বিয়ের অনুষ্ঠানে কিভাবে স্টাইল করবেন: গেস্টদের জন্য স্টাইল গাইড


বিয়ের অতিথি হিসেবে কি পড়বেন, কোন অক্সেসরিজ মানাবে, এবং কোন ভুল গুলো এড়ানো উচিত-এই গাইড পাবেন ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য স্টাইল টিচ ও সাজেশন.  নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো.

বিয়ের-অনুষ্ঠানে-কিভাবে-স্টাইল-করবেন-গেস্টদের-জন্য-স্টাইল-গাইড








শুধুমাত্র বিয়ে বৌভাতের অনুষ্ঠানে শামিল হবে না যে পোশাকই বেছে নিন না কেন আরামের বিষয়টি মাথায় রেখে পোশাক পরতে হবে। অনেকেই সিল্ক জাতীয় পোশাক, আবার অনেকেই ইন্ডিয়ান পোশাক পড়ে থাকেন।

পেজ সূচিপত্রঃ বিয়ের অনুষ্ঠানে কিভাবে স্টাইল করবেনঃ পাঁচটি টপিক নিয়ে আলোচনা

মেয়েদের জন্য বিয়ের ফ্যাশন গাইড

বিয়ের দাওয়াত মানে স্টাইলের প্রতিযোগিতা কি পড়বেন, কোন রং বেছে নেবে্‌ কিভাবে করবেন মেকআপ ও হেয়ার স্টাইল এই ফ্যাশন গাইড রইল মেয়েদের জন্য পরিপূর্ণ সাজেশন। প্রথমে ভাবুন আপনি কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানের ধরন বুঝে পোশাক বেছে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। গায়ে হলুদ মূল বিয়ে এবং বৌভাত এই তিনটি অনুষ্ঠানই আলাদা ফ্যাশন দাবি করে

বিয়ের-অনুষ্ঠানে-কিভাবে-স্টাইল-করবেন-গেস্টদের-জন্য-স্টাইল-গাইড






গায়ে হলুদঃ হালকা রং ঝকঝকে নয় এমন পোশাক বেছে নিন।/হলুদ কমলা বা সবুজ কটন শিপন শাড়ি বা সিম্পল লেহেঙ্গা মানানসই।

মূল বিয়েঃ কারো রঙ্গের শাড়ি, বেনারসি বা লেহেঙ্গা যাতে থাকে সামান্য জরি কাজ বা হালকা এস্টোনওয়ার্ক।

বৌভাত/রিসেপশনঃ ট্রেনডি গাউন নেট লেহেঙ্গা বা প্যাস্টেল শাড়ি দিনশেষে অনেকটাই সবার নজরে আসবে।

শাড়ি লেহেঙ্গা বা গাউন কখন কি পড়বেন? শাড়ি র অবদান সবসময়ই থাকে। বেনারসি জামদানি বা সিল্ক শাড়ি অনেক বেশি ক্লাসিক এবং এলিগেন্ট।

লেহেঙ্গাঃ হালকা নেট বা বোহেমিয়ান লেহেঙ্গা এখন খুব ট্রেন্ডি। ব্লাউজ আর এক্সেসরিজ এর সাথে লেহেঙ্গা হয়ে উঠতে পারে হাইলাইট।

গাউনঃ যারা ওয়েস্টার্ন লোক পছন্দ করেন, তাদের জন্য ইন্দো ওয়েস্টার্ন গাউন খুব সুন্দর অপশন বিশেষ করে রিসিপশনে।

রং নির্বাচনঃ অনুষ্ঠানের সময় অনুযায়ী ভাবুনঃ দুপুরের অনুষ্ঠানঃ প্যাস্টেল রং পিচ পেস্টেল গ্রীন বেবি পিং দেখতে বেশ ফ্রেশ লাগে।

রাতের অনুষ্ঠানঃ গারো ও রিচ কালার মেরুন নেভি ব্লু সোনালী বেশি আকর্ষণীয় লাগে লাইটিং এর মাঝে।।

ছবির জন্যঃ contast রং দেখে নিন যাতে ছবি তুললে আপনাকে আলাদা করে চোখে পড়ে।

জুয়েলারি ও এক্সেসরিজঃ ভারসাম্য বজায় রাখুনঃ

শাড়ির মাঝে ঃ গোল্ড প্লেটেড বা টেম্পল জুয়েলারি মানিয়ে যায় দারুন ভাবে। ঝুমকা নেক পিচ আর তিতলি এই তিনটি উপাদানই বাঙালি লুক তৈরি করে।

