বাংলাদেশি নারীদের জন্য সেরা অফিস ফ্যাশন টিপস (২০২৫ গাইড)
বাংলাদেশী পেশাজীবী নারীদের জন্য উপযুক্ত অফিস ফ্যাশন নির্বাচন করা আজকের দিনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গরম শীত বা বরষা প্রতিটি ঋতু অনুযায়ী কি ধরনের পোশাক পরা উচিত কোন রঙের ড্রেস অফিসের জন্য মানানসই
কোন ধরনের একসেসরিজ ও জুতা ব্যবহার করবেন এবং কেমন হবে আপনার মেকআপ হেয়ার স্টাইল এইসব কিছুই জানুন একসাথে। এই গাইডে রয়েছে স্টাইলিশ ও প্রফেশনাল লুক ।এই ফ্যাশন টিপস আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
পেজ সূচিপত্রঃ অফিস ফ্যাশন টিপস ২০২৫ গাইড
- বাংলাদেশে অফিস ফ্যাশন টিপস নারীদের জন্য আধুনিক ও প্রফেশনাল গাইড
- অফিসের জন্য উপযুক্ত পোশাক নির্বাচনের নিয়ম
- ঋতু অনুযায়ী অফিস ফ্যাশন টিপস
- ফরমাল পোশাক ট্রেন্ড বজায় রাখার উপায়
- এক্সেসরিজ ও জুতা নির্বাচনে করণীয়
- মেকাপ ও হেয়ারস্টাইলঃঅফিসের মানানসই সাজ
- সাধারণ কিছু ভুল যা এড়িয়ে চলা উচিত
- উপসংহার নিজেকে স্টাইলিশ ও প্রফেশনাল রাখুন
বাংলাদেশে অফিস ফ্যাশন টিপস নারীদের জন্য আধুনিক ও প্রফেশনাল গাইড
বর্তমান সময়ের বাংলাদেশী নারীরা শুধু ঘরের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নন তারা অফিস
ব্যাংক কর্পোরেট বা শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এর ফলে
ফ্যাশনের জগতে এসেছে একটি বড় পরিবর্তন। অফিসে মানানসই পোশাক সাজসজ্জা ও
ব্যক্তিত্ব সবই এখন পেশাগত সাফল্যের অংশ। এই লেখাই আমরা জানবো কিভাবে আধুনিক ও
প্রফেশনাল ফ্যাশন বজায় রেখে একজন নারী অফিসে স্টাইলিশ আত্মবিশ্বাসীর থাকতে
পারেন।
অফিস ফ্যাশন কেন গুরুত্বপূর্ণঃ ফ্যাশন কেবল স্টাইল নয় ব্যক্তিত্ব প্রকাশের
একটি মাধ্যম একজন প্রফেশনাল নারীর পোশাক তার আত্মবিশ্বাস কর্মদক্ষতা এবং সামাজিক
অবস্থানকে তুলে ধরে। তাই অফিসের পরিবেশ উপযোগী পোশাক পরিধান অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
অফিসের জন্য উপযুক্ত পোশাক নির্বাচনের নিয়মঃ পোশাক সরলতা ও শালীনতা ঝলমলে বা
ফ্যাশনেবল পোশাক নয় বরং সহজ পরিপাটি পোশাক নির্বাচন করা উচিত।
পোশাকের রংঃ হালকা ও ছলিড কালার যেমন অফ হোয়াইট হালকা নীল গ্রে বেবিপিং ইত্যাদির
রং অফিসের জন্য উপযোগী।
মাপজোকঃ খুব টাইট বা বেশি ঢিলেঢালা পোশাক এড়িয়ে চলা ভালো। পরিপাটি ফিটিং হওয়া
শ্রেয়।
সিজন অনুযায়ী অফিস ফ্যাশন টিপসঃ
গরমকালঃ
পাতলা কটন বা লিলেন কাপড়
লাইট কালারের সালোয়ার কামিজ
হাফ স্লিভ বা থ্রি কোয়াটার স্লিভ
মেকাপ এ মিনিমাল লুক
শীতকালঃ ব্লেজার বা কার্ডিজ্ঞান
ফল স্লিপ টপ ও সাল
বুট বা ক্লোজড সু
হালকা ময়শ্চারাইজিং মেকআপ
বর্ষাকালঃ
ডার কালারের ড্রেস
স্লিপ প্রুফ স্যান্ডেল
ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ
চুল বাধা রাখা ভালো
ফরমাল পোশাকে ট্রেন্ড বজায় রাখার উপায়ঃ
কুর্তি প্যান্ট বা পালাজো সেট
সলিড কালারের লং কামিজ
স্লিক ডিজাইনের ব্লাউজ বা জ্যাকেট
সাবধানে বেছে নেওয়া প্রিন্ট খুব বড় বা ঝলমলে নয়
অ্যাক্সেসরিজ ও জুতা নির্বাচনে করণীয়ঃ
গয়নাঃ হালকা কানের দুল ছোট চেইন ও হাত ঘড়ি
জুতাঃ ফ্ল্যাট সু-ইটেল হিল বা লোহীল সেন্ডেল
ব্যাগঃ ছোট ও ফরমাল লোকের ব্যাগ
চশমাঃযদি ব্যাবহার করো ফ্রেমটি যেন ক্লাসিক হয়।
অফিসের জন্য মানানসই মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলঃ
মেকআপঃ ন্যাচারাল ফাউন্ডেশন হাল্কা লিপিস্টিক ও মশকরা
হেয়ার স্টাইলঃ বা খোলা চুলে হালকা ঢেউ
নক ও স্কিন কেয়ারঃ পরী পার্টি ও স্কিন রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ কিছু ভুল যা এড়িয়ে চলা উচিতঃ
অতিরিক্ত পারফিউম ব্যবহার
রং চাঙ্গে ও উজ্জ্বল পোশাক
উচ্চ হিল বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে
অতিরিক্ত সাজসজ্জা
রোমান্স কর টি শার্ট বা অফ সোল্ডার ড্রেস
নিজেকে এ স্টাইলিশ ও প্রফেশনাল রাখুনঃ অফিস ফ্যাশন মানে শুধু ভালো দেখানো নয় বরং
নিজের প্রফেশনাল ইমেজ তৈরি করা। একটি স্বচ্ছ ও স্মার্ট লুক আপনার আত্মবিশ্বাস
বাড়ায় এবং সহকর্মীদের মাঝে সাহায্য করে। তাই আপনার পোশাক হোক স্বাচ্ছন্দ
শালীনতা ও আধুনিকতার মিলন।
অফিসের জন্য উপযুক্ত পোশাক নির্বাচনের নিয়ম
পোশাকে শালীনতা ও সরলতা বজায় রাখুনঃ অফিস একটি প্রফেশনাল পরিবেশ যেখানে পোশাকের
মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব ও মনোভাব প্রতিফলিত হয়। তাই খুব বেশি গ্ল্যামারাস বা
পার্টি স্টাইলের পোশাকে পরিহার করে এবং পোশাক বেছে নিন যা দেখতে মার্জিত পরী পটি
এবং পরিধানে স্বচ্ছন্দ বোধ।
যেমন সলিড কালারের কুর্তি ও প্যান্ট
সরল প্রিন্ট এর কামিজ
একরংগা ওভারল্যাপ জ্যাকেট বা ব্লেজার
রং নির্বাচনঃ নরম ও প্রফেশনাল টোন ব্যবহার করুনঃ অতিরিক্ত উজ্জ্বল ঝলমলে বা
ফ্লোরসেন্ট রং অফিসের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই নয়। এর বদলে আপনি হালকা শান্ত রং
ব্যবহার করতে পারেন যা প্রফেশনাল এবং চোখে আরামদায়ক।
উপযুক্ত রং সমূহঃ হালকা নিল অফ হোয়াইট পেস্টেল্ডিং
লাইট গ্রে বিইজ চ হালকা বাদামি
ডার্ক নেভি blu বা ফরেস্ট গ্রিন শীতকালে
পোশাকের কাট ডিজাইন হতে হবে প্রফেশনালঃ পোশাকের কাটিং যেন খুব বেশি ফ্যাশনেবল না
হয় আবার একেবারে সাদামাটা না হয় এই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। ফরমাল কাঠের
পোশাক যেমন সোজা কাঠ ও লাইন বা লংকামী বেশি মানায় অফিসে।
বেছে নিতে পারেনঃ কটন বা লিলেন কুর্তি
