"কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা খরচ ও প্রক্রিয়া ২০২৫"
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫ এর খরচ, আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। চাকুরী জীবনযাত্রা ও ভিসাফি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গাইড।
পেজ সূচিপত্রঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫
আলোচনায় যা থাকছে
- ভূমিকা
- কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা কি এবং কেন দরকার
-
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা কি এবং কেন দরকার?
- কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াভিসা
- আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শর্তাবলী
- কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্ত
-
কুয়েতি ড্রাইভিং ভিসার মেয়াদ ও নবায়ন প্রক্রিয়া
- উপ সংহারঃ কুয়েতি ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫
-
FAQ :কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা সংক্রান্ত সাধারণ প্রশ্নোত্তর
- Call to Action
- লেখকের মন্তব্য
ভূমিকাঃ
যদিও আমাদের মূল ফোকাস ফ্যাশন, তবে অনেক পাঠকের অনুরোধে কুয়েতে ড্রাইভিং
ভিসা সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হলো। কুয়েতে কাজ বা
ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে এই তথ্য অত্যন্ত সহায়ক।
প্রধান বিষয়বস্তুঃ
- ড্রাইভিং ভিসার আবেদন শর্তঃ কুয়েতে কাজের জন্য আবেদনকারী কে অবশ্যই ২১---৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে, বৈধ পাসপোর্ট ওresidency permit থাকতে হবে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ প্রয়োজন পাসপোর্ট ড়েসিদেঞ্চ্য কার্ড মেডিকেল সার্টিফিকেট, এবং স্থানীয় ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রয়োজনীয় ফর্ম।
- ভিসা কিঃ সাধারণত ১০০ -- ১৫০ kD মেডিকেল টেস্ট ও ট্রাফিক ফি আলাদা ভাবে.
- মেয়াদ ও নবায়ন: সাধারণত ৬ মাস বা এক বছরের জন্য ইস্যু হয়.
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা কি এবং কেন দরকার?
কুয়েত একটি মধ্যপ্রাচ্যের সম্মিলিত দেশ, যেখানে কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিবছর
হাজার হাজার প্রবাসী যান। চাকরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনকে সহযোগ
গতির্ময় করতে ড্রাইভিং ভিসায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুমতি। মূলত এটি
একটি বৈধ কাগজপত্র যার মাধ্যমে আপনি কুয়েতে আইনগতভাবে গাড়ি চালাতে
পারবেন।
ড্রাইভিং ভিসা পাওয়া মানে শুধুমাত্র গাড়ি চালানো অনুমতি নয়, বরং এটি
প্রবাসী জীবনের অনেক সুবিধা দাড়াও খুলে দেয়। কারণ কুয়েতে গণপরিবহন সীমিত
এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যাতায়াতের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা অপরিহার্য হয়ে
ওঠে।
কেন কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা দরকার?