, লেহেঙ্গার সাথেঃ পালকি বা কুন্দন জুয়েলারি ট্রেনিং। চাইলে কানের দুলের সাথে ম্যাচ করে মাথার টিকলি বা মাথাপট্টি করতে পারেন।

ব্যাগ ও ক্লাসঃ পোশাকের সাথে ম্যাচ করে ছোট্ট একটা ক্লাস বা পার্টি ব্যাগ রাখলে পুরো লুক হয়ে যায় কমপ্লিট।

হেয়ার স্টাইল ও মেকআপঃ নিজের মুখের গঠন ও ত্বকের সাজুন। হেয়ার স্টাইলঃ ওপেন কার্ভ হেয়ার লেহেঙ্গা বা গাউনের সাথে বেশ মানিয়ে যায়।

ফ্লাওয়ার বানঃ বিয়ের অনুষ্ঠানে চুলে ফুলের ব্যবহার ফ্যাশনে এখন বড় ট্রেন্ড।

প্লেটেড হেয়ার/মেসি বানঃ গরমকালে খুব কমফোরটেবল।

মেকআপঃ এস্মকি আইস+্নিউড লিপসঃ রাতের অনুষ্ঠানে একদম পারফেক্ট কম্বিনেশন।
পেস্টেল লুকঃ হলুদের জন্য হালকা গোলাপি বা কোরাল লিপস+ highlighted check bon,
ব্রাউ কন্ট্যুর+ভিউই ফিনিশঃ ফটোতে খুব ভালো আসে।

কমন ফ্যাশন ভুল ও তাদের সমাধানঃ 
অতিরিক্ত গ্লিটার বা শাইনঃ অনেকেই বিয়েতে খুব ঝলমলে পোশাক পড়ে ফেলেন যা চোখে লাগে। ভারসাম্য রাখুন পোশাক ভারী হলে মেকআপ হালকা বা উল্টোটা।

অস্বস্তিকর হিল বা চুরিঃ বেশি টাইট ব্লাউজ বা ভারি চুড়ি পড়ে দীর্ঘ সময় কাটানো কঠিন হয়ে যায়। আগের থেকেই ট্রায়াল দিন।
নকল বা সস্তা জুয়েলারিঃ ঘাম বা আলোয় তা ঝকঝকে না দেখাতে পারে তাই মানসম্মত জুয়েলারি বেছে নিন।

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিঃ স্মার্ট থাকুন স্টাইলিশ থাকুন এক্সট্রা হেয়ার পিন সেপটিপিন ও টিস্যু ব্যাগে রাখুন।

মেকআপ ফিক্সার ব্যবহার করুন যাতে ঘামে বা সময়ের সাথে মেকআপ গলে না যায়
ছবি তোলার আগে আয়নায় চেক করে নিন হেয়ার ঠিক আছে কিনা লিপিস্টিক ঠিকঠাক আছে কিনা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে কনফিডেন্ট মনে করুন। আপনি যেভাবে হাসছেন সেটাই সবচেয়ে বড় ফ্যাশন।

বিশেষ অনুষ্ঠান আনন্দ। সবকিছু ছবি তোলা আর স্মৃতি তৈরি করার সময় তাই পোশাক হোক আর সাজগোজ সবকিছু হোক আরামদায়ক এবং আপনাকে মানায় এমন পোশাক। ফ্যাশনের মানে কখনো কারো মত হওয়া নয় নিজেকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করাই আসল।

ছেলেদের জন্য বিয়ের ফ্যাশন টিপস

ছেলেদের বিয়ের ফ্যাশন মানেই শুধু পাঞ্জাবি নয়। গায়ে হলুদ বিয়ে ও রিসিভশনে কি পড়বেন। কোন রং বেছে নেবেন এবং কিভাবে স্টাইল করবেন এই গাইড রইল সব উত্তর।
বিয়ের অনুষ্ঠান অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনঃ বিয়েতে সাধারণত তিনটি বড় অনুষ্ঠান থাকে
গায়ে হলুদ বা মেহেদী
মূল বিয়ে
রিসিপশন বা বৌভাত
প্রতিটি অনুষ্ঠানে পোশাক ও স্টাইল হওয়া উচিত ভিন্ন এবং অনুষ্ঠানের টাইম ও ভেনু অনুযায়ী।

