ঈদ ২০২৬ বাচ্চাদের ফ্যাশন ট্রেন্ডঃ কিডস স্টাইলের নতুন চমক
২০২৬ সালের ঈদে কেমন হবে বাচ্চাদের ফ্যাশন? জানুন নতুন ডিজাইন, রংয়ের ট্রেন্ড, স্টাইলিশ জামা ও আনুষঙ্গিক ফ্যাশন আইটেম সম্পর্কে। শিশুদের ঈদের পোশাকে আসতে নতুন চমক।
২০২৬ সালের ঈদে বাচ্চাদের ফ্যাশনে আসছে নতুন নতুন ট্রেন্ড, স্টাইল ও ডিজাইন। মেয়েদের জন্য রঙ্গিন ফ্রগ, ফ্রিকুইন ড্রেস আর ছেলেদের জন্য আরামদায়ক কুর্তা পাজামা এখন খুব জনপ্রিয়।
পেজ সূচিপত্রঃ ঈদ ২০২৬ বাচ্চাদের ফ্যাশন
সূচিপত্র অনুযায়ী যা যা থাকছে
- ঈদ ২০২৬ বাচ্চাদের ফ্যাশনে কি নতুন আসছে?
- ২০২৬ সালের কিডস ফ্যাশনে নতুন ট্রেন্ডস
- বাচ্চাদের জন্য জনপ্রিয় ঈদের পোশাকের ডিজাইন
- ফ্যাশনের সাথে আরামঃ মেটেরিয়াল ও কাটিং এর দিক
- বাচ্চাদের এক্সেসরিজ ও জুতা ট্রেন্ড ২০২৬ঃফ্যাশন ও আরামের মেল্বন্ধন
- ঈদের ফ্যাশনে বয়েজ বনাম গার্ল ড্রেসিং স্টাইল
- ফ্যাশন টিপসঃ কিভাবে বাচ্চাদের সাজাবেন ঈদে
ঈদ ২০২৬ বাচ্চাদের ফ্যাশনে কি নতুন আসছে?
ট্রেন্ডি ডিজাইনের রঙ্গিন পোশাকঃ ২০২৬ সালে বাচ্চাদের ঈদের পোশাকে রং ও ডিজাইনের
মেশিনে এসেছে নতুনত্ব।
মেয়েদের জন্য ট্রেন্ডি প্লেয়ার ড্রেস, লেহেঙ্গা-চোলি, ও সিকুইন এমব্রয়ডারি
বিশিষ্ট গাউন খুব জনপ্রিয় হচ্ছে।
ছেলেদের জন্য প্যাস্টেল রং এর কুর্তা-পাজামা শেরওয়ানি ও ছোট কোর্ট টেন্ডএ
আছে।
রঙ্গের বাহারঃ ২০২৬ সালের বাচ্চাদের ফ্যাশনে উজ্জ্বল ও হালকা রং গুলো দারুন
ভাবে ফিরে এসেছে। যেমনঃ
মেয়েদের পোশাক গোলাপি পিক, বেবি ব্লু পার্পল।
ছেলেদের পোশাকঃ সাদা মিন্ট গ্রিন, সি ব্লু লাইট ইয়েলো।
আরামদায়ক কাপড়ই সেরা চয়েজঃ শুধু স্টাইল না, এবার ডিজাইনাররা আরাম কেউ গুরুত্ব
দিচ্ছেন।
কটন লিলেন মুসলিম ও সব নেট কাপড় বাচ্চাদের জন্য ফ্যাশনের মূল উপাদান হয়ে
উঠেছে।
একসেসরিসজ ও হেয়ার স্টাইলঃ ঈদের ফ্যাশন শুধু জামা কাপড়েই নয়, এক্সেসরিজেও
এসেছে নতুনত্ব।
মেয়েদের জন্যঃ ফুল হেড ব্র্যান্ড, রঙ্গিন ব্যাঙ্গেল ছোট হিজাব
হেয়ার ক্লিপ।
প ছেলেদের জন্যঃ ছোট সানগ্লাস, হাত ঘড়ি, ম্যাচিং পাগড়ী।
জুতা ও ফুটায়ারের ফ্যাশনঃ বাচ্চাদের ঈদের সাজে জুতা এক বড় ফ্যাক্টর।
মেয়েদের জন্য বেলি স্যান্ডেল ঝিকিমিকি জুতা
ছেলেদের জন্য লোফার, স্লিপ -অন ট্রেন্ডি স্পোর্টস সু।
কিডস টুইনিং সেটঃ এবছর টুইনিং ট্রেন্ড খুব হিট।
ভাই-বোন বা বন্ধুদের জন্য একই ডিজাইনের পোশাকের কালেকশন থাকছে দোকানগুলোতে।
পরিবারে, মা-মেয়ে বা বাবা ছেলের ম্যাচিং ড্রেস ও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
ফটো ফ্রেন্ডলি ফ্যাশনঃ ২০২৬ সালের কিডস স ফ্যাশন শুধু আরামবাগ ট্রেন্ড নয় এখন
লক্ষ্য ইনস্টাগ্রাম/এফবি এর ছবিতেও যেন অসাধারণ লাগে।
ডিজাইনাররা ফটো ফ্রেন্ডলি ডিজাইন ও লুকস তৈরিতে ফোকাস করছেন।
সংক্ষেপে ২০২৬ সালের কিডস ঈদ ফ্যাশন ট্রেন্ডসঃ
রঙ্গিন ঝলমলেও আরামদায়ক পোশাক
স্টাইলিশ কিন্তু হালকা এক্সেসরিজ
মিনিমাল লিস্ট সাজ সজ্জা
কিডস টুইনিং ড্রেস কালেকশন।
২০২৬ সালের কিডস ফ্যাশনে নতুন ট্রেন্ড
২০২৬ সালের ফ্যাশনে সুদুন বড়দের নয় ছোটদের জন্য এসেছে নানান রকম নতুনত্ব।
ডিজাইন রা এখন শিশুদের পোশাকেও ট্রেন্ড স্টাইল এবং আরামের সমন্বয়ে রাখছেন।
চলুন দেখে নেই ২০২৬ সালে কিডস ফ্যাশনের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় নতুন ট্রেন্ড
গুলোঃ
মিনি মাল ডিজাইন, মেক্সিমাম ইন্সপেক্টঃ । ২০২৬ সালে অতিরিক্ত অলংকার বা
ভারির ডিজাইন এর বদলে এসেছে সিম্পল, মিনিমাল লুকের ফ্যাশন।
ছোট মেয়েদের জন্য হালকা এমব্রয়ডারি ও সলিড কালারের গাউন বা ফ্রগ।