স্টেট কাট কামিজ লম্বা লেইশ ওয়ার্ক ছাড়া পালাজো সেট
ফেব্রিক বাছাইঃ স্বাচ্ছন্দ্যই মুখ্যঃ কাপড় বাছাইয়ের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা
যেন সারাদিন অফিসে পড়ে থাকা যায় স্বস্তিতে। গরমকালে পাতলা ও
শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য কাপড় শীতে একটু ভারী ও উষ্ণ কাপড় বেছে নিতে হবে।
উপযুক্ত কাপড়ঃ
গরম কালে কটন মূলমূল লিলেন
শিতে খদ্দর ডিসকাস ব্লেন্ডেড কটন
বর্ষায় সিল ব্লেন্ড বা সেমি সিনথেটিক যা শুকাতে সময় কম নেই।
জামার দৈর্ঘ্য ও হাতাঃ জামা বা স্লিপ লেস কামিজ এড়িয়ে চলাই ভালো। থ্রি
কোয়াটার বা ফুল স্লিপ ও লং কামিজ অফিস পরিবেশে মানানসই ও মর্যাদা সম্পন্ন
দেখায়।
বডি টাইট ও বয়স অনুযায়ী পোশাক বাছাইঃ নিজের শরীরের গঠন এবং বয়স অনুযায়ী
ফ্যাশন বেছে নেওয়ায় পরিকল্পনার পরিচয়। খুব টাইট বা খুব ঢিলেঢালা নয় ফিটিং এমন
হওয়া উচিত যাতে আপনি আত্মবিশ্বাসী বোধ করেন।
পোশাকে ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলুনঃ অফিস পোশাক মানেই একঘেয়ে হবে এমনটা নয়। আপনি
হালকা প্রিন্ট রুচিশীল স্টাইল বা নিজের পছন্দের অরুণ অনুপ্রেরণামূলক রং ব্যবহার
করে আপনার ইউনিক ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে পারেন।
একজন আধুনিক পেশাজীবী নারীর জন্য অফিসের উপযুক্ত পোশাক বেছে নেওয়া মানে। শুধু
ফ্যাশন নয় বরং নিজের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রফেশনালিজম বজায় রাখা। স্মার্ট
ভাবে উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন আপনাকে কর্মক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী ও মর্যাদা
সম্পন্ন করে তুলবে।
ঋতু অনুযায়ী অফিস ফ্যাশন টিপস
বাংলাদেশে ঋতুর ভিন্নতায় আবহাওয়ারও পরিবর্তন ঘটে আর তাই পোশাক নির্বাচনে
পরিবর্তনে না জরুরী। একটি স্মার্ট ও প্রফেশনাল নারী জানেন কিভাবে নিজের স্টাইলকে
ঋতু অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হয়। নিচে গরম কালে শীতকালে ও বর্ষাকালে এই তিনটি
মৌসুম অনুযায়ী দেওয়া হলো
গরমকালের অফিস ফ্যাশনঃ মার্চ-জুলাইঃ আবহাওয়া বৈশিষ্ট্যঃ গরম আদ্রতা
বেশি ঘাম বেশি হয়।
পোশাক নির্বাচন টিপসঃ ফেব্রিকঃ পাতলা কটন লিলেন বা খদ্দর যা ঘাম শোষণ করে ও
আরামদায়ক হয়,
ডিজাইনঃ লুজ ফিট সরল কাঠ যাতে হাওয়া চলাচল ভালো হয়।
রংঃ হালকা রং যেমন সাদা পিঙ্ক
খাতা ও দৈর্ঘ্যঃ থ্রি কোয়াটার স্লিভ বা হাফ স্লিভ এর লম্বা কামিজ ।
স্টাইলিং টিপসঃ হালকা ওজনের ওড়না বা স্কার্ফ
ফ খোলা চুলের বদলে পনিটেল বাবান
মিনিমাল মেকআপ বিবি ক্রিম কাজল লাইট ও লিপস্টিক
স্যান্ডেল বা ওপেন ফ্লাট সু
বর্ষাকালের অফিস ফ্যাশন জুন-সেপ্টেম্বরঃ আবহাওয়া বৈশিষ্ট্যঃ আকস্মিক বৃষ্টি কাদা
