ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল ফ্যাশনের পার্থক্যঃ নতুনদের জন্য

 


ক্যাজুয়াল এর ফর্মাল ফ্যাশন এক নয়,  এই পোস্টে জানুন ২ ধরনের ফ্যাশনের পার্থক্য কবে কোনটা পড়া উচিত এবং নতুনদের জন্য ফ্যাশন টিপস। এই লেখায় নতুনদের জন্য সহজ ভাবে তুলে ধরা হলো।

ক্যাজুয়াল-ও-ফর্মাল-ফ্যাশনের-পার্থক্যঃ-নতুনদের-জন্য

ফ্যাশন শুধু স্টাইল নয় বরং এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস পরিবেশ এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার প্রতিচ্ছবি। কিন্তু অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না ক্যাজুয়াল ফ্যাশন আর ফরমাল ফ্যাশন আসলে কি এবং কোনটা কবে করা উচিত।

পেজ সূচিপত্রঃ ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল ফ্যাশনের পার্থক্যঃ

নিম্নে যা যা থাকছে

ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল ফ্যাশনের পার্থক্য কি? সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা।

হাসান মানে শুধু স্টাইল বা ট্রেন্ড নয় এটা আমাদের জীবনের অংশ আমাদের পরিবেশ পেশা এবং মুডের ওপর নির্ভর করে।, কিন্তু অনেকেই এখনো বিভ্রান্ত হন। ক্যাজুয়াল এবং ফরমাল ফ্যাশনের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে। এই অংশে আমরা খুব সহজ ভাষায় জানবো ক্যাজুয়াল ফর্মের মানে কি এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়।

ক্যাজুয়াল ফ্যাশন কি?? ক্যাজুয়াল ফ্যাশন হল সেই সব ও সাগ স্টাইল যেগুলো আমরা প্রতিদিন পড়ি যেমন।
ঘোরাঘুরি
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা
। কলেজ বা ক্লাস
শপিং
হালকা কোন অনুষ্ঠান

এই স্টাইল এর পোশাক গুলোঃ
আরামদায়ক
হালকা ও সহজলভ্য
অনেকটা মুক্ত ও কাস্টমাইজড
রঙ্গিন প্রিন্টেড বা ট্রেন্ডি

উদাহরণঃ
জিন্স ও টি শার্ট কুর্তি ও লেগিংস ম্যাক্সি ড্রেস স্নিকার্স হুডি ইত্যাদি

ফরমাল ফ্যাশন কি? ফরমাল ফ্যাশন হলো সেই সব পোশাক যেগুলো আমরা করি যখন যেখানে যেতে হয়।
অফিস
চাকরির ইন্টারভিউ
কর্পোরেট মিটিং
বিজনেস প্রেজেন্টেশন
কিংবা ফরমাল অনুষ্ঠান বিয়ে সম্মাননা কনফারেন্স ইত্যাদি

এই ফ্যাশনের বৈশিষ্ট্যঃ
পরিপাটি ও মার্জিত
নির্দিষ্ট রং স্টাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ
পেশাগত পরিবেশের জন্য মানানসই। 
সাধারণত গারো রঙ্গেরও কম প্রিন্টেড

উদাহরণঃ
শার্ট ও ট্রাউজার ব্লেজার সালোয়ার কামিজ শাড়ি লো হিল ড্রেস ও ইত্যাদি

সহজভাবে পার্থক্যঃ
বিষয়ঃ
পরিবেশ
পোশাকের ধরন।
রঙ ও ডিজাইন
জুতা
উদ্দেশ্য

ক্যাজুয়াল ফ্যাশনঃ
সাধারণ দৈনন্দিন
আরামদায়ক ও ট্রন্ডি
উজ্জ্বল ও বৈচিত্রময়
স্নিকার্স স্যান্ডেল
আরাম ও স্টাইল

ফর্মাল ফ্যাশনঃ
অফিস প্রফেশনাল অনুষ্ঠান
পরিপাটি ও নির্দিষ্ট
সাধারণত হালকা ও গারো একরঙ্গা
ড্রেস সু লো হীল
ব্যেশাগত সম্মান ও শৃঙ্খলা

ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল ফ্যাশনের মূল পার্থক্য নির্ভর করে
কোথায় যাচ্ছ
কি করতে যাচ্ছ
কোন পরিবেশে থাকছো।
একজন স্মার্ট ফ্যাশন প্রেমি জানেন কখন ক্যাজুয়াল পোশাক করবেন এবং কখন ফরমান আর এই বুদ্ধিমত্তায় গড়ে তুলে তার ফ্যাশন সেন্স

ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের বৈশিষ্ট্য ও ধরন

ক্যাজুয়াল ফ্যাশন এমন এক স্টাইল যেখানে থাকে আরাম স্বাধীনতা এবং স্টাইল এর সঠিক মিশ্রণ। এটি কোন নির্দিষ্ট নিয়মে বাধা নয় বরং নিজের মনের মতো করে পোশাক করার স্বাধীনতাই হল ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের মূল চাবিকাঠি।

ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের বৈশিষ্ট্যঃ নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলোঃ
আরামদায়কঃ ক্যাজুয়াল পোশাক মানে এমন কাপড় বা পড়তে সুবিধা হয় চলাফেরায় বাঁধা পড়ে না।  সুতিরকাপড় হালকা ফেব্রিক ঢিলা কাটার ডিজাইন এগুলো খুবই জনপ্রিয়।

রঙ্গিন ও বৈচিত্র্যম য় ঃ ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের রং বা ডিজাইনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। উজ্জ্বল ন্যাচারাল স্নান  বা কন্ট্রাস্ট সব রকমের রং ব্যবহার করা যায়।
সিম্পল ডিজাইনঃ জটিল কাটিং বা বেশি অ্যাক্সেসরিজ ঝামেলা নেই। সহজ কাটা পোশাক ও হতে পারে খুব ট্রেন্ডি।
নিজস্বতা বজায় রাখাঃ নিজের পছন্দ মুড আবহাওয়া বা ট্রেন্ড অনুযায়ী যে কেউ নিজের মতো করে এস্টাইল করতে পারে।
ননফর্মাল পরিবেশের উপর উপযুক্তঃ বন্ধুদের আড্ডা কলেজ বাজার ঘোরাঘুরি পিকনিক যেকোনো ক্যাজুয়াল পরিবেশে পড়ার জন্য একেবারে উপযুক্ত।

ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের ধরনঃ
ডেইলি ওয়ার যেমন জিন্স ও টি শার্ট কুর্তি ও লেগিংস সালোয়ার কামিজ।
স্কুল কলেজ বা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য
স্ট্রিট ফ্যাসনঃ যেমনঃ oversite t-shirt boyfriend jeans udi hig স্নিকার্স।
শহরের কুল ট্রেন্ডের সাথে ভালো মেলানো।
বহে মিয়ান বা আর্টি লুকঃঃ যেমন কার্ডিজ্ঞান mini স্কার্ট সবার রং তরুণ প্রজন্মের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
করিয়ান বা কে ফ্যাশনঃ যেমনঃ তরুণ প্রজন্মের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
 ট্রেন্ডি ফিউশন লুকঃ যেমন ঃ কুর্তির সাথে জিন্স শাড়ির সাথে বেল্ট বা বুট ট্রেডিশনাল আর ওয়েস্টার্নের সুন্দর মিসেল।

ছোট্ট টিপসঃ
ক্যাজুয়াল ফ্যাশন এক্সপেরিমেন্ট করা যায়
প্রিনটেট টি শার্ট ডেনিম জ্যাকেট স্নিকার্স এগুলো সব সময় ট্রেন্ডে থাকে। 
আপনি চাইলে কম খরচে দারুন ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করতে পারেন।

ক্যাজুয়াল ফ্যাশনের আসল সৌন্দর্য হল এতে আপনি আপনার মতো করে নিজের স্টাইল প্রকাশ করতে পারেন। কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই শুধু নিজের আরাম ও আত্মবিশ্বাসই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

ফর্মাল ফ্যাশন কাকে বলে এবং কখন পড়া  হয়

ফরমাল ফ্যাশন কাকে বলেঃ? ফরমাল ফ্যাশন বা আনুষ্ঠানিক ফ্যাশন বলতে এমন পোশাক বোঝায় যা পেশাদার মার্জিত এবং শালীনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ফ্যাশন সাধারণত কর্পোরেট অফিস বা গম্ভীর ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশে করা হয়।

সহজ কথায়ঃ ফরমাল ফ্যাশন হলো এমন পোশাক যেটা দেখতে পরিপাটি মানানসই ও প্রফেশনাল অফিসিয়াল অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

কখন ফরমাল ফ্যাশন পড়া হয়ঃ ফরমাল ফ্যাশন সাধারণত নির্দিষ্ট পরিবেশ ও অনুষ্ঠানে করা হয় যেখানে পোশাকে নিয়ম-কানুন মেনে চলা জরুরী। নিচে কিছু সাধারন সময় ও পরিবেশ দেওয়া হল।

অফিস বা কর্পোরেট পরিবেশেঃ
অফিস প্রতিদিন যাওয়া
মিটিং বা প্রেজেন্টেশন
কর্পোরেট সেমিনার ট্রেনিং

চাকুরীর ইন্টারভিউ বা ভাইবাঃ
ফর্মাল পোশাক প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস ও প্রফেশনাল মনোভাব তুলে ধরে।

ইস্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্মাল প্রোগ্রামেঃ
বিতর্ক প্রতিযোগিতা
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান
অভিভাবক সমাবেশ

সরকারি ও সামাজিক অনুষ্ঠানঃ
গম্ভীর পরিবেশের সভা বা সম্মেলন
অফিশিয়াল ডিনার বা ইনভিটেশন