ছেলেদের জন্য স্টেইটকার্ট কুর্তা বা শার্ট স্লিম প্যান্ট।
কালার প্যালেটে প্যাস্টেল রাজত্বঃ রংয়ের দিক থেকে এবার হালকা ও নরম রং গুলো বেশি
ট্রেন্ডি।
মেয়েদের জন্য, লেহেঙ্গার বেবি পিংক স্কাইপ ব্লু
ছেলেদের জন্যঃ মিন্ট গ্রীন বাটারি ইয়োলো স্যান্ড।
এই রংগুলো গরমেও আরাম দেয় এবং ছবিতেও দারুন ফটো জনিত লাগে।
ন্যাচারাল ও সফট ফেব্রিকঃ শিশুরা আরামে থাকলেও সুন্দর দেখায়-এটাই ২০২৬ সালের মূল
মন্ত্র।
, কটন লিলেন মলমল অর্গানিক ফেব্রিক এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
নরম ও ঘাম শোষণক্ষম কাপড়ই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
টাইলিস এক্সেসরিজঃ ফিনিশিং টাচ এখন অ্যাক্সেসরিজেই।
মেয়েদের জন্যঃ ফুল হেয়ার ব্যান্ড সানগ্লাস ঝুমকো ছোট পার্স।
ঃ ছেলেদের জন্য ম্যাচিং ওয়াচ টুপি বা পাগড়ী ছোট ব্যাকপ্যাক।
ইউনিসেক্সফ্যাশনঃ ২০২৬ সালে অনেক পোশাক ডিজাইন এমন এসেছে যা ছেলে ও মেয়ে
উভয় পড়তে পারে।
যেমন ওভার সাইজ টি -শার্ট ডেনিম জ্যাকেট নিউট্রাল কালারের পাঞ্জাবি
এটি ফ্যাশন এর মধ্যে একটি নতুন সোশ্যাল ট্রেন্ড ও তৈরি করছে।
ম্যাচিং সেড ও টুইনিং ট্রেন্ডঃ সবার মাঝে আলোচিত একটি ট্রেন্ড টুইনিং
আউটফিট।
ভাই বোন, বন্ধু কিংবা পুরো পরিবারের মধ্যে ম্যাচিং জামা খুব জনপ্রিয়।
বাবা-ছেলে/মা মেয়ে একই রঙের বা ডিজাইনের পোশাক করছেন এখন ঈদ বা পার্টিতে।
ফ্যাশন উইথ ফটো রেডিনেসঃ বাচ্চাদের জামায়া এখন শুধু পড়ার জন্য নয়, ছবিতে
সুন্দর দেখানোর মতো করেও ডিজাইন হচ্ছে।
ব্যাক ড্রপ ফ্রেন্ডলি রং
হালকা শাইনি ফিনিশ
মোবাইল ফ্রেন্ডলি স্টাইলিং-যেন ইনস্টাগ্রাম এ শেয়ার করলে দারুন লাগে।
স্টাইলিশ ও আরামদায়ক জুতাঃ ২০২৬ সালের কিডস ফ্যাশনে জুতা বড় একটা জায়গা দখল
করে আছেঃ
ঃ মেয়েদের জন্য ফ্ল্যাট স্যান্ডেল রঙ্গিন বেলি
ছেলেদের জন্যঃ লোফার স্নিকার্স সোফট সোল হ্যান্ডেল।
স্টাইল+ আরাম-দুইয়েরই দারুন সমন্বয়ে।
শেষ কথাঃ ২০২৬ সালের কিডস ফ্যাশনে দেখা যাচ্ছে- আরামই এখন নতুন স্টাইল। শিশুরা
যেন ফ্যাশনেবল হয়, আবার সেই ফ্যাশনের স্বাচ্ছন্দ থাকে-এই ভারসাম্য রাখায় এখনকার
ডিজাইন লক্ষ্য।
বাচ্চাদের জন্য জনপ্রিয় ঈদের পোশাকের ডিজাইন
ঈদ মানেই নতুন পোশাক, আনন্দ আর সাজগোজ। আর ছোটদের ঈদ মানেই যেন বাড়তি
উচ্ছ্বাস। প্রতিবারের মতো এবারও বাচ্চাদের জন্য এসেছে নানা ধরনের জনপ্রিয়
পোশাকের ডিজাইন-যা আরামদায়ক, ট্রেন্ডি এবং রঙে ঢঙ্গে একেবারে নিখুত। চলুন দেখে
নিই ২০২৬ সালে ঈদে বাচ্চাদের জন্য সবচেয়ে পোশাকের ডিজাইন গুলো কি কিঃ
মেয়েদের জন্য জনপ্রিয় ডিজাইনঃ বড় ঘেরওয়ালা হালকা ঝলমলে কাপড়ে তৈরির
ড্রেসগুলো এখনো সবচেয়ে বেশি পছন্দের।
ফ্রিকুইন ও লেইস লাগানো
পেস্টেল কালারে
কোমরে রিবন বা বেল্ট
-লেহেঙ্গা চোলিঃ ঈদের সাজে একটু রাজা রানী ভাব আনতে চাইলে এটি পারফেক্ট।
হালকা এমব্রয়ডারির কাজ
ম্যাচিং ওড়না
নেট সার্টিন মুসলিম কাপড়ের তৈরি
গাউন স্টাইল ড্রেসঃ ফরমাল ইট গেট টুগেদার রে এমন গাউন অনেকেই বেছে নিচ্ছে।
পাফ স্লিপ বা নো-স্লিপ
লং ফ্লোর লেংথ
স্কিন -ফ্রেন্ডলি নরম কাপড়
হিজাব ও স্কার্ফ সেটঃ ধার্মিক সাজে যারা আগ্রহী, তারা ম্যাচিং হিজাব ও টিউনিক সেট
বেছে নিচ্ছে।
ছেলেদের জন্য জনপ্রিয় ডিজাইনঃ কুর্তা পাজামা সেটঃ ঈদের সময় ছেলেদের ক্লাসিক
পছন্দ--কুরা ও পাজামা।
সরল ডিজাইন, হাতে হালকা কাজ।
লাইট কালার যেমন পিচ, শীগ্রিন অফ হোয়াইট
অনেকেই এখন slim ফিট কুর্তা পছন্দ করে।
শেরওয়ানিও অভারকোট সেটঃ বিশেষ ইভেন্টের জন্য কিছুটা রাজকীয় লুক পছন্দ হলে
শেরওয়ানি আদর্শ
ম্যাচিং বুট সু বা জুতা