ও সেতসেতে পরিবেশ।
পোশাক নির্বাচন টিপসঃ
ফেব্রিকঃ সিনথেটিক ব্লেন্ড সেমি কটন যা সহজে শুকায়ে
ডিজাইনঃ মিডি বা থ্রি কোয়াটার কামিজ যাতে কাদা না লাগে
ঃ রং গারোর রং যেমন নেভি ব্লু গারো সবুজ ডার্ক গ্রে চকলেট
প্রিন্টঃ ছোট ছোট প্রিন্ট বা সলিড কালার ভালো
স্টাইলিং টিপসঃ ওয়াটারপ্রুফ ব্যাগ ও ছোট ছাতা
স্লিপ গ্রুপ জুতা বা বেলি
হালকা ওয়াটারপ্রুফ মেকআপ
চুল বাধা রাখা ভালো বান বা ফিস বোন।
শীতকালের অফিস ফ্যাশন নভেম্বর-ফেব্রুয়ারিঃ আবহাওয়া বৈশিষ্ট্যঃ ঠান্ডা ও
শুষ্ক
ফ্যাব্রিকঃ উল খদ্দর ভিস্কাস কটন
লেয়ারিং শাল সোয়েটার কার্ডিগেনো ব্লেজার
রংঃ ডিপ কালার যেমন মেরুন ডার গ্রীন ব্লাক মেটালিক গ্রে
স্টাইলঃ কুর্তি ট্রাউজার লজো সেট
স্টাইল টিপসঃ লেপটপ ব্যাগের সঙ্গে ম্যাচ করে উলের সাল
লাইট হাইলাইটার ও ময়শ্চারাইজিং মেকআপ
স্টাইলিশ বুট বা লোহীল চু
খোলা চুল বা হালকা কার্ল
টিপস সব ঋতুর জন্যঃ পোশাক যেন সবসময় পরিপাটি ও আয়রন করা থাকে
চশমা ও জুতার সঙ্গে পোশাকের সামঞ্জস্য রাখা
প্রতিটি মৌসুমে আপনার স্কিনের হেয়ার কেয়ার রুটিন আপডেট করুন।
পোশাকের পাশাপাশি মেগা চোখ ব্যবহার প্রফেশনালিজম বজায় রাখুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্যাশন ও আনতে হয় মনুষত্ব ও ভারসাম্য। একজন আধুনিক
অফিসগামী নারী হিসেবে আপনাকে শুধু ট্রেন্ডিং নয়। বরং স্মার্ট আরমদায়ক ও
প্রফেশনাল প্রসাদ বেছে নিতে হবে। সঠিক ফ্যাশনের মাধ্যমে আপনি অফিস হয়ে উঠতে
পারেন আত্মবিশ্বাসী ও অনুপ্রেরণামূলক ব্যক্তিত্ব।
ফরমাল পোশাক ট্রেন্ড বজায় রাখার উপায়
ফরমাল পোশাক পেশাদারিত্ব রুচিশীলতা এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয় বহন করে। তাই সময়ের
সাথে তাল মিলিয়ে ফরমাল পোশাকের ট্রেন্ড বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে এ
বিষয়ে কিছু বিস্তারিত উপায় দেওয়া হলোঃ
আপডেট থাকা ফ্যাশন ট্রেন্ড সম্পর্কেঃ নিয়মিত ফ্যাশন ম্যাগাজিন সোশ্যাল মিডিয়া
এবং ফ্যাশন ব্লগ অনুসরণ করুন
বিভিন্ন সেলিব্রিটি ও কর্পোরেট লুক থেকে অনুপ্রেরণা নিন
আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ব্র্যান্ডের ফরমাল কালেকশন লক্ষ্য করুন।
বেসিক অথচ স্টাইলিশ পোশাক নির্বাচনঃ ফরমাল পোশাকে সাধারণ রঙ যেমন নেভি ব্লু
ব্ল্যাক হোয়াইট গ্রে প্রাধান্য দিন।
ক্লাসিক ব্লেজার ড্রেস শার্ট স্লিম ফিট ট্রাউজার এবং লেদার জুতা সব সময়
ট্রেনে থাকে।
সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট একটি টাইমলেস কম্বিনেশন।
ফেব্রিক ও কাটিংগে আধুনিকতাঃ আরামদায়ক এবং মানসম্পন্ন ফেব্রিক যেমন কটন লিলেন উল
বেছে নিন,
স্লিম ফিট বা tailord card বর্তমানে বেশি জনপ্রিয়।
