চুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায় ৭টি
চুল পড়া রোধ করতে চান জেনে নিনচুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায় যা সহজ নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক। আজকাল চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।.নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যায়।
কারণ আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব পড়ে। বাজারের নানা ধরনের পণ্য পাওয়া গেলেও অনেকেই ঘরোয়া সমাধানে আস্থা রাখেন। এই পোস্টে আমরা জানবো চুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যা বাস্তবে কার্যকর হবে
পোস্ট সূচিপত্রঃ চুল পড়া রোধের ঘরোয়া উপায় ৭টি
- নারকেল তেল ও আমলকি মিশ্রণ
- পেঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন
- মেথি বীজের পেস্ট বানিয়ে চুলের যত্ন
- এলোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করা
- গ্রিন টি রিন্স চুলের যত্নে অসাধারন
- ডিমের হেয়ারমাক্স দিয়ে চুলের যত্ন
- সঠিক খাদ্যাভাস নিয়মিত করা
নারকেল তেল ও আমলকি মিশ্রণ
নারকেল তেল ও আমলকি মিশ্রণ চুল পড়া রোধের এক অসাধারণ ঘরোয়া সমাধান। নারকেল
তেল ও আমলকি দুইটি উপাদানই চুলের যত্নে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। এই দুইটি
একসাথে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ, খুশকি দূরীকরণ এবং চুলের গোড়া মজবুত করার
মত বহু প্রকার মেলে।। প্রাকৃতিক সমাধানে বিশ্বাস করেন, তাদের জন্য এটি একটি
কার্যকর ও সহজ সমাধান।
চুল পড়া রোধে উপকারিতা আমলকির ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট নারকেল তেলের
খ্যাতি এসিডের সঙ্গে মিলে চুলের গোড়া শক্ত করে। খুশকি দূর করে, আমলকির এন্টি
ব্যাকটেরিয়াল গুণ খুশকির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।, রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে
চুল গজাতে সাহায্য করে।
চুলের ব্যবহার পদ্ধতিঃ ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, সঙ্গে এক টেবিল চামচ শুকনা
আমলকির গুঁড়ো বা কুচানো টাটকা আমলকি। একটি পাত্রে নারকেল তেল হালকা গরম করুন।
তাতে আমলকি যোগ করুন ও ৫ মিনিট নার... ঠান্ডা হলে তেলটি ছেকে নিন। সেই তেল
স্কেলপে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। অন্তত ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন রাতভর
রাখলেও ভালো ফল পাওয়া যা... সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন।
চাইলে এই মিশ্রণে পেঁয়াজের রস বা মেথি গুঁড়ো মিশানো যেতে পারে। অর্গানিক
নারকেল তেল ব্যবহার করলে ফল আরো ভালো হয়। আমলকি যদি টাটকা না পাওয়া যায়,
তাহলে বাজারে পাওয়া আমলকি পাউডার ব্যবহার করা যাবে।
পিঁয়াজের রস দিয়ে চুলের যত্ন
পেঁয়াজের রস দিয়ে চুল পড়া রোধ ও চুলের যত্নের ঘরোয়া উপায়। পেঁয়াজের রস
কিভাবে চুল পড়া কমায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তা জানুন। চুল ঘন ও
স্বাস্থ্যবান করতে আজই ব্যবহার করুন এই প্রাকৃতিক সমাধান। পেঁয়াজের রস দিয়ে
চুলের যত্ন কার্যকর ঘরোয়া সমাধান। পেঁয়াজের রস চুলের জন্য খুবই উপকারী।
পিঁয়াজে থাকা সালফার চুলের ফলিকন পুনর্গঠন করে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
স্কেলপের জীবাণু ধ্বংস করে খুশকি ও চুল পড়া কমায়। পেঁয়াজের রস কিভাবে তৈরি ও
ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নেই।
একটি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ
তোলা বা স্প্রে বোতল
ছাকনি বা কাপড়
পেঁয়াজ কুচি করে ব্লেন্ড করুন। পাতলা কাপড় ছাঁকনি দিয়ে রস ছেঁকে নিন। স্প্রে