গোল গলা বা ম্যান্ডারিন কালার
পাঞ্জাবি ও জিন্স ঃ ক্লাসিক এবং কেজুয়াল লুক একসাথে চাইলে পাঞ্জাবির
সাথে ডেনিম জিন্স দারুন জনপ্রিয়।
ট্রেন্ডি বাটন ডিজাইনঃ
স্লিপ ফোল্ড করার সুবিধা
পকেট ডিজাইন যুক্ত
ওয়েস্ট কোট সেটঃ কুর্তার উপর ওয়েস্ট কোট বা ছোট কোট পড়ে ঈদের সাজে
ফ্যাশনের ছোঁয়া আনা যাচ্ছে খুব সহজে।
এক্সেসরিজ ও ম্যাচিং অ্যাড-অনঃ
মেয়েদের জন্যঃ হেয়ার ব্যান্ড ছোট পার্স পার্স ব্রেসলেট স্যান্ডেল
ঃ ছেলেদের জন্য ঘড়ি সানগ্লাস জুতা পকেট হ্যাংকার চিফ।
আরাম+ স্টাইল= পারফেক্ট ঈদ লুকঃ বাচ্চারা যতই ফ্যাশনেবল হোক না কেন তাদের জন্য
পোশাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আরাম। তাই এই দিনের জনপ্রিয় ডিজাইনগুলোতে
দেখা যাচ্ছেঃ
সফট ফেব্রিক কটন লিলেন মুসলিম
সিম্পল কাটিং
চুলকানি বা ঘাম না হওয়ার উপযোগী ডিজাইন
শেষে ২০২৬ সালের ঈদে বাচ্চাদের ফ্যাশন রং ডিজাইন আর আরামের দারুন সমন্বয় দেখা
যাচ্ছে। শিশুরা যেন নিজেদের মতো করে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ উদযাপন করতে পারে--সেজন্য
এই নতুন ডিজাইন গুলোই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ফ্যাশনের সাথে আরামঃ মেটেরিয়াল ও কাটিংয়ের দিকঃ
মেটেরিয়াল:(উপাদান)ঃ আরামদায়ক পোশাকের জন্য সঠিক মেটিরিয়াল নির্বাচন করা
জরুরী। কিছু জনপ্রিয় আরামদায়ক মেটেরিয়াল হলঃ
সুতিঃ সুতি হল প্রাকৃতিক তত্ত্ব যা অত্যন্ত নরম, শ্বাস প্রশ্বাসযোগ্য এবং ত-্বক
বান্ধব। হওয়ার জন্য এটি আদর্শ কারণ এটি সহজেই ঘাম শোষণ করে এবং ত্বকের ঠান্ডা
রাখে।সুতির পোশাক পরলে ত্বক এলার্জির মত সমস্যা থেকে মুক্ত থাকে।
লিলেনঃ লিলেনেও একটি প্রাকৃতিক তন্ত যা সতীর চেয়েও বেশি শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য এবং
বাতাস চলাচল করে। এটি গরমের দিনের জন্য অসাধারণ। কারণ লিলেন ফেব্রিক শরীর থেকে
তাপ দ্রুত বের করে দিতে সাহায্য করে। লিলেনের পোশাক হালকা কুটকানো দেখালেও এটি
ফ্যাশনের একটি অংশ।
রেয়নঃ রেওন একটি আধা সিন্থেটিক তন্ত্ত জাত কাঠ বা বাঁশের মতো থেকে তৈরি হয়। এটি
সিল্কের মতো নরম এবং মুসলিম কিন্তু সুতির মতো আরামদায়ক শ্বাস
প্রশ্বাসযোগ্য। রেওন হালকা ও দ্রুত শুকিয়ে যায় যা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য
উপযুক্ত।
ভিসকোসঃ ভিসকোস মূলত রেওনেই একটি ধরন। এটি খুব নরম মসৃণ এবং সিল্কের মতো অনুভব
দেয়। এটি বেশ ভালো করে শরীরের সাথে সুন্দর ভাবে মানিয়ে যায় এবং উজ্জ্বল রং
ধারণ করতে পারে।
মডেলঃ মডেল হল বিচ কাঠ থেকে তৈরি এটি বায়ো গ্রিডে বল তন্ত। এটি অত্যন্ত নরম
মসৃণ এবং সুতির চেয়ে ৫০% বেশি আদ্রতা শোষণ করতে পারে। এটি বার বার ধোয়ার
পরেও নরম উজ্জ্বল থাকে।
টেনসেলঃ টেনসেল ইউক্যালিপটাস গাছ থেকে রি একটি পরিবেশ-বান্ধব তন্তু,। এটি
সিল্কের মতো মসৃণ এবং লিলেনের মত ঠান্ডা। এর শোষণ ক্ষমতা সুতির চেয়ে অনেক বেশি
এবং এটি এলার্জি মুক্ত।
উলঃ ঠান্ডা ব্যবহারের জন্য উল খুব আরামদায়ক। এটি শরীরকেও উষ্ণ রাখে এবং বাতাস
চলাচল বজায় রাখে। মেরিনো উল বিশেষভাবে নরম এবং চুলকানি বিহিন যা সরাসরি ত্বকের
সংস্পর্শে পড়ার জন্য উপযুক্ত।
ক্যাশ মিয়ারঃ ক্যাশমিয়ার এক ধরনের উল যা খুবই নরম হালকা এবং উষ্ণ। এটি
বিলাসবহুল এবং আরামদায়ক শীতের পোশাকের জন্য দারুন।
ইলাস্টেন/স্প্যান্ডেক্সঃ যদিও এলস্টান একা ব্যবহার করা হয় না তবে অল্প পরিমাণে
এটি অন্য কাপড়ের সাথে মিশিয়ে পোশাকে স্ত্রী স্থিতিস্থাপকতা যোগ করে। এর ফলে
পোশাক নড়াচড়ার সময় শরীরের সাথে মানিয়ে যায় এবং আরামদায়ক হয়। যেমন জিন্স
