২০২৬ সালের ফ্যাশন ইউটিউব থাম্বনেইল ডিজাইনের নতুন ট্রেন্ড

• ২০২৬ সালের ফ্যাশন ইউটিউব থাম্বনেইল কেন গুরুত্বপূর্ণ
• প্রধানঃ ট্রেন্ড মিনিমালিজম থেকে ম্যাক্সিমালিজম 
• রং এবং ফন্ট স্টাইলের পরিবর্তন
• থাম্বনেইলে ব্যবহৃত ছবি ও ইমেজের ধরন
• সাবজেক্ট এবং ভিজুয়াল স্টোরি টেলিং
• প্ল্যাটফর্ম নির্দিষ্ট ডিজাইন
• টুলস এবং সফটওয়্যার
• ২০২৬ সালের থাম্বনেইলের উদাহরণ
•  SEO এর জন্য থাম্বনেইল অপটিমাইজেশন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
• উপসংহার ও ভবিষ্যৎ ট্রেন্ডের পূর্বাভাস
• FAQ: ২০২৬ সালের থাম্বনেইল ডিজাইন
• লেখক এর মন্তব্য
  
• Call to Action

২০২৬ সালের ফ্যাশন ইউটিউব থাম্বনেইল কেন গুরুত্বপূর্ণ?

প্রধানঃ ট্রেন্ডঃ মিনি মালিজম থেকে ম্যাক্সি মালিজম

রং এবং ফন্ট স্টাইলের পরিবর্তন

• শান্ত এবং মার্জিতঃ পেস্টেল রং গুলো হালকা এবং প্রশান্তি দায়ক একটি অনুভূতি তৈরি করে।
• পেশাদারিত্ব: শিক্ষামূলক,

• উদাহরণঃ কোন রান্নার চ্যানেলে হালকা গোলাপি বেইজ রঙ্গের ইজ ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার, যা আরামদায়ক এবং রুচিশীল দেখায়।

• লালঃ বিপদ আবেগ আকর্ষণ।
• নীলঃ বিশ্বাস প্রশান্তি দক্ষতা
• হলুদঃ আনন্দ সর্তকতা মনোযোগ আকর্ষণ
• কালোঃ ক্ষমতা রহস্য আনুষ্ঠানিকতা।
• সবুজঃ প্রকৃতি শান্তি বৃদ্ধি

• ছোট্ট কিন্তু কার্যকরঃ থাম্বনেইলের মধ্যে  ফন্ট কে হালকা অ্যানিমেট করা হবে। যেমনঃ texty ধীরে ধীরে আসবে বা একটি ছোট্ট জাম্পিং এফেক্ট  থাকবে।
• গতিশীলতাঃ একটি থাম্বনেইলে একটি গতিশীলতা যোগ করে, যা দর্শকের চোখকে আর ও বেশি আকৃষ্ট করে।

• বোল্ড ফনটঃ থাম্বনেইলের প্রধান বার্তাটি বুঝাতে বড় এবং বোল্ড ফন্ট ব্যবহার করা হবে, যা দূর থেকে সহজেই চোখে পড়ে।
• হ্যান্ড রাইটিং ফন্টঃ কিছু কনটেন্ট ক্রিয়াটার তাদের চ্যানেলে একটি ব্যক্তিগত বা আন্তরিক অনুভুতি যোগ করতে হ্যান্ড রাইটিং ফ্রন্ট ব্যবহার করবে।
• মিশ্রণঃ একই থাম্বনেইলে একাধিক ফন্টের স্টাইল ব্যবহার করা হবে। যেমন, বড় শিরোনামের জন্য  বোল্ড ফন্ট এবং সাব-টাইটেল এর জন্য একটি হালকা ফন্ট।

•  Serif ফন্ট(যেমন,Times New Roman ): পেশাদার ক্লাসিক এবং নির্ভরযোগ্য ভাব প্রকাশ করে.
•  Sens- Serif ফন্ট (যেমন Arial, Helvetica ):আধুনিক পরিষ্কার এবং সহজে পড়া যায়.