চাকুরীর সুবিধাঃ
অনেক চাকুরীতে(যেমন--ড্রাইভার, ডেলিভারি সার্ভি্স, কোম্পানির অফিসিয়াল
ড্রাইভার) ড্রাইভিং ভিসা থাকা আবশ্য। ক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া এসব কাজে যোগ
দেওয়া যায় না।
ব্যক্তিগত সুবিধাঃ
প্রবাস জীবনে পরিবারের সঙ্গে কোথাও যাওয়া, বাজার করা বা দূরে যাতায়াত করা
হলে গাড়ি চালানোর সুযোগ থাকাটা জীবনকে অনেক সহজ করে তোলে।
সময় ও খরচ সাশ্রয়ঃ
ড্রাইভিং ভিসা ছাড়া গাড়ি চালালে কুয়েতে আইনগত সমস্যা, এমনকি জেল ও হতে
পারে। তাই বৈধ ভিসা থাকা নিরাপদ যাতায়াতের নিশ্চয়তা দেয়।
সামাজিক মর্যাদা ও স্বাধীনতাঃ
গাড়ি চালানোর সুযোগ থাকলে প্রবাসী জীবনে আত্মবিশ্বাস ও স্বাধীনতা বেড়ে
যায়, যা অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক মর্যাদার প্রতিফলন ঘটায়।
সংক্ষেপে, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা শুধু চাকরির সুযোগ নয্, বরং দৈনন্দিন জীবনে
সহ্জ, শাস্ত্রই এবং নিরাপদ চলাচলের জন্য অপরিহার্য।
কুয়েত ড্রাইভিং ভিসার খরচ ২০২৫
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন, ফি, এবং অন্যান্য
আনুষঙ্গিক খরচের উপর। সাধারণত কুয়েত সরকার নির্ধারিত সরকারি ফি এর পাশাপাশি
কিছু প্রসেসিং খরচ ও চিকিৎসা/ডকুমেন্ট যাচাই ফি যুক্ত হয়।
ড্রাইভিং ভিসার সরকারি ফি
২০২৫ সালে কুয়েত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভিসার খরচ আনুমানিক নিম্নরূপঃ
আবেদন ফিঃ প্রায় দশ কুড়ি দিনা:(KWD)
লাইসেন্স ইস্যু ফি: প্রাই ত্রিশ কুয়েতি ডিনার(KWD)
লাইসেন্স নবায়ন ফি(প্রতিবছর): প্রায় ১০ কুয়েতি দিনার(KWD)
কুয়েতি ডিনার প্রায় ৩৫০ --৩৭০ টাকা(বাংলাদেশী টাকায়).
মূল খরচ আনুমানিক ১৫,০০০-- ১্৮,০০০ টাকা হতে পারে।
অতিরিক্ত খরচ
ড্রাইভিং ভিসা করার সময় সরকারি ফি ছাড়াও কিছু অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হয়ঃ
চিকিৎসা পরীক্ষাঃ প্রায় ১০ থেকে ১৫ কুয়েতি ডিনার।
ডকুমেন্ট অনুবাদ বা সত্যায়নঃ ৫ থেকে ১০ কুয়েতি ডিনার।
কোম্পানি প্রসেসিং ফি(, যদি কোম্পানি করে দেয়) ২০-৫০ কুয়েতি দিনার।
ড্রাইভিং কোর্স ও পরীক্ষা ফিঃ২০-৩০ কুয়েতি ডিনার।
মোট খরচ(আনুমানিক)
সব খরচ যোগ করলে ২০২৫ সালে কুয়েতি ড্রাইভিং ভিসা পেতে প্রায়ই ৮০--১২০
কুয়েতি দিনার(KWD) পর্যন্ত খরচ হতে পারে.
বাংলাদেশি টাকার হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রায় ২৮,০০০--৪২,০০০টাকা।
খরচ কেন ভিন্ন হয়?
কোন এজেন্সির মাধ্যমে করছেন, নাকি সরকারি নিজে করছেন
কোম্পানি বা স্পন্সর খরচ বহন করছে কিনা
ফোন ধরনের ড্রাইভিং ভিসা(ব্যক্তিগত নাকি পেশাগত)
অতিরিক্ত পরীক্ষা বা ডকুমেন্টেশন দরকার কিনা
সংক্ষেপে, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫ এ করতে হলে গড়ে৮০-১২০KWD
(প্রায় 28-42 হাজার টাকা) খরচ হয়. তবে খরচ ব্যাক্তিগত বা পেশাগত ভিসার ধরন
এবং প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হতে পারে।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া
ড্রাইভিং ভিসা পাওয়া একটি ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া, যেখানে প্রয়োজনীয়
ডকুমেন্ট সংগ্রহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু
নিয়ম মানতে হয়।
ধাপ ১ঃ যোগ্যতা যাচাই
- নূন্যতম বয়সঃ ১৮ বছ:(প্রাইভেট লাইসেন্সের জনঃ()
- বৈধ রেসিডেন্ট পারমিট(Iqama) থাকতে হবে.