ওভার সাইজড নয় শরীর অনুযায়ী ফিট হওয়া দরকার
এক্সেসরিজের স্মার্ট ব্যবহারঃ তাই বেল্ট হাত ঘড়ি কাফিলিং এবং পকেট স্কয়ার
ব্যবহার করে আধুনিকতা যোগ করুন।
গলাটাই বা লিঙ্কটাই বর্তমানে ফ্যাশনে বেশি ব্যবহৃত।
ড্রেস জুতার সঙ্গে ম্যাচিং বেল্ট রাখুন
পরিস্কার ও পরিপাটি ভাব বজায় রাখাঃ জামা কাপড় পরিষ্কার করার থাকতে হবে।
জুতা পালিশ করা ও নক চুল পরিচর্যা করা জরুরী
বয়স পেশা ও পরিবেশ অনুযায়ী পোশাক নির্বাচনঃ ফরমাল পোশাক বেছে নিতে হবে ইভেন্ট
বা অফিস কালচারের ভিত্তিতে।
বয়স ও মর্যাদার সঙ্গে সমাজের চোখে পোশাক পরা উচিত
বছরের বিভিন্ন ঋতু অনুসারে পোশাকে পরিবর্তন আনাঃ গ্রীষ্মকালে হালকা রঙের ও পাতলা
ফেব্রিকের পোশাক
শীতকালে সোয়েটার বা-ব্লেজার বা ট্রেঞ্চ কোট যুক্ত করুন।
এক্সেসরিজ ও জুতা নির্বাচনে করণীয়
একটি ফরমাল বা স্মার্ট লোক শুধুমাত্র পোশাক দিয়ে সম্পন্ন হয় না এক্সেসরিজ ও
জুতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিক অ্যাক্সেসরিজ ও জুতা বেছে নিতে জেনে নেওয়া
যাক কিছু করণীয় বিষয়। যেমন
টাই ও বো-তাই নির্বাচনঃ টাই এর রং ও ডিজাইনঃ ৬০ বা সুটের রং এর সঙ্গে
কন্টাস্ট রেখে তাই বেছে নিন। সলিড কালার হালকা স্প্রাইট বা মিনিমাল ডিজাইন সব
সময় ফরমাল।
পেটোরিয়ালঃ কটন বা উল টাই ফরমান লুকে মানায়।
বো-টাইঃ সাধারণত ইভনিং পার্টি বা ফর্মাল ডিনারে ব্যবহার হয়।
বেল্ট নির্বাচনঃ চামড়ার বেল্টঃ অফিস বা মিটিং এর জন্য চামড়ার বেল্ট শ্রেষ্ঠ।
কালো ও বাদামী রং সব থেকে বহুল ব্যবহৃত।
জুতা ও বেল্টের মিলঃ সব সময় রাখতে হবে
বাকল ডিজাইনঃ সিম্পল স্লিম ও ক্লাসিক বাকল বেছে নেওয়া ভালো
হাত ঘড়িঃ ড্রেস ওয়াচঃ ফরমাল পোশাকে পাতলা ও ক্লিন ডিজাইনের ঘড়ি বেছে নিন।
চামড়ার স্ট্র্যাপ বা ধাতব স্ট্র্যাপ চলতে পারে।
কালারঃ সিলভার বা গোল্ডেন ঘড়ি ফরমান লুকের সঙ্গে ভালো মানায়।
কাফলিং বা ন্যাপেল পিনঃক্যাফ্লিংঃ ডাবল কাপ শার্টের সাথে ব্যবহৃত হয়। এটাতে
ব্যক্তিত্বের পরিপক্কতা প্রকাশ পায়। নেপেল পিনঃ ছুটের কলারে ছোট পিন বা ফুল
ফরমাল ইভেন্ট স্টাইলে যোগ করে।
পকেট স্কয়ারঃ ব্যবহারঃ ব্লেজারের বাম পাশের পকেটের রাখা হয়। এটি রং বা ডিজাইনে
ট্রায়ের সঙ্গে মিলতে পারে তবে হুবহু একই হওয়া জরুরী নয়।
ফোল্ডিং স্টাইলঃ ক্লাসিক স্প্রেইট ফোল্ড বা পাফ হোল্ড
সবচেয়ে প্রচলিত।
জুতা নির্বাচনে করণীয়ঃ জুতার ধরনঃ অক্সফোর্ডঃ সবচেয়ে ফরমাল। অফিস
সাক্ষাৎকার কর্পোরেট ইভেন্ট আদর্শ।
ডার্বিঃ তুলনামূলক ক্যাজুয়াল তবে ফরমাল পোশাকে মানানসই
লোফারঃ আধুনিক এবং আরামদায়ক ফরমান অপশন।
জুতার রংঃ কালো সর্বজন গ্রাহ্য ফরমাল রং। ইন্টারভিউ অফিস মিটিং এ perfect।