উদাহরণঃ ছেলে ও মেয়েদের জন্যঃ
পোশাক ধরন ছেলেদের জন্যঃ
বদমস
ফুট ওয়্যার
এক্সেসরিজ

 ফুল স্লিপ শার্ট
ড ্রেস প্যান্ট ম্যাক্স
ফরমাল সু লোফার
ট্রাই ঘড়ি বেল্ট

মেয়েদের জন্যঃ শার্ট কুর্তি ব্লেজার
 প্লাজোফরমাল স্কার্ট ট্রাউজার
পাম্প সু ফ্লাট সু
হ্যান্ড ব্যাগ ঘড়ি, হালকা জুয়েলারি ।

ফর্মাল ফ্যাশনের বৈশিষ্ট্যঃ
রংঃ সাধারণত হালকা বা গা ডার্ক রং কেমন নেভী ব্ল্যাক হোয়াইট গ্রে
স্টাইলঃ পরিবর্তন কাটিং কম ডিজাইন মার্জিত
উপস্থাপনঃ নিজেকে পরিপূর্ণ ও গম্ভীরভাবে উপস্থাপন কর

ক্যাজুয়াল-ও-ফর্মাল-ফ্যাশনের-পার্থক্যঃ-নতুনদের-জন্য

হরমোন ফ্যাশন হচ্ছে পেশাদার পরিবেশে মানানসই পোশাকবচ স্টাইল। এটা শুধু ফ্যাশন নয় বরং নিজের ব্যক্তিত্ব শৃঙ্খলার প্রকাশও। যেখানে শালীনতা গাম্ভীর্য এস্টাইল একসাথে দরকার সেখানেই ফরমাল ফ্যাশন প্রাসঙ্গিক।

ক্যাজুয়াল ও ফর্মাল ফ্যাশনের প্রধান পার্থক্য

ফ্যাশনের জগতে পোশাক পরার দুটি প্রধান ধারা হল ক্যাজুয়াল এবং ফরমাল। এই দুটি ধারার মধ্যে পার্থক্য মূলত নির্ভর করে উপলক্ষ পোশাকের ধরন আরাম এবং সামাজিক রীতি-নীতির উপর। নিচে এদের প্রধান পার্থক্য গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ

প্রধান পার্থক্য গুলোঃ

উপলক্ষঃ এটি সবচেয়ে বড় পার্থক্য। কোন অনুষ্ঠানে বা পরিবেশে কি ধরনের পোশাক পরা হবে কার উপর ভিত্তি করেফ্যাশন নির্বাচিত হয়।

ফরমাল এই পচা সাধারণত আনুষ্ঠানিক বা পেশাদার পরিবেশে পড়া হয়। যেমন অফিস মিটিং বা কর্পোরেট ইভেন্ট। 
বিয়ে বৌভাত বা বড় কোন সামাজিক অনুষ্ঠান
গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার
যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
ক্যাজুয়াল এই পোশাক আনুষ্ঠানিক বা আরামদায়িক পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। যেমন
বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা ঘুরতে যাওয়া।
দৈনন্দিন কেনাকাটা বা ঘরের বাইরের সাধারণ কাজ
ভ্রমণ বা ছুটি কাটানো
বাড়িতে আরাম করার সময়।

পোশাকের ধরনঃ পোশাকের কাট ডিজাইন এবং ধরন এই দুই স্টাইলকে আলাদা করে।
ফরমালঃ পুরুষঃ শুট ব্লেজার টাই টাই ফরমাল শার্ট সাধারণ এক রঙ্গা টুইল কাপড়ের প্যান্ট চিনোস/ফর্মাল পেন্ট।

মহিলাঃ মার্জিত ডিজাইনের শাড়ি সালোয়ার কামিজ ওয়েস্টার্ন ফরমাল পোশাক স্কার্ট ব্লাউজ বা ফরমাল গাউন। পোশাকের কাট এবং ফিটিং নিখুত হয়।

ক্যাজুয়ালঃ পুরুষ ও মহিলা টি শার্ট পোলো শার্ট জিন্স কার্গো প্যান্ট শর্ট গুডি টপ কুর্তি ফতুয়া ইত্যাদি। এই পোশাকগুলো তুলনামূলকভাবে ঢিলেঢালা এবং আরামদায়ক হয়।

কাপড়ের ধরনঃ পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত কাপড়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য কা বিষয়।
ফরমালঃ সাধারণত উন্নত মানের এবং মসৃণ কাপড়ে ব্যবহার করা হয়। যেমন সিল্ক উল সার্টিন উন্নতমানের কটন লিলেন ইত্যাদি।

ক্যাজুয়ালঃ আরামদায়ক এবং টেকসই কাপড় বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন সাধারণ কটন ডেনিম জিন্সের কাপড় জার্সি ফ্লানেল কর্ড রয় ইত্যাদি।

রং ও ডিজাইনঃ রং এবং নকশার ব্যবহারের দুটি ধারার মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। যেমন
ফরমালঃ সাধারণত নো সবার এবং ক্লাসিক রং ব্যবহার করা হযঃ যেমন কালো সাদা নেভি ব্লু ধূসর বাদামী বা হালকা প্যাস্টেল শেড। ডিজাইনের ক্ষেত্রে এক রঙ্গা বা খুব শুকনো স্ট্রাইপ/চেক থাকে।