গায়ে হলুদ ফ্যাশনঃ মজার বর্ণিল আরামদায়ক লোক হলো পাঞ্জাবিঃ হলুদ সবুজ কমলা বা মেরুন রংয়ের কটন বা লিলেন পাঞ্জাবী বেছে নিন।
চুড়িদার/পাজামাঃ হালকা রঙের কটন পাজামা বা সাদা চুড়িদার মানায়।
নেহ্রু কোটঃ রঙ্গিন প্রিন্টেড নেহেরু কোট গায়ে দিলে ছবি আরো স্টাইলিশ দেখায়।
ফুটওয়ারঃ লোফার কলাপুরি স্যান্ডেল বা খাঁটি দেশি জুতো।
ফুলের বটুনি অনুযায়ী আসে সানগ্লাস পরা ছবিতে দারুন লাগে।

বিয়ের দিনের ফ্যাশনঃ ট্রাডিশনাল এলিগেন্সঃ শেরওয়ানি ভারী এমবোটারি করা বা মেটালিক সেটের শেরওয়ানি বিয়ের দিনের জন্য পারফেক্ট।
কুর্তা পাজামা+ কোটঃ মেটালিক কুর্তার সাথে ম্যাচিং জ্যাকেট বাশাল।
ধুতি পাঞ্জাবিঃ একদম ট্রেডিশনাল বাঙালি লোক চাইলে এই অপশন অসাধারণ।
পাগড়ী/টুপিঃ উত্তর ভারতীয় টাচ দিতে চাইলে পাগলি পড়তে পারেন। কনের পোশাকের রঙের সাথে ম্যাচ করে কিছু অংশ বেছে নিতে পারো যেমন সালের রং বা বোতাম ডিজাইন।
রিসিপশন ফ্যাশনঃ ওয়েস্টার্ন বাই এন্ড ওয়েস্টার্ন লুক ছুট ব্ল্যাক নেভি চার কাল বা বারগান্দি রঙের থ্রিপিস স্যুট।
ব্লেজার লুপঃ ইনডোর রিসেপশনে হালকা প্রিন্টেড ব্লেজার ও চলতে পারে।
জ্যাকেট কুরতাঃ ট্রেডিশনাল ফ্যাশন এর সাথে স্টাইল এর ফিউশন ।
তাই/বোটাইঃ স্যুটের সাথে পড়লে প্রেজেন্টেশন আরো উন্নত হয়।

হেয়ার স্টাইল, গুয়ামিং ও পারফিউমঃ চুলের কাটঃ অনুষ্ঠানের অন্তত তিন দিন আগে হেয়ারকাট করিয়ে নাও আন্ডার কার্ড বা ফ্ল ু এখন ট্রেন্ডে।
 দাড়ি ছাটাঃ যদি দাড়ি রাখো তবে সেটাও স্টাইল করে রাখতে হবে।
পারফিউম পারফিউমঃ গারো কিন্তু বেশি তীব্র নয় এমন পারফিউম ব্যবহার কর। মেকআপ শুধু মেয়েদের নয় ছেলেদেরও বিবি ক্রিম বা ফেস পাউডার ব্যবহার করা উচিত ত্বকের জন্য।

সাজের সাথে আত্মবিশ্বাস ফ্যাশনের আসল জিনিসঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল তুমি যেটা পড়ো না কেন সেটা যেন তোমার ব্যক্তিত্বদের সাথে যায়। আত্মবিশ্বাস ভদ্রতা ও হাসিমুখ এই তিনটি ১০গুণ যেকোন সাজকে শাস্তি আকর্ষণীয় করে তোলে।

ছেলেদের জন্য এখন ফ্যাশনের সুযোগ অনেক বেড়েছে। পাঞ্জাবিতে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজের লোক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট কর। স্মার্টলেস মানে শুধু দামি পোশাক নয় বরং সেই পোশাকটি কেমন করে ক্যারি করছো সেইটা।

বিয়ের মৌসুমী ফ্যাশন( শীত/গ্রীষ্ম)

