স্টেইন লেস স্টিল বা বেস্ট -প্রুফ মেটাল পিন, যাতে ভিজলেও নষ্ট না হয়।
উপসংহারঃ
হিজাব শুধু সৌন্দর্য বাড়ায় না, বরং ব্যবহারিক দিক ক থেকেও অনেক
গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক রং ডিজাইন ও ফেব্রিকের সাথে এক্সেসরিজ মিলিয়ে মিলিয়ে আপনি
প্রতিদিন এর সাধারণ লুককেও বিশেষ করে তুলতে পারেন। মনে রাখবেন,
হিজাবের স্টাইল তখনই সম্পূর্ণ হয় যখন সেটি আপনার পোশা্ক, ব্যক্তিত্ব ও
অনুষ্ঠানের সাথে মানিয়ে যায়।
FAQ: বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাব স্টাইল নিয়ে সাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
১।
প্রশ্নঃ ২০২৬ সালে কোন হিজাব রং সবচেয়ে বেশি ট্রেন্ডে থাকবে?
উত্তরঃ প্যাস্টেল ব্লু, লাইট পিংক, ক মিন্ট গ্রিন এবং অফ- হোয়াইট
ট্রেনডে থাকবে।
২। প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার সময় হিজাব বারবার ঠিক হওয়া
কিভাবে এড়ানো যায়?
উত্তরঃ স্লিপ -গ্রুপ আন্ডারক্যাপ ব্যবহার করুন, পিন বা ম্যাগনেটিক
ক্লিপ দিয়ে হিজাব ঠিক করুন এবং এমন ফ্যাব্রিক বেছে নিন যা সহজে স্লিপ করে
না।
৩। প্রশ্ন; বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে কোন হিজাব স্টাইল বেশি
মানানসই?
উত্তরঃ ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানের জন্য লেয়ার্ড ড্রেপ, প্রিন্টেড বা
উজ্জ্বল রং এর হিজা্ব, আর অ্যাক্সেসরাইজড স্টাইল যেমন ব্রোচ বা মুক্ত যুক্ত
পিন ভালো মানায়।
৪। প্রশ্নঃ গরমের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন রঙের হিজাব বেশি আরাম দায়ক?
উত্তরঃ প্যাস্টেল ,সাদা, হালকা ধূসর ও হালকা গোলাপির রং গরমে আরামদায়ক
এবং রোদে তাপ শোষণ কম করে।
৫। প্রশ্নঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হিজাব স্টাইল বেছে নেওয়ার সময় সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি?
উত্তরঃ আরাম স্টাইল ফ্যাব্রিকের গুণমান এবং সারাদিন জায়গায় ঠিক
থাকা--এই চারটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক এর মন্তব্য
আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স -মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি এবং
পরে LEPRA Bangladesh -এ সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করেছি. কিন্তু
প্রজেক্ট শেষ হওয়ার পর জীবনে এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে হয়। সেই সময় আমি
Help Me Grow উদ্যোগ শুরু করেছিলাম, আশা করেছিলাম মানুষ সাড়া দেবে--কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যাশিত সাড়া পায়নি। তবুও আমি
থামিনি, কারণ আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি নতুন সুযোগ একটি সম্ভাবনার দরজা খুলে
দেয়।
ঠিক সেই বিশ্বাস থেকেই আমার ব্লক "Shiuly Fashion" এর জন্ম। এখানে
আমি চেষ্টা করি এমন কনটেন্ট তৈরি করতে যা শুধুমাত্র ফ্যাশনের নয়, বরং
ব্যক্তিত্ব, আরাম এবং আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটায়। আজকের এই
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিজাব স্টাইল গাইডঃ স্টাইল ও আরামের মিল" লেখাটি আমার
সেই যাত্রার অংশ, যেখানে আমি চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের স্টাইল কে বজায়
রেখে পড়াশোনায় মনোযোগী থাকতে পারে।
আমার অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছে--হিজাব কখনোই ফ্যাশনের পথে বাধা নয়, বরং
সঠিকভাবে মিলিয়ে করলে এটি আপনাকে আরো মার্জি্ত, প্রফেশনাল করে তুলতে পারে।
আশা করি, এই গাইড আপনার প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং
আপনিও নিজের স্টাইল ও স্বাচ্ছন্দের মিল খুজে পাবেন। আমার যাত্রাকে সমর্থন করতে
চাইলে অনুগ্রহ করে Help Me Grow পেজে ভিজিট করুন এবং আপনার ভালোবাসা ও
সহযোগিতা দিন।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgii7N27WN0srffUpAVzaRADgR6hX1XHXJIsJ2zKMnpG88-V7T4vM1ucditgAMDeu6wBvGo9IEab8KleZbX8Oh-PW6S5itSuNIoEnbFTzlKq65UOeKTen2969L7rXvus-un3XXb8HpK-2oEyFp2Lp_SpC8RFADHO05y1waWBUc-bz5t_XCE_19LvYxeRso/s1600/help%20me%20grow.png
আপনার সহযোগিতা আমার স্বপ্নকে
আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে-
শুভ কামনায়
শারমিন আক্তার
লেখক ও প্রতিষ্ঠাতা
Shiuly Fashion ব্লগ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url