ক্যাজুয়ালঃ উজ্জ্বল এবং গারো যেকোনো রং ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট গ্রাফিক ডিজাইন লেখা বা স্লোগান থাকতে পারে। ডিজাইনের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা অনেক বেশি।

জুতাঃ পোশাকের সাথে মিলিয়ে জুতো বাছাই করা হয়। যা স্টাইল কে পূর্ণতা দেয়।

 ফরমালঃ পুরুষঃ চামড়ার এক্সপোর্ট লোফার দাবি বা ব্রগস।
ক্যাজুয়ালঃ স্নিকার স্যান্ডেল ব্যালেরিনা  ফ্ল্যাট বুকস বা সাধারণ চপ্পল ।

স্মার্ট ক্যাজুয়ালঃ 2 এর মাঝে সেতুবন্ধন ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল এর মাঝামাঝি একটি জনপ্রিয় ধারা হলো স্মার্ট ক্যাজুয়াল এটি ক্যাজুয়াল পোশাকের আরামের সাথে ফরমাল পোশাকের মার্জিত ভাবকে একত্রিত করে। যেমনঃ একটি ব্লেজারের সাথে জিন্স পরা বা একটি পোলোর শার্টেরসাথে চিনস প্যান্ট পরা। এটি সেমি ফর্মাল পারটি ডি সৃজনশীল বা কিছু  অফিসের জন্য দারুন একটি বিকল্প।

আশা করি এই বিস্তারিত তথ্য ক্যাজুয়াল এবং ফর্মাল ফ্যাশনের পার্থক্য বুঝতে আপনাদের সাহায্য করবে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক পোশাক বেছে নয় হল আসল স্মার্টনেস।

এক নজরে পার্থক্য টেবিল

এক নজরে পার্থক্য টেবিল বিভিন্ন বিষয় তুলনামূলক আলোচনাঃ এক নজরে পার্থক্য টেবিল হল দুটি বিষয়ের মধ্যে মূল পার্থক্য গুলোকে একটি সহজ এবং সংক্ষিপ্ত সারণির মাধ্যমে উপস্থাপন করার একটি কার্যকর পদ্ধতি। এই ধরনের টেবিল তথ্যের দ্রুত তুলনা এবং অনুধাবনের সহায়তা করে। সাধারণ জ্ঞান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

এখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য টেবিল তুলে ধরা হলোঃ

কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যারঃ
বৈশিষ্ট্য    হার্ডওয়ার
সংজ্ঞা    কম্পিউটারের গুণগত অংশ যা স্পর্শ করা যায়।
উদাহরণঃ  র‍্যাম মনিটর কিবোর্ড মাউস।
কাজঃ    সফটওয়্যার এর নির্দেশ পালন ও কার্যকর করে।
ক্কয়    সময়ের সাথে যথেষ্ট সঙ্গাগত ভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত বা নষ্ট হতে পারে।
আপডেটঃ  সাধারণত পরিবর্তন বা আবগ্রেট করা জটিল ও ব্যয়বহুল।

সফটওয়্যারঃ কম্পিউটারের যৌক্তিক অংশ বা নির্দেশনার সন্তুষ্টি।
হার্ডওয়ারকে নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেয়।
সাধারণত এই গুণগতভাবে ক্ষয় হয় না তবে রাগ বা ত্রুটি থাকতে পারে।
সহজে আপডেট বা নতুন সংস্করণ ইন্সটল করা যায়।

এক নজরে পার্থক্য টেবিলঃ ইন্ডিয়ান ফ্যাশন বনাম ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন
বিষয়ঃ
পোশাকের ধরন
ডিজাইন
রং
ব্যবহার
কাপড়

ইন্ডিয়ান ফ্যাশনঃ
শাড়ি সালোয়ার কামিজ লেহেঙ্গা
ঐতিহ্যবাহী কারচুপির কাজ
উজ্জ্বল ও চমকপ্রদ রং
উৎসব দিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান
সিল্ক কটন চন্দেরী

ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনঃ জিন্স টপ  স্কার্ট গাউন
সহজ ও আধুনিক কাট
ন্যাচারাল ও সাদামাটা রং
দৈনন্দিন ও অফিসিয়াল পরিবেশ
ডেনিম লিলেন পলেস্টার

ফরমাল ফ্যাশনের ধরন ও স্টাইল

 ফরমাল ফ্যাশনের ধরন স্টাইল একটি বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ বা আনুষ্ঠানিক পোশাক বলতে এমন এক ধরনের পোশাক শৈলীকে বোঝায় যা নির্দিষ্ট সামাজিক ও পেশাগত পরিবেশে পরিধান করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো মার্জিত রুচিশীল এবং পেশাদার একটি আবহও তৈরি করা। স্থান কাল ও উপলক্ষ ভেদে ফরমাল ফ্যাশনের ধরন ও এসটাইল ভিন্নতা দেখা যায়। নিচে ফরমাল ফ্যাশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ফরমাল ফ্যাশনের মূল ভিত্তিঃ ফরমাল সেশনের মূল ভিত্তি হল পরিছন্নতা সঠিক ফিটিং এবং উন্নত মানের কাপড়। সাধারণত নিরপেক্ষ বা গারো রঙ্গের পোশাকে ফরমাল হিসেবে গণ্য করা হয়। যেমন কালো সাদা নেভি ব্লু ধূসর থাকি ইত্যাদি। পোশাকের সঙ্গে মানানসই গুতা ঘড়ি এবং অন্যান্য আনুস অঙ্গ ।লুককে পরিপূর্ণ করে তোলে।