• Script ফন্ট(হ্যান্ডরাইটিং): ব্যক্তিগত সৃজনশীল এবং আন্তরিক

• স্পষ্টতা ও প্রফেশনালিজমঃ স্পষ্ট এবং উচ্চ রেজোলিউশনের ছবির ব্যবহার করলে থাম্বনেইলটি আর ও পেশাদার দেখায়।

• বিষয়বস্তুর উপস্থাপনঃ ভিডিওর মূল বিষয়বস্তুকে সরাসরি এবং আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে ফটোগ্রাফি গুরুত্বপূর্ণ। যেমন রান্নার ভিডিওতে সুস্বাদু খাবারের ক্লোজ -আপ ছবি, ভ্রমণ ভিডিওতে মনোরম দেশের ছবি ইত্যাদি।

• ক্রিয়েটিভিটি ও স্বতন্ত্রতাঃ নিজস্ব ডিজাইন করা গ্রাফিক্স বা ইলাস্ট্রেশন ব্যবহার করলে আপনার থাম্বনেইল অন্যদের থেকে আলাদা হবে।

• জটিল ধারণাপস্থাপনঃ কিছু জটিল ধারণা বা অ্যাবস্ট্রাক্ট বিষয়ে ছবির মাধ্যমে সহজে বোঝানো যেতে পারে। টিউটোরিয়াল বা শিক্ষামূলক ভিডিওর জন্য এটি খুবই উপযোগী।

• প্রমাণঃ টিউটোরিয়াল গেমপ্লে বা রিভিউ ভিডিওর ক্ষেত্রে ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি দর্শককে ভিডিওর ভেতরের ঝলক দেখায়।

• আকর্ষণীয় মুহূর্তঃ ভিডিওর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বা মজার অংশটির ফ্রেম থাম্বনেইলে ব্যবহার করলে দর্শকের কৌতুহল জাগে।

• একাধিক উপাদানের সমন্বয়ঃ বিভিন্ন ছবি ও গ্রাফিক্স কে একত্রিত করে একটি আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ থাম্বনেইল তৈরি করা যেতে পারে।

•  ফটো ম্যানিপুলেশনঃ বিশেষ ইফেক্ট বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবিকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। তবে মনে রাখতে হবে যেন এটি বিভ্রান্তিকর না হয়।

• নতুন সম্ভাবনাঃ ২০২৬ সালে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এ আই দ্বারা তৈরি ছবি থাম্বনেইলের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

• অনন্য ভিজুয়ালঃ এ আই -এর মাধ্যমে এমন সব ইমেজ তৈরি করা সম্ভব যা আগে কল্পনাও করা যেত না। তবে এর ব্যবহার যেন রুচিশীল ও প্রাসঙ্গিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

• প্রাসঙ্গিকতাঃ থাম্বনেইলের ছবিটি অবশ্যই ভিডিওর বিষয়বস্তুর সাথে প্রাসঙ্গিক হতে হবে।
• আকর্ষণীয়তাঃ ছবিটি আকর্ষণীয় এবং নজর করা হতে হবে যাতে দর্শক ক্লিক করতে উৎসাহিত হয়।
• উচ্চ রেজোলিউশনঃঝাপসা বা কম রেজোলিউশনের ছবি ব্যবহার করা উচিত নয়।
• আলো ও রঙের ব্যবহারঃ ছবির আলো এবং রঙের ব্যবহার যেন আকর্ষণীয় হয়। উজ্জ্বল এবং ভাইরেন্ট রং সাধারণত বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করে।
• কম্পোজিশনঃ ছবির কম্পোজিশন যেন সুন্দর হয় এবং মূল ফোকাস পয়েন্টটি স্পষ্ট থাকে।
• মানুষের মুখঃ যদি ভিডিওতে মানুষের উপস্থিতি থাকে, তাহলে থাম্বনেইল্লে তাদের স্পষ্ট এবং আবেগপূর্ণ মুখের ছবি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

• বড় এবং ফোকাস্টড ইমেজঃ থাম্বনেইলের বেশিরভাগ অংশজুড়ে একটি বড় এবং স্পষ্ট ছবি ব্যবহার করা হবে।
• ন্যূনতম টেক্সটঃ ছবির উপর কম  টেক্সট ব্যবহার করে ভিজুয়াল কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
• মোশন ইল্যশনঃ স্থির ছবিতেও এমন ইফেক্ট তৈরি করা হবে যাতে মনে হয় কিছু মুভ করছে।
• ব্র্যান্ডিং ইন্টিগ্রেশনঃ থাম্বনেইলের ছবিতে চ্যানেলের ব্র্যান্ডিং উপাদান(লোগো কালার স্কিম) আর ও সুকৌশলে ব্যবহার করা হবে।