লেগিং বা স্পোর্টস ওয়ারে এর ব্যবহারে দেখায়।
কাটিং পোশাকের ধরন/ফিটিংঃ পোশাকের মেটেরিয়াল যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি এর কাটিং
আরামের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। পোশাকের কাটিং কিভাবে শরীরকে ফিট করে।
রেগুলার ফিটঃ এটি এমন একটি কাটিং নয় আবার খুব বেশি টাইট নয়। এটি শরীরের সাথে
আরামদায়ক ভাবে মানিয়ে যায় এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এতে নড়াচড়া
স্বাধীনতা থাকে।
রিল্যাক্সড ফিটঃ এই ধরনের কাটিং রেগুলার ফিটের চেয়ে কিছুটা ঢেলেঢালা
হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার জন্য
উপযুক্ত। টি -শার্ট শার্ট টাউজার বা জিন্সে এই কাটিং দেখা যায়।
ওভার সাইজড ফিD: এটি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি ট্রেন্ড। অভার সাইজড পোশাক
শরীরের চেয়ে বেশ বড় এবং ঢেলেঢালা হয়। এটি ফ্যাশনে বল এবং অত্যন্ত আরামদায়ক
বিশেষ্য যদি মেটেরিয়াল নরম হয়।
এ-লাইন কাটিংঃ এই ধরনের পোশাক কাজ বা কোমর থেকে শুরু হয়ে নিচের দিকে প্রসারিত
হয় যা এ অক্ষরের মতো দেখায়। এটি সাধারণত কাম স্টোর স বা ড্রেসের দেখা
যায়। এটি চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য দেয় এবং শরীরের সাথে লেগে থাকে না।
স্প্রেইট কাটিংঃ এই ধরনের পোশাক ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সোজাভাবে কাটা হয়। যা
শরীরের সাথে লেগে থাকে না। এটি প্যান্ট কামিজ বা টপসে দেখা যায় এবং যথেষ্ট
আরামদায়ক।
লুজ ফিটঃরিলাক্সড ের ইটের চেয়েও বেশি ঢিলেঢালা হয় এই কাটিং। এটি চরম আরামের
জন্য ভালো বিশেষ করে ঘুমানোর পোশাক বা ঘরে পড়ার জন্য।
ব্যাগী ফিটঃ জিন্স বা ট্রাউজারের এই ফিট দেখা যায় যা কোমর এবং পায়ের অংশবিশ
ঢেলেঢালা হয়। এটি স্টাইলিশ এবং আরামদায়ক।
রাউন্ড নেক ও ভি-নেকঃ আরামদায়ক পোশাকে সাধারণত গলা খোলা থাকে, যেমন গোল গলা বা
ভি-নেক। এগুলো শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এবং আরামদায়ক অনুভব নিতে সাহায্য করে।
আরামদায়ক পোশাক নির্বাচনের টিপসঃ
অনুযায়ী নির্বাচনঃ গরমের দিনে হালকা সুতি লিলেন বা রেওন বেছে নিন। এর জন্য উল
কাশমিয়ার বা ফ্লিশ ভালো।
লেয়ারিং স্তর করে পোশাক পরাঃ ঠান্ডা আবহাওয়ায় হওয়ার জন্য পোশাক স্তরে স্তরে
পড়ুন। এতে প্রয়োজন অনুযায়ী পোষাক যোগ বা বাদ দিতে পারবেন। ।
ভেতরের পোশাকের দিকে মনোযোগ দিনঃ আরামদায়ক অন্তর বা এবং ভেতরের পোশাক আপনার আরাম
অনেকটাই নিশ্চিত করবে।
সঠিক আকারঃ আপনার শরীরের মাপ অনুযায়ী ঠিক আকারের পোশাক পরুন। খুব টাইট
পোশাক রক্ত সঞ্চালন বাধা দিতে পারে এবং অস্বস্তিকর হতে পারে।
ব্যক্তিগত পছন্দঃ সবশেষে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ এবং আপনি কোন পোশাকে সবচেয়ে বেশি
স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
বাচ্চাদের জুতার ট্রেন্ড ২০২৬ঃ ফ্যাশন ও আরামের মেলবন্ধন
২০২৬ সালে বাচ্চাদের জুতার ট্রেন্ডে-মূলত আরাম কার্যকারিতা স্থায়িত্ব এবং
পরিবেশ বান্ধব ও তার ওপর জোর দেওয়া হবে। এর সাথে যোগ হবে আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং
প্রযুক্তির ব্যবহার।
আরাম এবং সুরক্ষাঃ শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য উপাদানঃ গ্রীষ্মকালে সুতির মতো প্রাকৃতিক
তন্ত্র বা শ্বাস-প্রসারযোগ্য জাল ফেব্রিক দিয়ে তৈরি সুতার চাহিদা থাকবে। যা
বাচ্চাদের পা ঘামানো থেকে রক্ষা করবে এবং বাতাস চলাচল নিশ্চিত করবে। শীতকালে নরম