পুরুষদের ফরমাল ফ্যাশনঃ পুরুষদের ফরমান ফ্যাশনকে প্রধানত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়ঃ

বিজনেস ফরমালঃ  এটি মূলত কর্পোরেট জগৎ এবং পেশাগত পরিবেশের পোশাক।
পোশাকঃ একটি পূর্ণ স্যুট ব্লেজার এবং ম্যাচিং প্যান্ট পড়া আবশ্যক। শুটের রং সাধারণত নেভি ব্লু। চারকোল গ্রে বা কালো হয়।

শার্টঃ স্যুটের নীচে একটি লম্বা হাতার ফরমাল শার্ট পরা হয়। সাদা হালকা নীল বা অন্যকোন হালকা একরঙ্গার সার্টই বেশি প্রচলিত।

টাইঃ একটি মানানসই টাই পড়া  বাধ্যতামূলক। টাইয়ের রং এবং প্যাটার্ন শার্ট ও শুটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

জুতাঃ চামড়ার অক্সফোর্ড বা ডার্বি জুতা করা উচিত। জুতার রং সাধারণত কালো বা বাদামি হয় এবং বেল্টের রঙের সাথে মিলিয়ে পড়া হয়।

অন্যান্যঃ চামড়ার বেল্ট একটি ক্লাসিক ঘড়ি এবং প্রয়োজনে ক্যাপলিংক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।

বিজনেস ক্যাজুয়ালঃ বিজনেস ফরমালের চেয়ে কিছুটা আরাম দেয় কিন্তু তবুও পেশাদার পোশাক।

পোশাকঃ ব্লেজার বা স্পর ্ট কাটের সাথে চিনস বা ফরমাল টাউজার করা হয়। এখানে ম্যাচিং শুটের ব্যবহার বাধ্যতা মূলক নেই।

শার্ট" কলার যুক্ত শার্ট যেমন পোলো শার্ট বা ফরমাল শার্টটাই ছাড়া করা যেতে পারে।

জুতাঃ লোফার ব্লগজ বা ডার্বি জুতা এই পোশাকের সাথে ভালো মানায়।

ব্ল্যাক থাইঃ এটি একটি অত্যন্ত আনুষ্ঠানিক সন্ধ্য পোশাকের কোড বা যা সাধারণত গালা অ্যাওয়ার্ড শো বা জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে পড়া হয়।
পোশাকঃ একটি কালো বা মিড নাইট ব্লু রঙ্গের ট্যাক্সিডো করা হয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল জ্যাকেটের সাপনের লেভেল।
শার্টঃ ট্যাক্সি ডোর নিচে একটি সাদা ড্রেস শার্ট পড়া হয় যার মাধ্যমে প্লিটোস থাকতে পারে।

বো টাইঃ কালো রঙ্গের একটি বো কাই পড়া বাধ্যতামূলক।
জুতাঃ কালো  পেটেন্ট লেটারের চকচকে অক্সফোর্ড জুতা পরা হয়।
অন্যান্যঃ কামার ব্যান্ড বা ওয়েস্ট কোট এবং কাপলিংক্স ব্যবহার করা হয়
হোয়াইট টাইঃ এটি ফরমাল পোশাকের সর্বোচ্চ স্তরে এবং সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক পোশাক কোড। এটি সাধারণত রাষ্ট্রীয় ভোজ রাজুকে অনুষ্ঠান বা নোবেল পুরস্কার বিতরণের মতো অনুষ্ঠানে করা যায়।
পোশাকঃ এটি কালো রঙ্গের টেইল  কোড পিছন দিকে লম্বা ঝুলের কোট এবং উঁচু কোমরের কালো ব্রাউজার পরা হয়।

শার্টঃ একটি সাদা উইং কলার শার্ট পরা হয়।
বো টাইঃ সাদা রঙ্গের একটি বো টাই পড়া বাধ্যতামূলক।
জুতাঃ কালো পেটেন্ট লেদারের অক্সফোর্ড জুতা
অন্যান্যঃ সাদা গ্লোবস এবং টপ হ্যাট ও এর অংশ হতে পারে

নারীর ফরমাল ফ্যাশনঃ নারীদের ফরমাল ফ্যাশনের পরিসর পুরুষদের চেয়ে বিস্তারিত এবং বৈচিত্র্যময়।
বিজনেস ফরমালঃ
পোশাকঃ একটি প্যান্ট স্যুট স্কারট স্যুট পড়া যেতে পারে। স্কার্টের দৈর্ঘ্য হাটু পর্যন্ত বা তার নিচে হওয়া উচিত। একটি সেলাই করা মার্জিত পোশাক এবং তার ওপর ব্লেজারও করা যায়।