• মানুষঃ ভিডিওতে যদি কোন ব্যক্তি প্রধান ভূমিকা পালন করে, তাহলে তার অভিব্যক্তি পূর্ণ মুখ বা আকর্ষণীয় ভঙ্গি থাম্বনেইলের শক্তিশালী সাবজেক্ট হতে পারে।
• পণ্যঃ রিভিউ বা আনবক্সিং ভিডিওর ক্ষেত্রে পণ্যের আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও থাম্বনেইলের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।
• স্থানঃ ভ্রমণ বা ডকুমেন্টারি ভিডিওর ক্ষেত্রে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য থাম্বনেইলের সাবজেক্ট হতে পারে।
• ঘটনাঃ কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা আপডেটের ভিডিওর জন্য সেই ঘটনার সাথে সম্প্রকৃত ছবি বা গ্রাফিক্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
• বিমূর্ত ধারণাঃ শিক্ষামূলক ্ তাত্ত্বিক ভিডিওর ক্ষেত্রে বিমূর্ত ধারণা বোঝানোর জন্য উপযুক্ত ভিজুয়াল যেমন আইকন, সিম্বল বা ইলাস্ট্রেশন ব্যবহার করা যেতে পারে।

• ইমোশন(প্রসঙ্গ)ঃ থাম্বনেইলে এমন ছবি ব্যবহার করা যা দর্শকের মধ্যে আবেগ সৃষ্টি করে--সেটা আনন্দ বিষাদ কৌতুহল বা উত্তেজনা যাই হোক না কেন। মানুষের মুখের অভিব্যক্তি এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
• কনটেক্সট( প্রসঙ্গ)থাম্বনেইলের ব্যাকগ্রাউন্ড বা অন্যান্য উপাদান ভিডিওর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
• কন্ট্রাস্ট(বৈপরীত্য)ঃ আকর্ষণীয় বৈপরীত্য তৈরি করার মাধ্যমে দশকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। রংয়ের বৈপরীত্য আলো-ছায়া অথবা অপ্রত্যাশিত কোন উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
• সিকুইয়েন্সিং(অনুক্রম)ঃ যদি ভিডিওটি কোন ধারাবাহিক ঘটনা বা প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, তাহলে থাম্বনেইলে ভিজুয়াল সেই ধারাবাহিকতার একটি ইঙ্গিত দিতে পারে।
• প্রশ্ন তৈরিঃ এমন ভিজুয়াল ব্যবহার করা যা দর্শকের মনে একটি প্রশ্ন তৈরি করে এবং তারা উত্তর জানার জন্য ভিডিওটি দেখতে উৎসাহিত হয়।

• একটি রহস্যময় ভিডিওর থাম্বনেইলে আবছা আলোই একটি বন্ধ দরজা এবং কৌতুহলী মুখের অভিব্যক্তি ব্যবহার করা বা দর্শকের মনে রহস্য জাগিয়ে তুলবে।

• একটি "লাইভ হ্যাক" ভিডিওর থাম্বনেইলে আগের এবং পরের দৃশ্য পাশাপাশি দেখানো যা দর্শককে সমাধানটি আনতে উৎসাহিত করবে।

• একটি ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিওর থাম্বনেইলে একটি শ্বাস রুদ্ধকর দৃশ্যের সাথে একজন ব্যক্তির ছোট করে ছবি দেখানো যা দর্শকের মধ্যে সেই অভিজ্ঞতা লাভের আকাঙ্ক্ষা তৈরি করবে।

• সিনেমাটিক থাম্বনেইলঃ সিনেমার পোস্টারের মতো করে গল্প বলার চেষ্টা করা হবে, যেখানে মূল চরিত্র প্রেক্ষাপট এবং একটি ইঙ্গিত পূণ্য দৃশ্য থাকবে।
• সিরিজ ধারাবাহিকতাঃ যদি কোন চ্যানেলে ধারাবাহিক ভিডিও থাকে, তাহলে প্রতিটি থাম্বনেইলে এমন একটি ভিজুয়াল স্টোরি উপাদান ব্যবহার করা হবে যা সৃষ্টিকে একটি সামগ্রিক পরিচিতি দিবে।
• ইমোশনাল কানেকশনঃ দশকের সাথে সরাসরি মানসিক সংযোগের স্থাপনের জন্য আরো বেশি অভিব্যক্তি পূর্ণ মুখের ছবি এবং আবেগময় পরিস্থিতি ব্যবহার করা হবে।
• কম্প্যাক্ট স্টোরিঃ অল্পসংখ্যক ভিজুয়াল উপাদানের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গল্প বলার উপর জোর দেওয়া হবে।