- নির্দিষ্ট প্রেসার জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হতে পারে।
ধাপ ২ঃ আবেদনপত্র পূরণ
- কুয়েতের ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট এ গিয়ে নির্ধারিত আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।
- ফর্মে সঠিক তথ্য পূরণ করে জমা দিতে হবে।
ধাপ ৩ঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা
আবেদনের সময় সাধারণত নিম্নলিখিত ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়ঃ
- বৈধ পাসপোর্ট কপি
- রেসিডেন্স পারমিট(Iqama)
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি(৪-৬ কপি)
- কোম্পানি বা স্পন্সরের লেটার(যদি চাকরির জন্য হয়)
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট।
ধাপ ৪ঃ মেডিকেল পরীক্ষা
স্বাস্থ্য পরীক্ষা(Medical Test) করতে হবে। এটি সাধারণত সরকারি হাসপাতাল বা
অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে করা হয়। রিপোর্ট ঠিক থাকলে পরবর্তী ধাপে যাওয়া
যায়।
ধাপ ৫ঃ ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি
ড্রাইভিং শেখার জন্য অনুমোদিত ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হতে হবে। এখানে আপনাকে
তথ্য ও(Theory) ও ব্যবহারিক(Practical) প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ধাপ ৬ঃ পরীক্ষা(Test)
দুই ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়:
1. লিখিত পরীক্ষা(Theory Test) ট্রাফিক সাইন, আইন কানন ও
নিরাপত্তা নিয়ম নিয়ে.
2. ড্রাইভিং পরীক্ষা(Practical Test) গাড়ি চালানোর দক্ষতা যাচাই
করা হয়.
ধাপ ৭ঃফি পরিশোধ
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সরকারি নির্ধারিত ফি(লাইসেন্স ইস্যু ফি) জমা দিতে
হয়।
ধাপ ৮ঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনাকে
কুয়েত ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এটি সাধারণত ১-১০ বছরের
জন্য বৈধ থাকে(লাইসেন্সের ধরন অনুযায়ী)।
সংক্ষেপে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে হলে যোগ্যতা যাচাই--আবেদনপত্র
পূরণ--ডকুমেন্ট জমা--মেডিকেল পরীক্ষা--ড্রাইভিং স্কুল--পরীক্ষা--ফি
পরিশোধ--লাইসেন্স সংগ্রহ--এই ধাপগুলো সম্পন্ন করতে হয়।
ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও শর্তাবলী
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা
দিতে হয় এবং শর্ত পূরণ করতে হয়। এসব ডকুমেন্টও শর্ত সঠিকভাবে প্রস্তুত না
করলে আবেদন গ্রহণ নাও হতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বৈধ পাসপোর্ট--কমপক্ষে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
- রেসিডেন্স পারমিট(Iqama) কপি-কুয়েতে বৈধভাবে অবস্থানের প্রমাণ.
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি(৪-৬ কপি)--সাধারণত সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে.
- কোম্পানি বা স্পন্সরের লেটার-চাকুরীর ভিত্তিতে আবেদন করলে এটি বাধ্যতামূলক.
- জাতীয় পরিচয় পত্র(NID) বা জন্ম সনদ(যদি প্রয়োজন হয়)-পরিচয় যাচাইয়ের জন্য.
- মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট-স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করার পর প্রদত্ত রিপোর্ট.
- শিক্ষাগত সনদপত্র(যদি চাওয়া হয়)-ন্যূনতম হাই স্কুল সার্টিফিকেট.
- ফি জমার রশিদ--আবেদন ও প্রসেসিং ফি জমা দেওয়ার প্রমান.
প্রয়োজনীয় শর্তাবলী
বয়সের শর্ত:
- প্রাইভেট ড্রাইভিং ভিসার জন্য নূন্যতম ১৮ বছর.
- পেশাগত ড্রাইভিং ভিসার জন্য নূন্যতম ২১ বছর
পেশাগত শর্ত:
- ড্রাইভার, ডেলিভারি কর্মী, হাউস ড্রাইভার ইত্যাদি চাকরির জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার.