রংঃ পুরুষদের মতই গাড় বা নিরপেক্ষ রং কালো নেভি ব্লু ধূসর বেশি পেশাদার দেখায়।
ব্লাউজ/টপঃ শুটের নিচে স্টপ করা হয়।
জুতাঃ বন্ধু আঙ্গুলের হিল বা ফ্ল্যাট জুতা পরা উচিত। heal এর উচ্চতা পরিমিত হওয়া বাঞ্চুনীয়।
অন্যান্যঃ ছিমছাম গহনা একটি ক্লাসিক সাত ব্যাগ বা মার্জিত ঘড়ি ব্যবহার করা যায়।

বিজনেস ক্যাজুয়ালঃ
পোশাকঃ স্কার্ট ের সাথে একটি সুন্দর ব্লাউজ বা টপ পড়া যেতে পারে। একটি কারদিগান বা ব্লেজারও যোগ করা যায়।
জুতাঃ লোফার বালিরিনা ফ্লাট বা মাঝারি উচ্চতার হিল করা যেতে পারে।
ককটেল ড্রেসঃ এটি সান্ধ্য পার্টি বাধা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।
পোশাকঃ হাঁটু পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের একটি এলিগ্যান্ট পোশাক। এটি সিল ্ক সার্টিন বা শিখনের মত উন্নত মানের কাপড়ের হতে পারে।
রং ও ডিজাইনঃ এখানে রঙের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বেশি। ডিজাইনে এবং অলংকরণ থাকতে পারে তবে তাশীল হতে হবে।
জুতাঃ স্টিল লে টস বা এলিগেন্ট হিল করা যায়।
অন্যান্যঃ একটি ক্লাস পার্টস এবং মানানসই গয়না লুকটিকে সম্পূর্ণ করে।
ব্ল্যাক তাইঃ
পোশাক একটি ফ্লোর লেন্থ মেজে পর্যন্ত দীর্ঘ সান্ধ্য গাউন পড়া হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে গোড়ালি পর্যন্ত লম্বা ককটেল ড্রেসও গ্রহণযোগ্য হতে পারে।
কাপড়ও রংঃ বিলাসবহুল কাপড় যেমন সিল্কাটন ভেলভেট বা শিপন ব্যবহৃত হয়। রং সাধারণত গারো বা ক্লাসিক হয়।
জুতা ও অনু সংঘঃ একটি সুন্দর ক্লাস ও মার্জিত হয় না যেমন হীরার কানের দুল বা নেকলেস করা হয়।

পরিশেষে বলা যায় ফরমাল ফ্যাশন মানে কেবল দামি পোশাক পরা নয় বরং এটি নিজের ব্যক্তিত্ব দুটি এবং পরিস্থিতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এর একটি মাধ্যম। সঠিক পোশাক নির্বাচন আপনাকে যেকোনো আনুষ্ঠানিক পরিবেশ আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে।

নতুনদের জন্য ফ্যাশন বাছাইয়ের  সহজ টিপস

 নিজের স্টাইল সম্পর্কে সচেতন হোনঃ ফ্যাশন বেছে নেওয়ার আগে নিজের সম্পর্কে জানা জরুরী। আপনি কেমন পোশাক স্বচ্ছন্দ বোধ করেন আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন প্রতিদিনের রুটিন কেমন এই জিনিসগুলো পেছনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে স্টাইলঃ যেমন আপনি যদি একটু চুপচাপ মার্জিত হন তাহলে মিনিমাল ও ক্লাসিক স্টাইল আপনার জন্য মানানসই। আর যদি আপনি চঞ্চল ও আউটগোয়িং হন তাহলে ট্রেন্ডি ও ভোল্ট ফ্যাশন আপনার জন্য সঠিক হতে পারে।

লুক  এবং বডি টাইপঃ আপনার শরীরের গঠন ফিগার উচ্চতা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পোশাক বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।। যেমন বেশি লম্বা হলে ফ্লেয়ারড প্যান্ট ভালো মানাই। আবার ছোট সাইটের জন্য হাইওয়েস্ট প্যান্ট ভালো লাগে।

রঙ্গের নির্বাচন এবং মিলঃ অনেকেই নতুন ফ্যাশন শিখতে গিয়ে রঙের সমন্বয়ে ভুল করে ফেলেন। একসাথে অনেক বেশি রং করলে সেটা অগোছালো লাগে।

স্কিনটোন বুঝে রং নির্বাচন করুন।ঃ
ফর্সা বা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পিচ হালকা গোলাপি স্কাই ব্লু ইত্যাদি।
মাঝারি ত্বকের জন্য ডার্ক ব্লু গোল্ডেন রেড।

নিউট্রাল কালার ব্যবহার" সাদা কালো ধূসর বেইজ রঙের পোশাক যে কালো রঙ্গের সঙ্গে মানিয়ে যায়। আপনি যদি কনফিউস হন নিউট্রাল বেছে নিন।