• দর্শকদের আচরণঃ youtube এর দর্শকরা সাধারণত বিস্তারিত এবং লম্বা ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। অন্যদিকে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের দর্শকরা দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত কনটেন্ট দেখতে অভ্যস্ত।

• আলগরিদমঃ প্রতিটি প্লাটফর্মের আলগরিদম ভিন্নভাবে কাজ করে। ইউটিউবের আলগরিদম ক্লিক-থ্রু রেট(CTR) এবং ওয়াচ টাইম কে বেশি গুরুত্ব দেয়. অন্যদিকে, ফেসবুক এবং instagram এ ব্যস্ততা(Engagement ) এবং শেয়ারের উপর জোর দেওয়া হয়।

• ডিসপ্লে ফরমেটঃইয়হাম্বনেইলের আকার অনুপাত এবং এটি কিভাবে প্রদর্শিতি হয় তা প্ল্যাটফর্ম ভেদে ভিন্ন।

• বড়টেক্সট; থাম্বনেইলে ব্যবহৃত টেক্সট  অবশ্যই বড় এবং সহজে পড়া যায় এমন হতে হবে। কারণ ইউটিউব হোম পেজে বা সাজেস্টেড ভিডিওতে থাম্বনেইল ছোট আকারে দেখা যায়।
• আকর্ষণীয় সাবজেক্টঃথাম্বনেইলের কেন্দ্রে এমন একটি আকর্ষণীয় ছবি বা ভিজুয়াল রাখুন, যা দর্শকের কৌতুহল বাড়ায়। যেমনঃ কোন নির্দিষ্ট বস্তু আকর্ষণীয় অ্যাকশন দৃশ্য।
• উজ্জ্বল রংঃ ইউটিউব প্লাটফর্মের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর কারণে উজ্জ্বল এবং ব্যবহার করলে থাম্বনেইল্টি সহজে চোখে পড়ে।
• ক্লিক বেইট এড়িয়ে চলুনঃ আকর্ষণীয় হতে গিয়ে এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা ভিডিওর বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কহীন। এতে দর্শক হতাশ হতে পারে এবং চ্যানেলের সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে।

• ব্র্যান্ডিং: থাম্বনেইলে আপনার লোগো বা চ্যানেলের নাম স্পষ্ট ভাবে রাখুন। ফেসবুকে নিউস ফিডে অনেক কন্টেন্টের ভিড়ে আপনার ভিডিওকে আলাদা করতে একটি সাহায্য করবে।
• আবেগপূর্ণ ছবিঃ এমন ছবি ব্যবহার করুন যা দর্শকের মধ্যে আবেগ তৈরি করে।ঃ যেমন হাসি, আনন্দ বিস্ময় বা হতাশার মুহূর্ত। ফেসবুকের আলগরিদম এই ধরনের কনটেন্ট কে বেশি গুরুত্ব দেয়।
• অল্প টেক্সটঃ থাম্বনেইলে অতিরিক্ত  টেক্সট ব্যবহার করা  থেকে বিরত থাকুন। ফেসবুকের দর্শকরা দ্রুত স্ক্রল করে,তাই থাম্বনেইলঅটি এক নজরেই বুঝতে পারা জরুরী।
• ভিডিওর অংশঃ ফেসবুকের ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিডিওর প্রথঃ৩-৪ সেকেন্ডের প্রেম থাম্বনেইল হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই ভিডিওর শুরুতেই একটি আকর্ষণের দৃশ্য বা গ্রাফিক্স রাখা যেতে পারে।