গ্রীষ্ম বাশির বিয়ের মৌসুমে ফ্যাশনের ধরন আলাদা হওয়া উচিত। এই গাইডে পাবেন ছেলেদের উভয়ের জন্য মৌসুম অনুযায়ী পোশাক রং মেকআপ ও স্টাইল টিপস। বাংলাদেশে বিয়ের বড় মৌসুম দুটি গ্রীষ্মকাল যেমন এপ্রিল থেকে জুন ও শীতকাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি ভিন্নতা থাকার কারণে পোশাকের ফেব্রিক কস্টিউম জুতা এমনকি মেকআপেও ভিন্নতা আনা দরকার।

গ্রীষ্মকালীন বিয়ের ফ্যাশনঃ মেয়েদের জন্যঃ
ফেব্রিক নির্বাচনঃ কটন মলমল সফট সিল শিপন জর্জেট্ল 
পোশাকের ধরনঃ হালকা  এমব্রয়ডারি শাড়ি নেট লেহেঙ্গা স্লিপলেস বা গেট স্টাইল গাউন।
রংঃ প্যাস্টেল পিং লেভেন্ডার মিন্ট গ্রীন লেমন ইয়োলো।
জুয়েলারিঃ লাইট ওয়েট কুন্দন  পার্ল ফ্লোবাল জুয়েলারি গায়ে হলুদের জন্য।
হালকা শাড়ি বা লেহেঙ্গা নিন যাতে ঘামে ভিজে না যায়।
হেয়ার স্টাইল করুন বান বা টাইট ব্রেড যাতে গরমে ঝামেলা না হয়।

ছেলেদের জন্যঃ পাঞ্জাবি বা কুর্তাঃ লিলেন সিল ্ক ব্রান্ড।
ব্লেজার/জ্যাকেটঃ গরমে এড়িয়ে চলা ভালো তবে চাইলে হালকা প্রিন্টেড নেহরু কোট পড়া যায়।
রংঃ সাদা হালকা সবুজ পিচ স্কাই ব্লু
জুতাঃ কলাপুরি বা খোলা লোফার।
মজুরি এড়িয়ে স্যান্ডেল বা লোফার ব্যবহার কর।
চুল ছোট করে কাটা ও হালকা পারফিউম ব্যবহার আরাম পাবে।

শীতকালীন বিয়ের ফ্যাশনঃ মেয়েদের জন্যঃ ফেব্রিক সিল ্ক ভেলভেট হেবি জর্জেট জামদানি বেনারসি।
পোশাকঃ ফুল স্লিভ শাড়ি বা লেহেঙ্গা হেভি ওয়ার্ক গাউন।
রংঃ মেরুন বার গন্ডি রোজ গোল দ্বীপ ব্লু।
 এক্সেসরিজঃ গোল্ড স্টোন সেট ও হেব্বি কানের দুল।
শালের ব্যবহার করতে পারো স্টাইলিশ ভাবে।
ঠান্ডা থেকে বাঁচতে ইনার হিসাবে হালকা ব্লাউজ বা থার্মাল পরিণীয়।

ছেলেদের জন্যঃশেরওয়ানি/সুট ঃ হেব্বি সিল্ক বা ভেলভেট শেরওয়ানি ব্লেজার বা থ্রি পিস সুট।
রংঃ মেটালিক ডার্ক টোন ব্ল্যাক চারকোল বারগেন্ডি।
ছাল ও পাগড়িঃ শীতের সাথে মানায় ও ট্রেডিশনাল লুক দেয়। শুট ফিটিং চেক করে নাও। ইনসাইডে হালকা সোয়েটার পড়ে নিতে পারো ফরমালের নিচে।

মৌসুম ভিত্তিক মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলঃ গ্রীষ্মঃ ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ ম্যাট ফিনিশ হালকা হাইলাইটার। হেয়ার স্টাইল মেসি বান বা ব্রেনড।
শীতঃডিউই চিনিস মেকআপ গারো লিপিস্টিক চকচকে আইশ্যাডো চুলে ওয়েব বা ওপেন লুক মানায়।

স্মার্ট সাজে আত্মবিশ্বাসঃ সবশেষে মৌসুম যাই হোক না কেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাস আর কমফোর্ট। আপনি যেন নিজের স্টাইলে ঈশ্বরচন্দ্র বোধ করেন সেটাই আসল ফ্যাশন।