ফিটিং পোশাকের পরিপূর্ণতাঃ টি সাধারণ পোশাকও যদি ঠিকমত ফিট করে তাহলে সেটা স্টাইলিশ দেখায়। আবার খুব দামি পোশাকে যদি বরবাদ ছোট হয় তাহলে সেটা দেখতে ভালো লাগে না।

অতিরিক্ত টাইট বা ঢেলে পোশাক এড়িয়ে চলুনঃ  ফীট না থাকলেও স্থানীয় টেইলারের সাহায্যে ঠিক করিয়ে নিন।

বেসিক পোশাক ইনভেস্ট করুনঃ নতুনরা সাধারণত ট্রেন্ডি আইটেম বেশি কিনে ফেলেন। কিন্তু ট্রেন্ড দ্রুত বদলে যায়। তাই এমন কিছু পোশাক কিনুন যা সব সময় চলবে।

বেসিক ফ্যাশন আইটেমঃ
সাদা ও কালো টপস
ভালো মানের জিন্স ডেনিম
সাদা শার্ট বা কুর্তি
একটি মানানসই জ্যাকেট বা ব্লেজার
স্নিকার্স বা ফ্ল্যাট হ্যান্ডেল

এই পোশাকগুলো বিভিন্নভাবে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করা যায়।

একসেসরিজ ছোট জিনিসের বড় স্টাইলঃ এক্সেসরিজ মানে শুধু গয়না নয় এর মধ্যে আছে ব্যাক জুতা ঘড়ি চশমা ইত্যাদি। এগুলো ফ্যাশনের ফিনিশিং টাচ।

প্রতিদিনের জন্য হালকা ও সাধারণ এক্সেসরিজ বেছে নিন।

বড় অনুষ্ঠানে একটু গর্জিয়াস বা ট্রেন্ডি গয়না করতে পারেন।

 ট্রেন্ড মানে সব নয়ঃ ট্রেন্ড মা মানেই আপনি যে যা দেখছেন তাই করে ফেলবেন এমন নয়। প্রতিটি ট্রেন্ড সবার শরীর বা ব্যক্তিদের সঙ্গে মানায় না।  ট্রেন্ডি কোন পোশাক কেনার আগে আয়নার সামনে পড়ে দেখে নিন। নিজের আরাম ব্যক্তিত্ব ও বাজেট বিবেচনা করে  ট্রেন্ড অনুসরণ করুন।

পরিষ্কার ও গোছানো একজন স্টাইলিশ মানুষ মানেই শুধু ভালো পোশাক নয়। বরং পরিপাটি থাকা। পরিষ্কার পোশাক ঠিকঠাক হেয়ার স্টাইল ও সুন্দর ব্যবহারের মধ্যেই আসল ফ্যাশন।

পোশাক গুছিয়ে রাখুন। প্রতিটি সপ্তাহে অন্তত একবার কাপড় গুলো রিভিউ করে ব্যবহারযোগ্য রাখুন।

আত্মবিশ্বাস ঐ আসলে স্টাইলঃ সবশেষে আপনি যাই করুন বা যাই করুন নিজের মধ্যে যদি আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে সেটাই সবচেয়ে বড় ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। ভালো পোশাকও প্রাণহীন দেখায়।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস করুন। নিজেকে ভালোবাসুন নিজের স্টাইল নিয়ে গর্ববোধ করুন।

ক্যাজুয়াল-ও-ফর্মাল-ফ্যাশনের-পার্থক্যঃ-নতুনদের-জন্য

নতুনদের জন্য ফ্যাশন বেছে নেওয়া প্রাথমিক একটু বিভ্রান্তিকর লাগলো ধীরে ধীরে নিজের পছন্দ প্রয়োজনও আরামের উপর ভিত্তি করে আপনি নিজের জন্য উপযুক্ত স্টাইল তৈরি করে নিতে পারবেন। অপরের টিপস গুলো অনুসরণ করলে ভেসনের জগতে আপনার যাত্রাটা অনেকটাই সহজ ও আরামদায়ক হবে।

উপসংহারঃ নিজের স্টাইল নিজেই ঠিক করুন


প্রতিটি মানুষ আলাদা। আমাদের পছন্দ চেহারা দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মবিশ্বাস একজনের এক এক রকম। তাই ফ্যাশনেই এই জিনিস সবার জন্য প্রযোজ্য হয় ... কেউ যদি আপনাকে বলে এই পোশাক না পড়লে আপনি স্টাইলিশ নন তাহলে সেটাই একেবারে ভুল ধারণা, আসল ফ্যাশন হলো নিজেকে বুঝে নিজের মত করে পোশাক বেছে নেওয়া।।...