বাদামীঃ স্মার্ট ক্যাজুয়াল ও ফরমাল ২ জায়গাতেই চলে। হালকা রঙের স্যুট বা
ব্রাউজারের সাথে মানায়।
জুতার পরিচর্যাঃ নিয়মিত পালিশ করুন।
সঠিক আকারের জুতা পড়ুন না হলে আরামদায়ক না হয়ে লুল নষ্ট হতে পারে
মৌজা নির্বাচনঃ ফরমাল ড্রেসে পাতলা ও এক রঙ্গা মোজা পড়া শ্রেয়
জারের রঙের সাথে সামঞ্জস্য রাখুন।
এই নির্দেশনা গুলো মানলে আপনি সহজেই একটি পরিপাটি আধুনিক ও স্টাইলিশ ফরমান
লোক বজায় রাখতে পারবেন। একজন রুচিশীল ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলার
জন্য পোশাকের পাশাপাশি 1000 ও জুতার সঠিক নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করে
তুলে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শুধু ফ্যাশন ফলো করলেই হবে না মনে
রাখবেন সাজগোজ নয় পরিপাটি হওয়ায় সত্যিকারের স্টাইল।
মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলঃ অফিসের মানানসই সাজ
অফিস মানানসই মেকাপ ও হেয়ারস্টাইলের মূল মন্ত্র হলো পরি পার্টি প্রফেশনাল এবং
ন্যাচারাল লুক বজায় রাখা। নিচে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
মেকআপ অফিসের জন্য উপযুক্ত সাজঃ বেস মেকআপ ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমার
মেকাপের আগে হালকা মশ্চারাইজার ও প্রাইমার ব্যবহার করুন যাতে মেকাপ দীর্ঘস্থায়ী
হয়।
বিবি ক্রিম/লাইট ফাউন্ডেশনঃ ভাবি ফাউন্ডেশন এর পরিবর্তে হালকা বিবি/সিসি ক্রিম বা
সিয়ার ফাউন্ডেশন এর ব্যবহার করুন।
চোখের সাঁজ
আইশ্যাডো নুড পিচ লাইট গ্রাউন্ড বা সফট গোল্ডেন সেট ব্যবহার করুন।
আইলাইনারঃ পাতলা লাইন দিন খুব মোটা বা ড্রামাটিক উইং এড়িয়ে চলুন।
মাশকারাঃ একবার দুই কোট ন্যাচারাল মশকারা লাগান যেন চোখ খোলা ও সতেজ দেখায়।
ঠোঁটের সাজঃ
লিপস্টিকঃ সফট পিঙ্ক নুড কোরাল বা মভ শেড বেছে নিন
লিপগ্লসঃ ইচ্ছে হলে হালকা গ্লোসি লুপ ব্যবহার করতে পারেন তবে অতিরিক্ত উজ্জ্বল
নয়।।
ব্লাশ ও কনটুরঃ
ব্ল্যাশঃ হালকা পিচ বা গোলাপি ব্লাশ ব্যবহার করুন গালের উঁচু অংশে।
কোন টুর ও হাইলাইটারঃ খুব শুকনোভাবে লাগান যেন ন্যাচারাল লাগে দ্রষ্টব্য এগুলো
বাদু দিতে পারেন।
হেয়ারস্টাইলঃ অফিস মানানসই চুলের সাজঃ সোজা বা ন্যাচারাল হেয়ারঃ হালকা
এস্টেট করা বা ন্যাচারাল ওয়েভ রাখলে স্মার্ট লুক আসে।
চুল মুখের উপর পড়ে না এমন ভাবে সেট করুন।
অনি টেন বাবান খোপাঃ, লোবা:/লো পনিটেইল পরিপাটি ও প্রফেশনাল সামনের চুলগুলো হালকা
সেট করে বাধা যায
হাই পনিটেইলঃ সহজ সহজ দেয় বিশেষ করে গরম কালে
হাফ আপহেয়ার স্টাইলঃ সামনের কিছু চুল পিছনে পিন করে বা ব্র্যান্ড দিয়ে
আটকান
অফিসের জন্য উপযুক্ত এর রুচিশীল দেখায়
ব্রেইট ভাবেনিঃ নিখুঁত করে গাঁথা একটি স্লিপ ব্লেড খুব প্রফেশনাল লুক দেয়