• পোস্ট ট্রেড ফরম্যাটঃ ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ বা রিলসের জন্য পোস্টেড ফরমেঃ(৯;১৬) ব্যবহার করা হয়। তাই থাম্বনেইললের ডিজাইনও এই আকারের মধ্যে করতে হবে।
• ভাই রেন্ট ভিজুয়ালঃ instagram এর দর্শক ভিজুয়াল কন্টেন্ট পছন্দ করে। তাই থাম্বনেইলে উচ্চমানের সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ভিজুয়াল ব্যবহার করুন।
• নূন্যতম টেক্সটঃ ইনস্টাগ্রামের থাম্বনেইলে টেক্সট প্রায় ব্যবহার করা হয় না। ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমেই মূল বার্তাটি তুলে ধরা হয়।
• ক্যারোজেল ও সিরিজঃ যদি একাধিক ছবি বা ভিডিওর সিরিজ পোস্ট করেন, তাহলে প্রতিটি থাম্বনেইলে একটি ধারাবাহিক থিম বা রঙের ব্যবহার করুন।

• টিক টকঃ এখানে থাম্বনেইল ভিডিওর অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়। আকর্ষণীয় টেক্সট এবং মিউজিক ব্যবহার করা হয়।
• টুইটার: ভিডিও থাম্বনেলের আকার সাধারণত ল্যান্ড স্কেপ(১৬;৯) হয়। এখানে সংক্ষিপ্ত কিন্তু আকর্ষণীয় টেক্সট ব্যবহার করে কৌতূহল তৈরি করা যায়।

• শক্তিশালী গ্রাফিক্স এডিটিং: থাম্বনেইল ডিজাইনের ক্ষেত্রেই এটি সবচেয়ে শক্তিশালী টুন। এটি দিয়ে ছবি এডিটিং ম্যানিপুলেশন লেয়ারিং এবং কাস্টম গ্রাফিক্স তৈরি করা সম্ভব।
• অ্যাডভান্সড ফিচারঃ ফটোশপের সাহায্যে আপনি হাই -কোয়ালিটি ছবি এডিট করতে পারবেন বিভিন্ন ফন্ট স্টাইল এবং ইফেক্ট যুক্ত করতে পারবেন।
• পেশাদার ব্যবহারঃ পেশাদার ইউটিউবার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য এটি প্রথম পছন্দ। এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ধরনের জটিল থাম্বনেইল তৈরি করতে পারবেন।

• দ্রুত এবং সহজে ব্যবহার: এটি যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের নতুন বা দ্রুত thambneil তৈরি করতে চান তাদের জন্য খুবই উপযোগী। এটি ওয়েভ এবং মোবাইল উভয়ই প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যায়।
• , টেমপ্লেট এবং লাইব্রেরিঃ আদবি এক্সপ্রেস-এ অসংখ্য রেডিমেড টেমপ্লেট রয়েছে, যা আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারবেন। এটি স্টক ফটো এবং ভিডিওর একটি বড় লাইব্রেরিও রয়েছে।
• এ আই-সক্ষম ফিচারঃ এতে কিছু এআই-চালিত টুলস রয়েছে যার ডিজাইন প্রক্রিয়াকে আর ও সহজ করে তোলে।

• ব্যবহারকারী-বান্ধব ইন্টারফেসঃ 

• ব্যাপক টেমপ্লেট লাইব্রেরিঃ 

• ফ্রি ভার্সনঃ ক্যানভার একটি শক্তিশালী ত্রি ভার্সন রয়েছে রয়েছে যা দিয়ে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন। প্রিমিয়াম ফিচার এর জন্য পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে হয়।

• অল ইন ওয়ান টুলঃ হুটার একটি অল ইন ওয়ান গ্রাফিক্স এডিটিং টুল। যা থাম্বনেইল কোলাজ এবং অন্যান্য ডিজাইন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
• এ আই ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভারঃ এর অন্যতম জনপ্রিয় একটি ফিচার হল এ আই চালিত ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভার যা খুব সহজে ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
• HDR ইফেক্ট: ফটোর এ আই ডাইনামিক রেঞ্জ(HDR) ইফেক্ট ব্যবহার করে থাম্বনেইলের  ছবিকে আর ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।

• মোবাইল-কেন্দ্রিক: পিক্স আর্ট মূলত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সহজেই অন দা গো ডিজাইন তৈরি করা যায়.
• ফটো এডিটিং ও  কোলাজঃথাম্বনেইল তৈরীর পাশাপাশি একটি ফটো এডিটিং এবং কোলাজ তৈরির জন্য খুবই কার্যকর।
• বৈচিত্র্যময় ইফেক্টঃ । এতে স্টিকার ইফেক্ট এবং ফিল্টারের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে যা আপনার থাম্বনেইলকে আর ও আকর্ষণীয় করে তুলবে।