- অন্যান্য পেশায় থাকলে অতিরিক্ত শর্ত পূরণ করতে হয়.
আয়ের শর্ত:
- মাসিক বেতন সাধারণ ৬০০ কুয়েতি দিনার বা তার বেশি হলে সহজে লাইসেন্স পাওয়া যায়.
মেডিকেল শর্ত:
- চোখ স্নায়ু এবং সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে হবে.
আইন মেনে চলা:
- পূর্বে কোন গুরুতর অপরাধ বা ট্রাফিক আইন ভঙ্গের রেকর্ড থাকা যাবে না
সংক্ষেপে, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য পাসপোর্ট, রেসিডেন্স
পারমিট, ছবি, স্পন্সরের লেটার, মেডিকেল রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয়
কাগজপত্র জমা দিতে হয় এবং বয়স, পেশা, আয় ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত
শর্ত পূরণ করতে হয়।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও শর্ত
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা বা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু
নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলো না মানলে আবেদন গ্রহণ
করা হয় না।
১। বয়সের শর্ত
প্রাইভেট লাইসেন্সের জন্যঃ ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর
পাবলিক/পেশাগত লাইসেন্সের জন্যঃ নূন্যতম বয়স ২১ বছর
২। বৈধ রেসিডেন্স পারমিট(Iqama) কুয়েত বৈধভাবে অবস্থান
করছেন তার প্রমাণপত্র থাকতে হবে।
৩। পেশাগত যোগ্যতা
কুয়েতে সবার জন্য ড্রাইভিং ভিসা সহজে দেওয়া হয় না। কিছু নির্দিষ্ট
ব্যাসার জন্য বিশেষ সুবিধা থাকে, যেমনঃ
- কোম্পানির ড্রাইভার
- ডেলিভারি কর্মী
- হাউজ ড্রাইভার
- বড় কোম্পানির অফিসিয়াল ড্রাইভার
অন্যান্য প্রেসার ক্ষেত্রে ড্রাইভিং ভিসা পেতে অতিরিক্ত শর্ত পূরণ
করতে হয়
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতা
সাধারণত ন্যূনতম হাই স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের
শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়। তবে ড্রাইভার পদে সরাসরি নিয়োগ পেলে
কিছু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়।
৫। আয়ের শর্ত
কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন থাকতে হয়। যেমনঃ
মাসিক বেতন ৬০০ কুয়েতি দিনার(KWD) বা তার বেশি হলে ড্রাইভিং
লাইসেন্স পাওয়া সহজ হয়।
এর নিচে হলে আবেদন জটিল হতে পারে, বিশেষ করে প্রাইভেট ভিসার জন্য।
মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট
ড্রাইভিং ভিসা পেতে হলে মেডিকেল টেস্ট করে প্রমাণ করতে হবে যে আপনার
দৃষ্টি ও স্বাস্থ্য গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত।
আইন মানার শর্ত
পূর্বে কোন গুরুতরফিক অপরাধ বা অপরাধ মূলক রেকর্ড থাকলে লাইসেন্স
দেওয়া নাউন হতে পারে।
সব নিয়ম কানুন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
সংক্ষেপে, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য নূন্যতম বয়্স, বৈধ
রেসিডেন্স পারমি্ট, নির্দিষ্ট পেশা, পর্যাপ্ত আয় শিক্ষাগত
যোগ্যতা ও মেডিকেল ফিটনেস থাকা বাধ্যতামূলক।
কুয়েতি ড্রাইভিং ভিসার মেয়াদ ও নবায়ন প্রক্রিয়া
ড্রাইভিং ভিসার মেয়াদ
কুয়েতে ড্রাইভিং লাইসেন্স বা ভিসার মেয়াদ সাধারণত নিচের ধরন
অনুযায়ী হয়ঃ
- প্রথমবার লাইসেন্স ইস্যুঃ সাধারণত এক বছর মেয়াদী দেওয়া হয়।
- পরবর্তী নবায়নঃ সফলভাবে নবায়ন করলে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে।
- পেশাগত ড্রাইভিং লাইসেন্সঃ কোম্পানি বা চাকরির উপর নির্ভর করে সাধারণত ৩ থেকে ৫বছরের জন্য দেওয়া হয়।