উল বা জুতা জনপ্রিয় হবে।
নমনীয় ষোলঃ ছোট বাচ্চাদের জন্য নমনীয় এবং পাতলা সোল যুক্ত জুতা রেন্ডি
হবে। যা তাদের পায়ের স্বাভাবিক গতিবিধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। হাঁটতে শেখা
বাচ্চাদের জন্য একটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশস্ত পায়ের পাতাঃ বাচ্চাদের পায়ের আঙ্গুল গুলো যাতে আরামদায়কভাবে নড়াচড়া
করতে পারে, সেজন্য প্রশস্ত পায়ের পাতাযুক্ত জুতা গুলো প্রাধান্য পাবে।
সহজ পরিধানঃ ম্যাজিক টেপ এ্লাস্টিক লুপ বা সহজে পড়ানো যায় এমন স্লিভ অন
ডিজাইনগুলো জনপ্রিয় থাকবে যা বাবা মায়ের জন্য সুবিধা দিবে এবং বাচ্চারাও সহজে
জুতা পরতেও খুলতেও পারবে।
নন-স্লিপ সোলঃ পিচ্ছিলতা রোধ করতে রাবার বা টেক্সচার যুক্ত নন-স্লিপ সোল
অপরিহার্য হবে যা বাচ্চাদের খেলাধুলা বা চলাচলের সময় পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা
করবে।
ডিজাইন এবং স্টাইলঃ উজ্জ্বল রং এবং প্যাটার্ন বাচ্চাদের জুতা সবসময় উজ্জ্বল এবং
আকর্ষণীয় রং এর হবে। এত ভালো লাগে না ২০২৬ সালে ট্রেন্ডি গ্রাফিক্স কার্টুন
চরিত্র জিওমেট্রিক্স এবং প্রাকৃতিক ম্যাট্রিক্স যেমন পাতা ফুল পশু সহ জুতা দেখা
যাবে।
স্নিকার্সঃ বিভিন্ন ধরনের শ্রীকাস্ট বিশেষ করে ক্যাজুয়াল এবং স্পর্টস ক্লিকার
ছোট থেকে বড় সকল বাচ্চাদের জন্য জনপ্রিয় থাকবে। এতে হালকা ওজন ভালো কুশনি এবং
স্টাইলিশ ডিজাইন থাকবে।
স্যান্ডেল এবং ক্লোগসঃ গরমের জন্য আরামদায়ক স্যান্ডেল এবং সহজে পড়া যায় এমন
ক্লোগস যেমন ক্রস এর মত জনপ্রিয় থাকবে। এগুলোতে রঙ্গিন ডিজাইন এবং মজাদার চরিত্র
দেখা যাবে।
মিনিমালিস ডিজাইনঃ কিছু জুতাতে সরল এবং পরিপাটি ডিজাইন দেখা যাবে যেখানে
অপ্রয়োজনীয় অলংকরণ বাদ দিয়ে কার্যকারিতার ওপর জোর দেওয়া হবে।
পারটি সুজঃ মেয়েদের জন্য গ্লিটার বো এবং ফ্লোরাল ডিটেইলসহ মেরিজেন বা ফ্লাট জুতা
এবং ছেলেদের জন্য মিনিমা লিস্ট থাকবেলোফার বা ফরমাল চাহিদা থাকবে।
ইউনিসেক্স ডিজাইনঃ এবং ডিজাইনগুলো আরো বেশি জনপ্রিয় হবে যা ছেলে ও মেয়ে উভয়ের
জন্যই উপযুক্ত।
উপাদান এবং পরিবেশ-বান্ধবতাঃ পুনর ব্যবহারযোগ্য উপাদানঃ পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির
কারণে পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক রবার বা টেক্সটাইল ফাইবার থেকে তৈরি জুতাগুলো
বাজারে আসবে।
প্রাকৃতিক এবং জৈব উপাদানঃ অর্গানিক কটন হেম্প কর্ক এবং ভিগান লেদারের
মতো পরিবেশ-বান্ধব উপাদান গুলোর ব্যবহার বাড়বে।
টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ীঃ দ্রুত বর্ধনশীল শিশুদের জন্য টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী
জুতা যা বারবার কেনা থেকে বাঁচায় এমন জুতা প্রতি বাবা মায়েরা ঝুকবেন।
প্রযুক্তি এবং কার্যকারিতাঃ এলইডি জুতার সোল বা পাশে সংযুক্ত এলইডি লাইট গুলো
বাচ্চাদের কাছে খুবই জনপ্রিয় থাকবে।
স্মার্ট জুতাঃ যা বাচ্চাদের কার্যকলাপ যেমন হাঁটার গতি বা দূরত্ব ট্র্যাক
করতে পারে। সেগুলো ভবিষ্যতের ট্রেন্ড হতে পারে যদিও ২০২৬ সাল নাগাদ এগুলো
কতটা সহজলভ্য হবে তা বলা কঠিন।
সঠিক ফিটিং সিস্টেমঃ ম্যাজিক টেপ বা ইলাস্টিক ছাড়া এমন সিস্টেম থাকতে পারে যা
পায়ের আকার অনুযায়ী আরো ভালোভাবে ফিট হয়।
বাচ্চাদের জুতার আনুষাঙ্গিক ট্রেন্ড ২০২৬ঃ জুতার সাথে আনুষাঙ্গিক উপকরণ
গুলো বাচ্চাদের স্টাইল ও আরামের জন্য গুরুত্বপূর্ণঃ
রঙ্গিন মোজাঃ জুতার সাথে মিলিয়ে বিপরীত উজ্জ্বল রং এর মোজা যাতে
মজার প্যাটার্ন কার্টুন বা সুপার হিরোদের ছবি থাকবে সেগুলো জনপ্রিয় হবে।