এক্সসেসরিজ ও হেয়ারস্টাইল এর গাইড

পরিধানযোগ্য শর্ট কুর্তির মতো ফ্যাশনেবল পোশাক এখন তরুণী ও নারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।। এটি মূলত স্টাইল, কমফোর্ট এবং আধুনিকতার একটি নিখুত মিশ্রণ। এক্সেসরিজ এর সাথে মানানসই হেয়ারস্টাইল করলে পুরো লোকটাই আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

এক্সসেসরিজের ধরনঃ লম্বা এক্সসেসরিজঃ
সাধারণত লেগিংস জিন্স বা পালাজো সাথে মানায়।
এসটি ইটকার্ট বা এর লাইন স্টাইল বেশি চলে।

শর্ট এক্সেসরিজঃ স্কার্ট বা হাই ওয়েট প্যান্টের সাথে করা হয়।
বেল্ট বা লেয়ার এক্সেসরিজ যোগ করে ভিন্ন লোক আনা হয়।

এক্সেসরিজের সাথে হেয়ারস্টাইল গাইডঃ খোলা চুলের স্টাইলঃ  স্টেট চুল বা হালকা করে খুলে রাখলে স্টাইলিশ লুক আসে।
সাইড পাটিংঃ ন্যাচারাল অথচ আধুনিক।
আবডু বা খোঁপাঃ লোবান বা ডোনাট বানঃ স্টাডিশনাল লুকের জন্য পারফেক্ট।
মেসি বানঃ ক্যাজুয়াল বা আউটডোর এভেন্ট এর জন্য আদর্শ।

ব্রেইড বা বেনীঃ । ফ্রেন্ডস ব্রেইভঃ ক্লাসিক এবং শোভনীয়।
ফ্রিশটেল ব্রেইডঃ ইউনিক লুক চাই যারা তাদের জন্য দারুন।

পনিটেইলঃ হাই পনিটেলঃ ফিউশন বা ওয়েস্টার্ন স্টাইল এক্সেসরিজ এর সাথে মানায়।
চুলে ফুলঃ পার্ল পিন বা হেয়ার জুয়েলারি যোগ করলে ফেস্টিভ লুক আসে।

মুখের বরণের সাথে হেয়ার স্টাইল নির্বাচনঃ গোল মুখঃ টপ নট বা হাইবান উপযুক্ত।
লম্বা মুখঃ খোলা চুল বা সাইড ব্রেইড মানান্সই।
চওড়া মুখঃ লেয়ারড চুল বা হালকা কারলস ভালো লাগে।

অ্যাক্সেসরিজ স্টাইল টিপসঃ চেইন দুল চুরি বা ওয়াচ দিয়ে লোককে পরিপূর্ণ করুন।
হালকা মেকআপ ও নোট লিপস্টিক বেছে নিন সাধারণ দিনের জন্য।
বিশেষ দিনে স্মোকি আই মেকআপ ও ব্রাইট লিপস্টিক ট্রাই করুন।

এক্এসসেসরিজ কটি স্টাইলিশ অথচ । অথচ সহজলভ্য পোশাক। দৈনন্দিন থেকে শুরু করে বিশেষ উপলক্ষ সব জায়গাতেই মানানসই। এর সাথে সঠিক হেয়ারস্টাইল নির্বাচন করলে আপনার পুরো লোক আরো মার্জিত ও নজর করা হবে।

বিয়ে বাড়িতে কি ফ্যাশন ভুল না করা উচিত

দিয়ে শুধু দুইজন মানুষের মিলন নয়্‌ বরং দুটি পরিবার আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব এবং সমাজের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। তাই এই আয়োজনে কিছু আচরণগত ও ব্যবস্থাপনার ভুল এড়িয়ে চলা উচিত যাতে অনুষ্ঠানটি সবার জন্য সুন্দরও স্মরণীয় হয়।

সময় মত না পৌঁছানোঃ অনেকেই নির্ধারিত সময়ের অনেক পর বিয়ে বাড়িতে পৌঁছান, ফলে অনেক কার্যক্রমে বিলম্ব হয়ে যায়।

ঠিক উপায়ঃ নিমন্ত্রণ কার্ডে সময় দেখেই গোছানোর চেষ্টা করুন।
ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হলে সময় মতো উপস্থিত হয়ে সাহায্য করুন।

অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা করাঃ ভুলঃ পরিবার ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা করা।

ঠিক উপায়ঃ এটি একটি আনন্দঘন অনুষ্ঠান সকলকে সম্মান ও উৎসাহ দিন।
যদি কিছু সমস্যা হয় ও তা আন্তরিকভাবে বুঝে নিন।

মেহমানদের প্রতি অবহেলাঃ ভুলঃ অতিথিদের অভ্যর্থনা বসার ব্যবস্থা বা খাবারের দিকে খেয়াল না রাখা।
ঠিক উপায়ঃ আত্মীয় বা বন্ধুদের মাধ্যমে ভিজিটর হোস্ট ঠিক করুন।
পর্যাপ্ত খাবার পানিও ও বিশ্রামের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।

নিজেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া বা চোখে পড়ার চেষ্টাঃ ভুলঃ বিয়েতে এমনভাবে সাজা বা আচরণ করা যাতে মনে হয় আপনি মূল চরিত্র।
ঠিক উপায়ঃ বর্কনেকে ফোকাসে রাখুন।
সাজগোজ বা আচার-আচরণ নিয়ে সংযত থাকুন।

সামাজিক মিডিয়ায় অনুপযুক্ত কিছু পোস্ট করাঃ ভুলঃ অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলা বা লাইভে যাওয়া অপছন্দনীয় ক্যাপশন লেখা।
ঠিক উপায়ঃ ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করার আগে অনুমতি নিন।
সম্মানজনক ও শুভকামনার ভাষা ব্যবহার করুন।

শিশুদের অবাধ চলাফেরাঃ ভুলঃ অনেক বাধা মা বিয়ে বাড়িতে শিশুদের সম্পন্ন স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেন, যা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
ঠিক উপায়ঃ শিশুদের মনোযোগ দেওয়ার জন্য একজন কেয়ারটেকার রাখুন।
খেলনা বা আলাদা একটি কর্নার রাখা যেতে পারে।

বাজে ঠাট্টা বা মদ্যপানঃঃ ভুল বন্ধু বা আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ অপ্রাসঙ্গিক ঠাট্টা জোরে হাসাহাসি বা অসভ্য আচরণ করেন।
ঠিক উপায়ঃ সব সময় ভদ্র ও মার্জিত আচরণ করুন।
বিয়ের পরিবেশ সম্মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।

দায়িত্ব পালন না করা যারা দায়িত্বপ্রাপ্তঃ ভুলঃ কাজে ফাঁকি দেওয়া বা দায়িত্ব নিয়ে উদাসীন হওয়া।
 ঠিক উপায়ঃ দায়িত্ব বুঝে নিন এবং যথাযথভাবে পালন করুন
ছোট্ট  কাজকেও গুরুত্ব দিন যেমন পানির বোতল দেওয়া অতিথি বসানো ইত্যাদি।

বিয়ে একটি সুন্দর ও পবিত্র অনুষ্ঠান। এখানে দায়িত্ব সম্মান ও পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।, কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চললে পুরো অনুষ্ঠান হবে স্মরণীয় সম্মানজনক ও আনন্দময়।

বিয়ের-অনুষ্ঠানে-কিভাবে-স্টাইল-করবেন-গেস্টদের-জন্য-স্টাইল-গাইড








পরিশেষে আমি যে এই বিয়ে বাড়ি বা বিয়ে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পর্কে লিখছি যা শুধু বরগুনের জন্যই নয়, তাদের পরিবার ও অতিথিদের জন্য এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। এই আয়োজনের ছোট ছোট কিছু ভুল সমগ্র পরিবেশকে অস্বস্তি কর করে তুলতে পারে। তাই আমাদের উচিত সময় নষ্ট হওয়া, অতিথি অভ্যর্থনায় যত্নবান থাকা,। অহেতুক সমালোচনায় এড়ানো এবং সকলের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করা, মনে রাখবেন বিয়ে একটি আনন্দ ও মিলনের উৎস-, এই উৎসবকে সুন্দর মার্জিত ও স্মরণীয় করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমার এই বিয়ে বাড়ির সম্পর্কে যে টপিক আপনাদের কাছে পছন্দ হয়েছে অথবা মন্তব্য করে কিছু জানাতে চান তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন এবং লাইক করবেন আর আপনাদের বন্ধু মহলে পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url