নবায়নের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লাইসেন্স নবায়ন করতে হলে কয়েকটি নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে
হয়ঃ
- পুরাতন ড্রাইভিং লাইসেন্স
- বৈধ রেসিডেন্স পারমিট(Iqama) কপি
- পাসপোর্ট কপি
- নতুন মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট(যদি চাওয়া হয়)
- নির্ধারিত নবায়ন ফি
নবায়ন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে
- 1.আবেদন জমাঃ ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট বা অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- ডকুমেন্ট জমাঃ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পুরাতন লাইসেন্স জমা দিতে হবে।
- ফি পরিশোধঃ নবায়নের নির্ধারিত ভি পরিশোধ করতে হবে।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষাঃ প্রয়োজন হলে নতুন করে মেডিকেল টেস্ট করতে হবে।
- নতুন লাইসেন্স সংগ্রহঃ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নতুন লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।
নবায়নের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম
- রেসিডেন্স পারমিট বৈধ থাকতে হবে, না হলে নবায়ন করা যাবে না।
- পূর্বে গুরুতর ট্রাফিক অপরাধ থাকলে নবায়নে জটিলতা হতে পারে।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না করলে জরিমানা গুনতে হয়।
সংক্ষেপে, কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা প্রথমে এক বছরের জন্য
দেওয়া হয্, পরে নবায়নের মাধ্যমে ৫-১০ বছর পর্যন্ত বৈধ হতে
পারে। নবায়নের জন্য পুরাতন লাইসেন্স, রেসিডেন্স পারমিট,
পাসপোর্ট কপি, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও নবায়ন ফি জমা দিতে
হয়।
উপসংহারঃ কুয়েতি ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা শুধু একটি কাগজপত্র নয়, বরং এটি প্রবাস
জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা কুয়েতে কাজ করেন বা দীর্ঘসময়
বসবাস করেন, তাদের জন্য ড্রাইভিং ভিসা থাকা মানে সহজ যাতায়াত ভালো
চাকরির সুযোগ সময় ও খরচ সাশ্রয় এবং সর্বোপরি নিরাপদ জীবন
যাপন।
ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, যোগ্যতা ও শর্ত পূরণ
করলে এটি পাওয়া সম্ভব এবং নিয়মিত মেয়াদ এবং সুবিধা ভোগ করা
যায়। তবে সব সময় কুয়েতের আইন কানুন মেনে চলা ট্রাফিক নিয়ম মানা
এবং বৈধভাবে গাড়ি চালানো প্রতিটি ড্রাইভার এর দায়িত্ব।
তাই বলা যায়,
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা ২০২৫ এ শুধু চাকরির সুযোগ নয্ বরং
প্রবাস জীবনে স্বাধীনতা, মর্যাদা ও নিরাপদ চলাচলের প্রতীক।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত উইকিপিডিয়া,
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%A4
FAQ: কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা সংক্রান্ত সাধারণ (প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন; ১। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে কত খরচ হয়?
উত্তরঃ সাধারণত ২০২৫ সালে ড্রাইভিং ভিসা পেতে ৮০
-১২০ কুয়েতি দিনার (প্রায় ২৮,০০০--৪২,০০০ টাকা) খরচ হয়। খরচ ভিসার
ধরন ও প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
প্রশ্নঃ ২। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য নূন্যতম বয়স
কত?
উত্তরঃ প্রাইভেট লাইসেন্সের জন্য ১৮ বছর এবং পেশাগত
ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর বয়স হতে হবে।
প্রশ্নঃ ৩। ভিসা নবায়ন কত বছরের জন্য করা যায়?