জুতার ল্যাসেসঃ সাধারণ ল্যাসেসের পরিবর্তে উজ্জ্বল মাল্টি কালার বাপ লিমিটেড
ল্যাসেস ফ্যাশনেবল হবে। কিছু ক্ষেত্রে ইলাস্টিক ল্যাসেস ব্যবহার করা হবে যার জুতা
পরা সহজ করবে।
জুতা সাজানোর আনুষঙ্গিকঃ ক্লোগস বা কিছু স্নিকার্সে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন
চরিত্রের জুতার ৪ বা ছোট অলংকার জনপ্রিয় থাকবে যা বাচ্চারা নিজেদের পছন্দমতো
জুতা সাজাতে ব্যবহার করতে পারবে।
জুতার ক্লিনিং কিটসঃ বাচ্চাদের জুতা যেহেতু দ্রুত নোংরা হয় তাই পরিবেশবান্ধব এবং
সহজে ব্যবহারযোগ্য জুতা পরিষ্কারের কিট গুলো বাবা-মায়ের কাছে আকর্ষণীয়
হবে।
ফুট বেড বা ইনসোলঃ অতিরিক্ত আরামবাগ পায়ের আর্থ সাপোর্টের জন্য নরম এবং
শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য ফুটবেট বা ইনসোলের চাহিদা থাকবে। যা পাই এর স্বাস্থ্যকে
উন্নত করবে।
সংক্ষেপে, ২০২৬ সালে বাচ্চাদের জুতা এবং আনুষাঙ্গিক ট্রেন্ডে আরাম কার্যকারিতা
নিরাপত্তা এবং পরিবেশবান্ধবতার ওপর জোর দেওয়া হবে যা স্টাইলিশ এবং উদ্ভাবনী
ডিজাইনের মাধ্যমে প্রকাশ পাবে। বাবা মায়েরা এমন পণ্য চাইবেন যা তাদের বাচ্চাদের
সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে এবং একই সাথে ফ্যাশনেবল হবে।
ঈদের ফ্যাশনে বয়েজ বনাম গার্ল ড্রেসিং স্টাইল
ছেলেদের ঈদের ফ্যাশনে মূলত আরাম এবং রুচিশীলতার উপর জোর দেওয়া হয়। ঐতিহ্যবাহী
পোশাকের পাশাপাশি আধুনিক ক্যাজুয়াল পোশাক ও জনপ্রিয়।
ঐতিহ্যবাহী পোশাকঃ পাঞ্জাবি।ঃ ঈদের দিনের প্রধান আকর্ষণ হল পাঞ্জাবি। এর আবেদন
চিরন্তন।
কাপড়; ই গরমের সময় পড়ে, তাই ছুটি লিলেন কটন স্ল্যাব কটন খাবি বা ভিসকসের মত
আরামদায়ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড়ের পাঞ্জাবি বেশি জনপ্রিয়। হালকা সিল্ক
বা মুসলিমের পাঞ্জাবি ও দেখা যায়।
নকশাঃ পাঞ্জাবিতে খুব জমকালো কাজ আজকাল কম দেখা যায়। বরং মিনিমাম নকশা শুকনো
কারচুপি এমব্রয়ডারি তাই বাটি ব্লক প্রিন্ট স্ক্রিন স্প্রিন্ট বা চিকেন কারি নকশা
জনপ্রিয়। সেইড বা হালকা টাইও ফ্যাশনে ইন।
রংঃ হালকা পেস্টেল সেড যেমন হালকা নীল ধূসর সাদা অফ হোয়াইট অলিভ গ্রিন থেকে শুরু
করে উৎসবের আমেজ দেওয়া গারোর রং যেমন মেরুন নেভি ব্লু পটল গ্রীন সব ট্রেন্ডে
থাকে থেকে ।
ফিটঃ রেগুলার ফিড সেমিফিড এবং ফিটেট পাঞ্জাবি সবই পাওয়া যায় তবে আরামের জন্য
রেগুলার বা সেমিফিল্ড পাঞ্জাবি বেশি পছন্দ করা হয়।
কম্বিনেশনঃ পাঞ্জাবির সাথে ম্যাচিং পায়জামা চুড়িদার বা আলীগড় বডি প্যান্ট বা
সালোয়ার করা হয়। অনেক ক্যাজুয়াল লোকের লুকের জন্য জিন্স বা চিনো
প্যান্টির সাথে ও পাঞ্জাবি পড়েন।
শেরওয়ানি/কুর্তা/জুব্বাঃ পাঞ্জাবির মতোই তবে আরও একটু ফরমাল বা ঐতিহ্যবাহী লুকের
জন্য শেরওয়ানি বা কুর্তা বেছে নিতে পারেন। জুব্বা খুব আরামদায়ক এবং ঢিলেঢালা
হয় যা গরমের জন্য ভালো।
আধুনিক এবং ক্যাজুয়াল পোশাকঃ দেয়
শার্টঃ ঈদে ক্যাজুয়াল শার্ট এর চাহিদা বেশ ভালো থাকে।
ধরুনঃ ফরমাল শার্টের বদলে হাওয়াইয়ান ইউ ওয়ান কলার শার্ট বা সাধারণ ক্যাজুয়াল
শার্ট জনপ্রিয়।
স্লিভঃ ফুল হাতার বদলে হাফ হাতা শার্ট গরমে আরামদায়ক।
কাপড় ও ডিজাইনঃ সুতির পাশাপাশি লিলেন বা ভিসকসের শার্ট দেখা যায়। বাটিক
ভেজিটেবল ডাই টাই টাই স্কিন প্রিন্ট বা ব্লক ডিজাইনের শার্ট ও দেশ চলে।
-টি শার্ট ও পোলো শার্টঃ তরুণদের মধ্যে আরামদায়ক টি-শার্ট ও পোলো শার্ট
জনপ্রিয়। বিশেষ করে স্পর্টস টি শার্ট যা ঘাম শোষণ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা
রাখে তার চাহিদাও বেশি।