ঐতিহ্যবাহী পোশাকের সঙ্গে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ চুল পরিষ্কার কোমর ছাড়িয়ে গেলে বাধা রাখা ভালো
এক্সট্রা হেয়ার এক্সেসরিজ চকচকে ক্লিপ রঙ্গিন ব্যান্ড এড়িয়ে চলুন
ঘাম বা তেল যুক্ত ত্বক বজায় রাখতে ব্লোটিং পেপার বা পাউডার রাখুন বেগে
অফিস মানানসই সাজ বলতে বোঝায় এমন একটি লুক যা আপনার ব্যক্তিত্বকে উজ্জ্বল করে
আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং পেশাদার ভাব বজায় রাখে। তাই মেকাপের বাড়াবাড়ি নয়
হেয়ার স্টাইলে ঝাঁকা ঝাক্কি নয় নির্ভর পরিষ্কার আর পরিপাটি এই হোক আপনার অফিস
লুকের পরিচয়।
সাধারণ কিছু ভুল যা এড়িয়ে চলা উচিত
নিচে কিছু সাধারণ ভুল দেওয়া হল যেগুলো আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এড়িয়ে
চলা উচিত।
অন্যকে অনুকরণ করাঃ নিজেকে অপেক্ষা করে সব সময় অন্যের মতো হতে চাওয়াই একটি বড়
ভুল। নিজের সক্রিয়তা এবং যোগ্যতাই আপনাকে সফল করতে পারে।
সময় নষ্ট করাঃ অপ্রয়োজনীয় কাজের সময় নষ্ট করা যেমন ঘন ঘন সোশ্যাল মিডিয়ায়
সময় কাটানো পরিকল্পনা ছাড়া দিন পার করা ব্যক্তিগত উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে
দাঁড়ায়।
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বা আত্মবিশ্বাসের অভাবঃ কাজে আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো কিন্তু
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বা ভয় পাওয়ার মতো অনাথ থাক দুটোই ক্ষতিকর।
ভুল স্বীকার না করাঃ ভুল করলে তার স্বীকার করা এবং সেই কাজ জরুরী। নিজের ভুল
থাকতে গেলে ভবিষ্যতে আরো বড় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
স্বাস্থ্য অপেক্ষা করাঃ শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেওয়া অনিয়মিত ঘুম
ভুল খাদ্যাভাস সবাই জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আর্থিক অদূর দর্শিতাঃ সবচেয়ে আগে সঞ্চয় না করা বাজেট ছাড়া চলা বা
ঋণগ্রস্ত হওয়া এড়ানো উচিত।
ছোট বিষয় নিয়ে বেশি ভাবাঃ অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে
বড়লোককে পৌঁছানো কঠিন হয়।
নেতিবাচক মানুষের সংঘঃ সবসময়ই অভিযোগ করে এমন অনুপ্রেরণা না দেওয়া মানুষের
সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত।
উপসংহারঃ নিজেকে স্টাইলিশ ও প্রফেশনাল রাখুন
আমাদের ব্যক্তিগত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হল আমাদের স্টাইল ও প্রফেশনাল আচরণ।
আপনি যেখানেই থাকুন না কেন অফিস মিটিং বা সোশ্যাল ইভেন্ট নিজেকে পরিপাটি স্মার্ট
ও প্রযুশনালি উপস্থাপন করা আমাদের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ায় তেমনি অন্যদের