বোতল ভরে নিন অথবা তুলো ব্যবহার করুন। ব্যবহারের জন্য ভালোভাবে ম্যাসাজ করে
পেঁয়াজের রস লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। মাইন্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
প্রথমবার ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করুন, গন্ধ দূর করতে ব্যবহার করুন লেবুর
রস বা গোলাপজল। সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার না করাই ভালো। অতিরিক্ত ব্যবহার করলে
চুল রুক্ষ্ন হতে পারে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা ও ফলাফল অনেকেই এক মাসের মধ্যে
নতুন চুল গজাতে দেখেছেন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘন ও মজবুত হয়। যারা চুল পড়া
নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য এটি একটি কার্যকর ঘরোয়া উপায়।
মেথি বীজের পেস্ট বানিয়ে চুলের যত্ন
মেথি বীজের পেস্ট বানিয়ে চুলের যত্ন প্রাকৃতিক সমাধানে চুল পড়া ও খুশকি
নিয়ন্ত্রণ। মেথি বীজে রয়েছে প্রোটিন, আইর্ন, ভিটামিন সি লেসিথিন ও এন্টি
অক্সিডেন্ট যা মাথার তা চুলের গোড়ার জন্য খুবই উপকারী। চুল পড়া রোধ করে, নতুন
চুল গজাতে সাহায্য কর্ খুশকি দূর করে, চুলকে মসৃণ উজ্জ্বল কর্ স্কেলপে রক্ত
সঞ্চালন বাড়ায়।
পেস্ট তৈরি করার পদ্ধতিঃ দুই থেকে তিন টেবিল চামচ মেথি বীজ লাগবে, কিছু মেথি
পানিতে ভি যাবেন। মেথি বীজ আট থেকে 12 ঘন্টা বা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে ভেজানো ম্যাথি বিষ ব্লেন্ডারি দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে
নিন। চাইলে এতে এক চামচ দই বা নারকেল তেল
মিশিয়ে নিতে পারেন।
কিভাবে চুলে ব্যবহার করবেনঃ মাথার ত্বক এবং চুলের গোড়ায় পেজটি ভালোভাবে
লাগান। 30 থেকে 45 মিনিট রাখুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেল।সপ্তাহে এভাবে
এক থেকে দুই বার ব্যবহার করুন। এ এর উপকারিতা মাত্র কয়েক সপ্তাহে চুল পড়া কমে
যাবে। চুল ঘন ও স্বাস্থ্যবান দেখাবে, চুলে প্রাকৃতিক মসৃণতা নিয়ে আসবে।
ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুনঃ প্রথম বার ব্যবহার করার আগে চুলের
ছোট্ট একটি অংশে পেস্ট লাগিয়ে এলার্জি আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখুন।,
অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চুল শুষ্ক হতে পারে তাই সপ্তাহে দুই বারের বেশি ব্যবহার
না করাই বেশি ভালো। ঘরোয়াভাবে চুলের মাক্স রেসিপি। মেথি+ দই মার্কস। খুশকি দূর
করে, চুল নরম ও ঝলমলে করে।
মেথি+ নারকেল তেল মাখ চুল পড়া রোধ করে। স্ক্যাল্পে হাইড্রেট করে।
মেথি+ এলোভেরা জেল মাক মাথার ত্বক ঠান্ডা করে ও চুলে সাইন ভাব নিয়ে আসে।মেথি
বীজ একটি সহজলভ্য কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর উপাদানে যা চুলের যত্নে দারুন কাজ
করে। কেমিক্যাল নয়, চুলের সমস্যার সমাধান করতে চাইলে মেথি বীজের টেস্ট হতে
পারে আপনার অন্যতম ভরসা।
এলোভেরা জেল চুলে ব্যবহার করা
অ্যালোভেরা জেল চুলে ব্যবহার প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে অ্যালোভেরা জেল
এর পুষ্টিগুণ. অ্যালোভেরা জেলে আছে ভিটামিন এ,সি ,ই. ভিটামিন বি ১২,, এনজাইম ও
মিনারেল যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়., চুলে এলোভেরা
ব্যবহারের উপকারিতা চুল পড়া কমায় নিয়ন্ত্রণ করে, এসক্যাল ঠান্ডা রাখে ও
চুলের গোড়ায় আদ্রতা বজায় রাখে.। চুল মসৃণ চক চকে করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য
করে।
চুলে এলোভেরা জেল কিভাবে ব্যবহার করবেন তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে ভিতরের জেল