• এ আই জেনারেটেড ডিজাইন; এ আই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওর বিষয় বস্তু বিশ্লেষণ করে থাম্বনেইলের জন্য ডিজাইন রং এবং ফন্ট সাজেস্ট করবে।
• এক -ক্লিক ইফেক্টঃ জটিল ফটোশপ ইফেক্ট গুলো এক ক্লিকই তৈরি করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে।
• ভিডিও থেকে স্বয়ংক্রিয় থাম্বনেইলঃ এ আই ভিডিওর সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্তগুলো থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে থাম্বনেইল তৈরি করে দেবে।

• থিমঃ একটি টেক রিভিউ বা শিক্ষামূলক ভিডিও
• ডিজাইনঃথাম্বনেইলের ব্যাকগ্রাউন্ড হবে একটি পরিষ্কার এবং সরলর রং যেমন গারো ধূসর বা কালো।  এর কেন্দ্রে থাকবে একটি মাত্র সাবজেক্ট-যেমন একটি নতুন ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের হাই কোয়ালিটি ক্লোজআপ ছবি।
• ফন্ট ও রংঃ সাবজেক্টের নিচে বা পাশে একটি ছোট বোল্ড এবং নিয়ম রঙের ফন্ট ব্যবহার করা হবে, যা দিয়ে ভিডিওর মূল বিষয়বস্তু লেখা থাকবে (যেমন" Review" বা "Unboxing") নিয়ম রংটি অন্ধকার ব্যাকগ্রাউন্ডে খুব উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠবে, যা সহজেই দশকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
• কেন কার্যকরঃ এটি মিনিমালিস্ট স্ট ডিজাইনের শান্ত ভাব এবং ম্যাক্সিমালিসট ডিজাইনের উজ্জ্বলতাকে একত্রিত করে। এটি এক নজরেই ভিডিওর বিষয়বস্তু পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় এবং একই সাথে একটি আধুনিক ও স্টাইলিশ অনুভূতি দেয়।

• থিমঃ গেমিং ফ্যান্টাসি বা গল্প বলা বিষয়ক ভিডিও।

• ডিজাইনঃথাম্বনেইলের ছবিটি সম্পূর্ণরূপে এআই দ্বারা তৈরি হবে। এখানে এমন একটি কাল্পনিক দৃশ্য থাকবে যা বাস্তবে তোলা সম্ভব নয়। যেমন একটি প্রাচীন শহরের উপরে উড়ন্ত ড্রাগন বা মহাকাশে একটি অজানা গ্রহের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন যোদ্ধা।

• ফন্ট ও ইফেক্টঃথাম্বনেইলে একটি বোল্ড এবং কিছুটা ডিসটেট ফন্ট ব্যবহার করা হবে যা এডভেঞ্চার বা রহস্যের অনুভূতি দেবে। ছবির চারপাশে এনিমেটেড ইফেক্ট থাকবে, যা ভিডিওটি দেখার জন্য কৌতুহল তৈরি করবে।

• থিমঃ ব্লগ লাইভ স্টাইল বা কোন নাটকীয় ঘটনা বিষয়ক ভিডিও।
• ডিজাইনঃথাম্বনেইলের কেন্দ্রে থাকবে ভিডিওতে থাকা ব্যক্তির মুখের একটি ক্লোজ -আপ ছবি। এই ছবিতে ব্যক্তির মুখের অভিব্যক্তি খুব স্পষ্ট হবে--যেমন প্রচন্ড হাসি বিস্ময় ভয় বা হতাশা।

• ভিজুয়াল স্টোরি টেলিংঃ ছবির পাশে বা উপরে একটি ছোট আকর্ষণীয়  টেক্সট থাকবে যা সেই ইমোশনের কারণ কি তা জানতে আগ্রহী করবে। যেমন, একটি হাস্যজ্জল মুখের ছবির পাশে লেখা থাকবে"OMG! Ican't believe this happened!"
• কেন কার্যকরঃ মানুষের মুখের আবেগ সরাসরি দর্শকের মধ্যে একটি মানবিক সুযোগ তৈরি করে। এটি দর্শককে এমন একটি কৌতুহলী অবস্থায় ফেলে দেয় যে তারা ভিডিওটি না দেখে থাকতে পারে না।