 নিজেকে জানাই ফ্যাশনের প্রথম ধাপঃ স্টাইল তৈরীর প্রথম এবং প্রধান ধাপ হল নিজেকে জানা।? আপনি কি ধরনের পোশাক স্বচ্ছন্দ বোধ করেন?
আপনার দৈনন্দিন রুটিন কেমন?
আপনি কি ধরনের পরিবেশে চলাফেরা করেন?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে আপনি নিজেই স্টাইল নিজেই গড়ে তুলতে পারবেন।

উদাহরণঃ আপনি যদি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হন, তাহলে আপনার স্টাইল হবে বিরক্ত একটু ক্যাজুয়াল ও কমফোরটেবল/কিন্তু যদি আপনি অফিসিগামী হোন তাহলে আপনাকে দেখতে হবে প্রফেশনাল পরিপাটি।

ট্রেন্ড নয় বেছে নিন নিজের টেস্টঃ আজকাল সোশ্যাল মিডিয়া সেলিব্রেটি কালচার ফ্যাশন হাউজ সবকিছু মিলে একটা ফ্যাশন চাপ তৈরি সবাই যেন ট্রেড না ধরলে পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু মনে রাখবেন,

ফ্যাশন আসে ও যায়, কিন্তু স্টাইল থেকে যাই চিরকাল।

আপনি যদি সব সময় ট্রেন্ড ধরে চলেন তাহলে সেটা শুধু বাহ্যিক অনুসরণ হবে। কিন্তু আপনি যদি নিজের পছন্দ স্বাচ্ছন্দ এবং ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী পোশাক বেছে নেন তবে সেটাই আপনার আসলে স্টাইল।

নিজের সিগনেচার স্টাইল গড়ে তুলুনঃ আপনার এমন কিছু ফ্যাশন পছন্দ থাকুক যা আপনাকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।
আপনি হয়তো সব সময় স্কার্ফ করতে ভালোবাসেন।
অথবা আপনি হয়তো সবসময় মেটালিক রিং বা হু ইয়ারিং পড়েন।
কেউ কেউ হয়তো হালকা রঙ্গে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
এভাবেই ধীরে ধীরে আপনার সিগনেচার লুক তৈরি হবে।

অন্যদের পরামর্শ নিন তবে নিজের সিদ্ধান্তই থাকুনঃ বন্ধু পরিবার youtube ব্লগ সব জায়গা থেকে স্টাইল নিয়েপরামর্শ আসবে। কিন্তু দিনশেষে সিদ্ধান্তটা আপনার নিজের হওয়া উচিত।

কারণ আপনি জানেনঃ
কোন পোশাকে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন
আপনার বাজেট কত
আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন

অন্যদের কথা মাথায় রেখে নিজেকে হারাবেন না।

পরিচ্ছন্নতা ও গুছিয়ে পড়ায় আসলে স্টাইলঃ মানেই দামি পোশাক নয়। একটি সাধারণ লাগতে পারে, যদি আপনি তা পরিপাটি করে পড়েন।
চুল আঁচড়ানো
জামা জুতা পরিষ্কার
গন্ধ মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকা এই ছোট্ট জিনিসগুলোই আপনার স্টাইলিশ করে তোলে।

আত্মবিশ্বাস আপনার সবচেয়ে বড় ফ্যাশন আইটেমঃ যে কোন পোশাক যেকোনো লূক তখনই সুন্দর লাগে যখন আপনি তা আত্মবিশ্বাসের সাথে পড়েন। যদি আপনি নিজের ইস্টাইল নিয়ে সব গর্ববোধ করেন তাহলে আপনার উপস্থিতি সবার নজর কাটবেই।

মনে রাখবেনঃ
কনফিডেন্স ইজ দা বেস্ট আউটফিট রোক ইট এন্ড অন ইট

পুলিশ শেষে, নিজের স্টাইল নিজের পরিচয়ঃ জীবনের সবকিছুর মতোই ফ্যাশনও নিজের পথ নিজেকে খুঁজে নিতে চাওয়া হয়। আপনি যদি নিজের মনের কথা শোনেন নিজেকে বুঝে পোশাক যাচাই করেন তাহলে আপনি নিজের নিজেই হবেন আপনার ফ্যাশন জগতে স্টাইল আইকন। অন্যকে দেখে নয় নিজেরে নিজেই ঠিক করুন কারণ আপনি ইউনিক আপনি স্পেশাল।

অনুপ্রেরণার জন্য একটি ছোট্ট মেসেজঃ

যেমন আপনি আছেন সেভাবেই আপনি সুন্দর। নিজের স্টাইল নিজের মতো করে তৈরি করুন, কারন স্টাইল হল নিজের আত্মার প্রতিফলন।

পরিশেষে আমি বলতে চাই এই ব্লক পোস্টে আপনাদের কাছে কোন টপিকটি ভালো লেগেছে এবং কেমনে ব্লগটি লেখা হয়েছে সেই সম্পর্কে আপনারা যদি মন্তব্য না করেন তাহলে আমি বুঝতে পারবো না তাই যদি কোন টপিক ভালো বা খারাপ লেগে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং ভালো যদি লেগে থাকে তাহলে একটি লাইক দিবেন আর পরিচিতদের মাঝে আমার এই লেখা ছড়িয়ে দিবেন অথবা জানিয়ে দিবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url