ব্লেজার/কোটিঃ ঈদের দাওয়াতে সেমী ফরমান লোকের জন্য হালকা ফেব্রিকের ব্লেজার বা
কোটি পড়তে পারেন। এটি পোশাকের বৈচিত্র্য আনে।
প্যান্টঃ পাঞ্জাবি বা শার্টের সাথে চিনো পেন ডেনিম জিন্স বা সাধারণ সুতির
ট্রাউজার মানিয়ে যায় ।
ঈদের ফ্যাশনে মেয়েদের ড্রেসিং স্টাইলঃ মেয়েদের ঈদ ফ্যাশনে ঐতিহ্যবাহী শাড়ি
সালোয়ার কামিজ থেকে শুরু করে আধুনিক কুর্তি গাউন বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের মিশ্রণ
দেখা যায়। এবং উৎসবের আমেজ দুটোই এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহ্যবাহী এবং দেশীয় পোশাকঃ
শাড়িঃ ঈদের দিনে শাড়ি একটি ক্লাসিক পছন্দ।
কাপড়ঃ গরমের জন্য সুতি জামদানি প্রিন্টেড হাফ সিল্ক লিলেন ধুপিয়ান ভয়েল মুসলিম
ও তাঁতের শাড়ির প্রাধান্য দেখা যায়। হালকা কৃত্রিম মুসলিম বা পাতলা চোষা পাতানো
জনপ্রিয়।
নকশাঃ শাড়ির জমিনে হাতের কাজ মেশিনের কাজ স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট হ্যান্ড
পেইন্ট এর মাধ্যমে ফুলপাতা বা জ্যামিতিক নকশা দেখা যায়। এমব্রয়ডারি
কাটওয়ার্ক পুতি ও জরির কাজ করা শাড়ি ও বেশ চলে।
রেডি-টু-ওয়ার শাড়িঃ সহজে পড়ার জন্য রেডি-টু-ওয়্যার সারির দেশ জনপ্রিয়তা
পেয়েছে। এগুলো অনেকটা লেহেঙ্গা ঘরানার হয় যেখানে এসকর্ট এর মত কুচি করা থাকে
এবং আঁচল সেট করা থাকে।
সালোয়ার-কামিজঃ এটি মেয়েদের জন্য আরেকটি জনপ্রিয় এবং আরামদায়ক ঈদের পোশাক।
ধরনঃ লং কামিজ শর্ট কামিজ আনারকলি গারারা সারারা বা নাইরা কার্ড ড্রেস ট্রেন্ডে
থাকে।
কাপড়ঃ সুতি লিলেন ভিস্কস জর্জেট শিপন বা সিল্কের কাপড়ে তৈরি সালোয়ার-কামিজ
আরামদায়ক এবং ফ্যাশনেবল।
নকশাঃ এমব্রয়ডারি সিকোয়েন্স জরি পুতি ডিজিটাল প্রিন্ট বা হ্যান্ড পেইন্ট এর কাজ
দেখা যায়।
কম্বিনেশনঃ পালাজো কিউল টস লেগিংস বা কম্বিনেশন বা চুরিদার পায়জামার সাথে
সালোয়ার কামিজ পড়া হয়,
কুর্তি টপসঃ শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের বাইরেও সিঙ্গেল কুর্তি বাট
টপস ঈদ ফ্যাশনের জনপ্রিয়।
নকশাঃ ফ্লোরাল প্রিন্ট জিওমেট্রিক্স প্যাটার্ন বা শুকনো এমব্রয়ডারিযুক্ত কুর্তি
ও টপস জগতে দেখা যায়।
কম্বিনেশনঃ জিন্স লেগিং পালাজো বা এসকার্টের এর সাথে কুর্তি পরা হয়।
আধুনিক এবং ফিউশন স্টাইলঃ
ম্যাক্সি ড্রেস ও গাউনঃ আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ ম্যাক্সির ড্রেস বা ফ্লোর লেন
গাউন ঈদের পার্টিতে বেশ জনপ্রিয়। হালকা বা ফ্লোরাল প্রিন্টের গাউন গরমের জন্য
ভালো।
ফিউশন লুকঃ ওয়েস্টার্ন এবং প্রাচ্যের পোশাকের মিশ্রণ ও দেখা যায়। যেমন ঘের
দেওয়া কুর্তি বা ম্যাক্সি ড্রেসের সাথে ডেনিম জ্যাকেট বা স্টাইলিশ কোটি অথবা
ফিসকার্ট স্কার্টের সাথে ফুল স্লিভ টপ।
বোরকা/আবায়াঃ যারা বোরকা বা আবায়া পড়েন তাদের জন্য এখন সুন্দর ডিজাইন এবং
আরামদায় কাপড়ের বোরকা পাওয়া যায়। এমব্রয়ডারি বা লেসের কাজ করা হালকা ওজনের
বোরকা জনপ্রিয়।
ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য সাধারণ টিপসঃ
আরামঃ ঈদের দিন যেহেতু সারাদিন ঘোরাঘুরি বা দাওয়াতে ব্যস্ত থাকতে হয় তাই
পোশাকের আরাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এমন কাপড় বেছে নিন যা আপনাকে স্বস্তি
দিবে।
আবহাওয়াঃ ঈদের সময় গরম থাকলে সুতি নিলেন বা ডিসকসের মতো হালকা কাপড় বেছে নিন।
ঠান্ডা থাকলে সিল্ক মুসলিম বা হালকা উল পড়তে পারেন।
রংঃ উজ্জ্বল রং ঈদের উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে তোলে। হালকা বা প্যাস্টেল শেডের