• থিমঃ ধারাবাহিক শিক্ষামূলক ভিডিও বা গল্পের সিরিজ।
• ডিজাইনঃ সিরিজের প্রতিটি ভিডিওরথাম্বনেইলে একটি নির্দিষ্ট থিম, ফন্ট এবং রঙের প্যালেট ব্যবহার করা হবে। শুধুমাত্র ছবির মূল সাবজেক্ট এবং টেক পরিবর্তিত হবে।
• ব্র্যান্ডিংঃ প্রতিটি থাম্বনেইলে চ্যানেলের লোগো এবং একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডিং উপাদান থাকবে, যা দেখে দর্শক সহজে বুঝতে পারবে এটি সেই সিরিজের ওই একটি অংশ।
• কেন কার্যকরঃ এই ধরনের ডিজাইন চ্যানেলের ব্র্যান্ডকে শক্তিশালী করে। দর্শকরা যখন একটি ভিডিও দেখতে পাবে তখন তারা অন্যান্য ভিডিওগুলোর চিনতে পারবে এবং দেখার জন্য আগ্রহী হবে।

• বিষয়বস্তুর সাথে মিলঃথাম্বনেইল কে অবশ্যই আপনার ভিডিওর মূল বিষয়বস্তুর সাথে সংগতিপূর্ণ হতে হবে। যদি আপনার ভিডিও একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হয়, তাহলে থাম্বনেইলে খাবারের একটি আকর্ষণীয় ছবি থাকা উচিত।
• স্পষ্টতাঃ থাম্বনেইল এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যাতে দর্শক এক বছরেও বুঝতে পারে ভিডিওটি কি সম্পর্কে। অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত টেক্সট দিয়ে থাম্বনেইল কে জটিল করবেন না।

• উজ্জ্বল রংঃ এমন রং ব্যবহার করুন যা দর্শকদের চোখে পড়ে। সাধারণত নীল হলুদ লাল এবং সবুজ রঙের উজ্জ্বল শেড গুলো ভালো কাজ করে।
• রঙ্গের বৈপরীত্যঃথাম্বনেইলে এমন রং ব্যবহার করুন যা একে ওপরের থেকে আলাদা এবং সহজেই চোখে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, একটি গারো ব্যাকগ্রাউন্ড এর উপর হালকা রঙের টেক্সট ব্যবহার করুন।
• মানুষের মুখের ব্যবহারঃ মানুষের মুখ বিশেষ করে আবেগপূর্ণ অভিব্যক্ত:(যেমন হাসি বিস্ময বা উত্তেজনা) দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এটি থাম্বনেইল কে আর ও ব্যক্তিগত এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।

• সংক্ষিপ্ত এবং কার্যকর টেক্সটঃ থাম্বনেইলে ব্যবহৃত  টেক্সট খুব সংক্ষিপ্ত এবং মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরার মতো হতে হবে।"How to," "Best,Top 5" এর মত শব্দগুলো CTR বাড়াতে সাহায্য করে.

• সহজে পড়া যায় এমন ফন্ট

• ফন্ট ও ছবির ভারসাম্যঃথাম্বনেইলে ফন্ট এবং ছবির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন। অতিরিক্ত টেক্সট বা অতিরিক্ত গ্রাফিক যেন থাম্বনেইল কে এলোমেলো না করে দেয়।

• ফাইলের নামঃ আপনার থাম্বনেইলের ফাইলটি ঋ নেম করে তাতে মূল কি ওয়ার্ড ব্যবহার করুন।Best-thimbnail-design-2026,jpg। এটি google এবং youtube এর সার্চ ইঞ্জিন কে বুঝতে সাহায্য করে যে থাম্বনেইলটি কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি।

• ফাইলের আকারঃ ফাইলের আকার কম রাখার চেষ্টা করুন যাতে এটি দ্রুত লোড হয়। ইউটিউব সাধারণত ২ মেগাবাইট এর মধ্যে থাম্বনেইল রাখার পরামর্শ দেয়।

• রেজুলেশন এবং অনুপাতঃ

• চ্যানেলের পরিচিতিঃ আপনার চ্যানেলের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্টাইল রংয়ের প্যালেট এবং ফন্টের ব্যবহার করুন। এটি আপনার চ্যানেলের ব্র্যান্ডিংকে শক্তিশালী করে এবং দর্শকদের মনে একটি স্থায়ী ছাপ ফেলে।

• ভিডিও সিরিজের জন্য ধারাবাহিকতাঃ