বের করে নিন। তারপর সরাসরি মাথার ত্বকেও চুলে ভালোভাবে লাগান। 30 থেকে 40 মিনিট
রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
চাইলে বাজারের প্রাকৃতিক অর্গানিক এলোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজে
রেখে ঠান্ডা করে নিলে স্ক্যাল্পে আরামদায়ক লাগে। আর ঘরোয়া হিয়ারম্যান
অ্যালোভেরা ও নারকেল তেল মা খ চুল নরম ও হাইড্রেট রাখে। এলোভেরা ও মেথি পেস্ট
মার্ক চুল পড়া ও খুশকি রোধ করে। এলোভেরা ও ডিম মাছ প্রোটিন ট্রিটমেন্ট ও চুল
ঘন ও শক্ত করে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের সর্তকতাঃ প্রথমবার ব্যবহারের আগে স্কিন টেস্ট করে নিন।
কাঁচা জেল ব্যবহারের পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন, নতুবা চুলে ১৮ ভাব থাকতে পারে।
অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কিছু ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প শুষ্ক লাগতে পারে। এলোভেরা
জেল হল প্রাকৃতিক এক আশ্চর্য উপাদান যা চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
নিয়মিত এই এলোভেরার ব্যবহার করলে চুল হবে স্বাস্থ্যবান ঝলমলে
ও প্রাণবন্ত।
গ্রিন টি রিন্স চুলের যত্নে অসাধারণ
গ্রিন টি রিন্স চুলের যত্নে এক অসাধারণ প্রাকৃতিক উপায়। গ্রিন টির পুষ্টিগুণ
রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন বি ২বি ৩ ও সি ক্যাফে ইন, এমিনো এসি্
এইসব উপাদান চুলের গোড়া শক্ত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং খুশকি রোদে সহায়তা
করে। চুলের যত্নে গ্রিনটি রিন্স চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে, মাথার ত্বক
পরিষ্কার রাখ্ খুশকি কমায়, চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং চুল থেকে মসৃণ নরম
চকচকে হয়।
গ্রিন টি রিন্স তৈরীর সহজ পদ্ধতি দুই থেকে তিনটি গ্রিন টি ব্যাগ বা ২-৪ চামচ
গ্রিন টির পাতা লাগবে, দুই কাপ গরম পান্ গরম পানি পাতা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট
ভিজিয়ে রাখুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেকে নিন। চাইলে দুই থেকে তিন ফোটা লেবুর রস
ভিনেগার মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনার মাথায় অতিরিক্ত খুশকি থাকে।
চুলে ব্যবহার করার নিয়ম শ্যাম্পু করার পর চুলে ধীরে ধীরে গ্রিন টি ঢালুন।
তারপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট রেখে দিন। চাইলে ধুয়ে ফেলতে পারেন বা এমনিও রেখে
দিতেও পার... সপ্তাহে এটি দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। এর উপকারিতা চুলের গোড়া
শক্ত হয় অতিরিক্ত তেল ময়লা দূর হয়।স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়া বা ইনফেকশন
প্রতিরোধ করে। চুল হয়ে ওঠে মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
কারা ব্যবহার করবেন, আর কারা ব্যবহার করবেন নাঃ
যাদের চুল পড়ে যায়্
যাদের চুল রুক্ষ বা প্রাণহীন
যাদের খুশকির সমস্যা আছে
আর কারা এড়িয়ে চলবেনঃ
যদি গ্রিনটি বা ক্যাসিনে এলার্জি থাকে
চুলে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করানো হলে ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
ঘরোয়া হেয়ার রিন্স রেসিপিঃ গ্রিন টি+ লেবুর রস রিন্স খুশকি ও চুলের দুর্গন্ধ
দূর করে। গ্রিন টি+ অ্যালোভেরা রিন্স চুল হাইড্রেট করে ও স্কেল ঠান্ডা রাখে।
গ্রিন টি+ রোজ ওয়াটার রিন্স চুলে মিস্টি ঘ্রাণ ও মসৃণতা বাড়ায়।
প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চাইলে গ্রিন টি রিন্স হতে পারে এক
দারুন বিকল্প। নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি চুলে দেখতে পাবেন চোখে পড়ার মতো