পাশাপাশি গারো রঙ্গ করতে পারেন।
ফিটিংঃ অতিরিক্ত টাইট বা খুব ঢিলেঢালা পোশাকের বদলে এমন ফিট বেছে নিন যা আপনার
জন্য আরামদায়ক এবং চলাচলে স্বাধীনতা দিবে।
ফ্যাশন টিপসঃ কিভাবে বাচ্চাদের সাজাবেন ঈদে
২০২৬ সালে বাচ্চাদের ঈদ ফ্যাশনে দেখা যাচ্ছে পরিবেশ বান্ধব কাপড় ডিজিটাল প্রিন্ট
এবং স্মার্ট ফ্যাশনের অধিপত্য আধুনিক ডিজাইনের পাশাপাশি শিশুদের আগমন নিরাপত্তাকে
গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হচ্ছে পোশাক। চলুন ২০২৬ সালের গুরুত্বপূর্ণ
কিছু ট্রেন্ড।
ডিজিটাল প্রিন্ট ও কার্টুন মোটিফঃ এই বছর ডিজিটাল প্রিন্টের কুর্তা ফ্রক ও
শার্টগুলো দারুন জনপ্রিয় । সার্ভেল ডিজনি বাংলার রূপকথা বা অ্যানিমে ক্যারেক্টার
এর মোটিভ ও যুক্ত হচ্ছে পোশাকে, যা বাচ্চাদের খুব পছন্দ।
ইকো- ফেব্রিক ও স্কিন-সেইফ কাপড়ঃ ২০২৬ সালে আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে ইকো
ফ্রেন্ডলি অর্গানিক কটন ও বাম্বু ফেব্রিক। এগুলো পরিবেশবান্ধব এবং বাচ্চাদের
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ইকো ফ্রেন্ডলি ফেব্রিক এর জয়যাত্রাঃ, আজকাল শুধু বড়দের নয় শিশুদের পোষা কেউ
দেখা যাচ্ছে ইকো ফ্রেন্ডলি বা অর্গানিক ফেব্রিকের ব্যবহার। বা রিসাইকেল ফেব্রিক
ব্যবহার করে বানানো পোশাক এখন অনেক ব্র্যান্ড তৈরি করছে। এই ধরনের কাপড় যেমন
শিশুর সংবেদনশীল ত্বকে উপযোগী তেমনি পরিবেশ ও সুরক্ষিত থাকে। এই কারণে সচেতন
অভিভাবকরা এখন এমন পোশাকের দিকেও ঢুকছেন।
ট্রেডিশনাল ফিউশনঃ ছেলেদের জন্য শার্ট কামিজ বা কুর্তি প্যান্টের কম্ব এবং
মেয়েদের জন্য ফ্রক কামিজ কম্বিনেশন জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ট্র্যাডিশনাল লুকের
সঙ্গে যোগ হচ্ছে ওয়েস্টার্ন ফ্লেয়ার।
কালার ট্রেন্ডঃ প্যাস্টেল+ ন্যাচারাল টোনঃ ২০২৬ সালের রঙের ট্রেন্ডে থাকছে
মিন্ট গ্রীন সেন্ট ব্যাচ স্কাই ব্লু কোরাল পিং এবং লেভেন্ডার। এই রং গুলো ঈদের
গরম দিনে আরাম দেয় এবং ক্যামেরাও দারুন লাগে।
রঙ্গের রাজত্বঃ প্যাস্টেল ও ন্যাচারাল শেডঃ ২০২৬ সালে বাচ্চাদের পোশাককে মূলত
ব্যবহার হচ্ছে নবম এবং চোখে শান্তি দেয় এমন রং। মিন্ট গ্রিন পিচ স্কাই ব্লু ওরাল
পিংক লেভেন্ডার কিংবা স্যান্ডউইজ এর মত রং গুলো এই বছর অনেক বেশি জনপ্রিয়। এই রং
গুলো যেমন গরমে আরাম দেয় তেমনি ক্যামেরাও দারুন ফটোজেনিক দেখায়।
ম্যাচিং সেটঃ ও ছেলেটি আউটফিটঃ পুরো পরিবারের জন্য ক্রিম কালার সেট করা বা
ভাই-বোনদের জন্য ম্যাচিং ডিজাইন--এটি এখন ফ্যাশনের অন্যতম ট্রেন্ড। ফটোশুট
বা ঈদের দিনে স্মার্ট লুকের এর জন্য দারুন কার্যকর।
ম্যাচিং ফ্যামিলি আউটফিটের জনপ্রিয়তাঃ একই ডিজাইন বা রংয়ের পুরো পরিবারের জন্য
পোশাক বানানো এখন অনেকেই পছন্দ করছেন। শিশুদের জন্য আলাদা ছোট ডিজাইন কপি করে
বানানো পাঞ্জাবি বা ফ্রগ আর অভিভাবকদের জন্য ম্যাচিং সেট--এগুলো ঈদের আনন্দ আরও
বাড়িয়ে তোলে। ঈদের দিনে পুরো পরিবার যখন একসঙ্গে থিম একটি সাজে সেজে উঠে তখন
সেই মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দি করতেই হয়।
পরিশেষে ঈদ ২০২৬ বাচ্চাদের ফ্যাশন ট্রেন্ড নিয়ে আমি কন্টেন্ট লিখেছি. এই টপিকের
কোন অংশটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে সে সম্পর্কে আপনারা মন্তব্য করে আমাকে
জানাবেন। আর আপনাদের পরিচিতি বন্ধু মহলে আমার এই তথ্য জানাবেন আর আমার লেখা যদি
কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলেও আমাকে অবশ্যই জানাবেন লাইক দিবেন এবং কমেন্ট করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url