চোখে আপনার গ্ক্যারহন যোগ্রিযতায়ারের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেখে আপনার
গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।
অপরিচ্ছন্ন পোশাক ও অব্যবস্থাপনা এড়িয়ে চলুনঃ আপনার পোশাকই আপনার প্রথম
ইম্প্রেশন তৈরি করে।
কাপড় পড়ার আগে আয়রন করুন।
জামার বোতাম ও জুতার অবস্থা ঠিক রাখুন
নিজের স্টাইলের সঙ্গে পেশাগত পরিবেশের সমঞ্জস্য রাখুন
অতিরিক্ত ফ্যাশন না করে ব্যালেন্স বজায় রাখুনঃ অফিস বা প্রফেশনাল জায়গায়
অতিরিক্ত মেকআপ ঝলমলে পোশাক বা গহনা পরিহার করুন।
এবং এলিগেন্ট ফ্যাশন সবসময় ভালো ইম্প্রেশন তৈরি করে।
কালার কম্বিনেশন ও ফেব্রিকের মানে সচেতন হন
আচরণে প্রফেশনালিজম বজায় রাখুনঃ সময়নিষ্ঠতা বজায় রাখুন
মনোযোগ দিন এবং ফোন সাইলেন্ট রাখুন
ব্যবহার করুন সৌজন্যমূলক ভাষা ও হাসিমুখ
নিজের শরীরের যত্ন নিনঃ স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে আপনি যত সুন্দর পোশাকেই পড়ুন
আত্মবিশ্বাস আসবেনা
নিয়মিত ঘুম ও ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস বজায় রাখুন
।
অপেশাদার অভ্যাস গুলো পরিহার করুনঃ কাজের জায়গায় গ্রোসিপ করা উচ্চস্বরে কথা বলা
কিংবা অন্যের সমালোচনা করা এড়িয়ে চলুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত ব্যাপার অতিরিক্ত প্রকাশক প্রফেশনাল ইমেজ নষ্ট করতে
পারে
নিজেকে আপডেট রাখুনঃ ফ্যাশন ও প্রফেশনাল ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন
নতুন স্কিল শেখার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান।
উপসংহার মানে শুধু বাজে সৌন্দর্য বজায় রাখা নয় বরং নিজেকে একজন পরিপূর্ণ
আত্মবিশ্বাসী ও প্রফেশনাল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। আপনি যখন নিজের স্টাইলেও
আচরণ ভারসাম্য আনেন তখন আপনি শুধু ভালো দেখাতে নয় বরং একজন সফল ব্যক্তি হয়ে
ওঠেন
পরিশেষে নিজেকে সাজান নিজের মতো করে তবে ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন। তাহলেই হবেন সত্যি
কারের স্টাইলিশ ও প্রফেশনাল। এটি আপনার ব্যক্তিদের প্রকাশ। সচেতন হন প্রফেশনাল
হন। স্টাইল হোক শালীন প্রফেশনাল হোক প্রাণবন্ত ২ এর মিলনেই আপনি হয়ে উঠবেন
অনন্য। আজ থেকেই শুরু করুন নিজেকে বদলানো। কারণ আপনি যোগ্য একজন স্টাইলিশ এবং
প্রফেশনাল মানুষ হওয়... শেষ কথা একটাই নিজেকে ভালোবাসুন সম্মান করুন এবং নিজের
সর্বোচ্চটা তুলে ধরুন প্রতিটি দিনে। আমার এই অফিস ফ্যাশন টিপসের মধ্যে আপনাদের
কোন টপিকটি ভালো লেগেছে সেই টপিক নিয়ে মন্তব্য করবেন এবং লাইক কমেন্ট দিবেন আর
পরিচিতদের মাঝে জানিয়ে দিবেন
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url