উত্তরঃ প্রথমবার সাধারণত ১ বছরের জন্য দেওয়া হয়। পরে
নবায়নের মাধ্যমে ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত বৈধ করা যায়।
প্রশ্নঃ ৪। ড্রাইভিং ভিসা কি সবাই পেতে পারে?
উত্তরঃ না। কিছু নির্দিষ্ট পেশা(যেমন--ড্রাইভার,
ডেলিভারি ম্যা্ন, কোম্পানির ড্রাইভার) এর জন্য সহজে পাওয়া যায়।
অন্য পেশায় থাকলে নির্দিষ্ট শর্ত যেমন-বেতন, রেসিডেন্স পারমিট ও
শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করতে হয়।
প্রশ্নঃ ৫। ড্রাইভিং ভিসার জন্য কি মেডিকেল টেস্ট
বাধ্যতামূলক?
উত্তরঃ হ্যাঁ। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়। বিশেষ করে
চোখের পরীক্ষা ও সাধারণ ফিটনেস টেস্ট বাধ্যতামূলক।
প্রশ্নঃ ৬। ড্রাইভিং টেস্টে কি দিতে হয়?
উত্তরঃ দুটি পরীক্ষা দিতে হয়-(১) লিখিত/তত্বীয়
পরীক্ষা। (ট্রাফিক আইন, সাইন ইত্যাদি) এবং(২) ব্যবহারিক
পরীক্ষা(গাড়ি চালানোর দক্ষতা)
প্রশ্নঃ ৭। ভিসা নবায়ন না করলে কি হয়?
উত্তরঃ সময় মত নবায়ন না করলে জরিমানা গুণতে
হয়। এবং কিছু ক্ষেত্রে লাইসেন্স বাতিল ও হতে পারে।
সংক্ষেপেঃ কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট
যোগ্যতা কাগজপত্র ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। খর.৮০--১২০
কুয়েতি ডিনার পর্যন্ত হতে পারে এবং নিয়মিত নবায়ন করলেই এটি ১০
বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে।
Call to Action (CTA)
আপনি যদি কুয়েতে কাজ করতে বা দীর্ঘ সময় বসবাস করতে চান, তবে
ড্রাইভিং ভিসা নেওয়া হবে আপনার প্রবাস জীবনের সবচেয়ে কার্যকরী
সিদ্ধান্তগুলোর একটি। এটি শুধু চাকরির সুযোগই বাড়ায় না, বরং
আপনার জীবনকে করে তোলে সহজ নিরাপদ এবং স্বাধীন।
তাই দেরি না করে আজই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন এবং
ড্রাইভিং ভিসার জন্য আবেদন করুন।
আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা সম্পর্কে
জানতে চাইলে এই তথ্যটি তাদের সাথে শেয়ার করুন।
আর যদি এই লেখাটা থেকে উপকৃত হন, তবে নিচে কমেন্টে আপনার মতামত
জানাতে ভুলবেন না।
লেখকের মন্তব্য
কুয়ে ত ড্রাইভিং ভিসার নিয়ে এই লেখাটি তৈরি করার সময় আমার মনে
হয়েছে--প্রবাস জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপই এক ধরনের চ্যালেঞ্জ।
কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জীবনের নতুন সুযোগ আর
সম্ভাবনা।
একজন প্রবাসী যখন ড্রাইভিং ভিসা পান, তখন তিনি শুধু একটি লাইসেন্সই
পান না--পান নিজের পরিশ্রমকে আরেক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার স্বাধীনতা।
পরিবারের জন্য আর ও সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার পথ এবং নিজের জীবনের
স্বপ্নগুলো পূরণের হাতিয়ার।
এই লেখাটি আমি তাদের জন্যই লিখেছি, যারা কুয়েতে নতুন জীবন গড়ার
স্বপ্ন দেখছেন। আশা করি এটি আপনার যাত্রা কে সহজ করবে এবং সামনে
এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগাবে।
আপনাদের ভালোবাসায়
শিউলি ফ্যাশন ব্লগ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url