পরিবর্তন।
ডিমের হেয়ার মাক্স দিয়ে চুলের যত্ন
ডিমের হেয়ারমাক্স দিয়ে চুলের যত্ন প্রাকৃতিক প্রোটিনে ফিরে পান চুলের প্রাণ।
ডিমের পুষ্টিগুণ থাকে প্রোটিন চুলের গঠনের মূল উপাদান। বায়োটিন থাকে পুষ্টিগুণ
হিসাবে ভিটামিন এ ডি... ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সালফার এসিড এই উপাদান গুলো
চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
উপকারিতাঃ চুলে প্রোটিন জুগাই, খুশকি ও ইস্কেল্পের ড্রাইনেস কমায্ চুলে, শাইন
ও ঘনত্ব বাড়ায়। রুক্ষতা রুক্ষতা দূর করে, চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
ডিমের হেয়ারমাক্স তৈরির পদ্ধতিতে যা যা লাগবে সেটি হল, এক থেকে দুইটি ডিম
চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়্ এক চা চামচ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল। এক চা চামচ
দই, একটি বাটিতে ডিম ফাটিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। তারপর তেল ও দই মিশিয়ে
একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিন। কারণ গন্ধ কমানোর জন্য।
ব্যবহারের নিয়মঃ মিশ্রণটি মাথার তকো চুলে ভালোভাবে লাগান।। বিশ থেকে ত্রিশ
মিনিট রাখুন। ঠান্ডা পানি ও মাইন্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত
একবার ব্যবহার করুন।। ডিমের হেয়ার ম্যাক্স এর ঘরোয়া ভাবে ডিম ও মধু ও অলিভ
ওয়েল মা শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য উপকারে আ্সে। ডিম ও অ্যালোভেরা খুশকি
দূর করে ও চুলে সাইন ভাব নিয়ে আসে। ডিম ও কলা মাছ অতিরিক্ত রুক্ষতা কমিয়ে চুল
করে মোলায়েম।
ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বনঃ কখনোই গরম পানি দিয়ে ডিমের মাক্স ডুবেন
না, এতে ডিম জমে যেতে পারে। ডিমে এলার্জি থাকলে ব্যবহার করা যাবে না। অতিরিক্ত
ব্যবহারে চুল তেল তেলে বা ভারি রাখতে পারে। চুলে প্রাণ ফেরাতে চাইলে ঘরোয়া ও
সস্তা উপায়ে ডিমের হেয়ার মাংস হতে পারে।, মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত করা
সঠিক খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত করা সুস্থ জীবনের জন্য প্রথম ধাপ মানে হল এমন একটি
খাওয়ার রুটিন, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং শরীর ও মনের
সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে ভারসাম্যপূর্ণ খাবার, নির্দিষ্ট সময়ে
খাওয়া এবং পরিমাণ মতো জলপান অন্তর্ভুক্ত।
কেন নিয়মিত খাদ্যাভাস গুরুত্বপূর্ণঃ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন
নিয়ন্ত্রণে রাখ্ শরীরকে কর্মক্ষম রাখে, ত্বক চুল সুন্দর রাখ,খে হজম শক্তি
উন্নত করে ও মনোযোগ ও মনের শান্তি বজায় রাখে।্ প্রতিদিন রাখুন মেনুতে,
পানি পান করুন দিনে অন্তত 8 থেকে 10 গ্লাস অতিরিক্ত চিনি ও লবণ এড়িয়ে চলুন,
প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খা্ ধীরে ও সচেতন ভাবে খাওয়া অভ্যাস করুন।
কোন খাবার গুলো নিয়মিত খাবেনঃ শাকসবজি পালং শাক মেথি লাউ ইত্যাদি, তাজা ফল
আমলকি কমলা আপেল ডাল ও মাছ বাদামী শস্য লাল চাল ওঠস চিরা যেসব খাবার
এড়িয়ে চলা উচিত যেমন ফাস্টফুডের খাবার ও জাঙ্ক ফুড। অতিরিক্ত তেল বা
ভাজাপোড়া খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্ক ও চিনি মেশানো পানিয়, কৃত্রিম খাবার রং ও
সংরক্ষণকারি পদার্থ।
খাদ্যাভাসে সচেতনতার অভাবের ক্ষতিঃ ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা, ডায়াবেটি্ উচ্চ
রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি। হজমের সমস্যা, ত্বকে ব্রণ ও এলার্জ্ দুর্বলতা ও
মনোযোগের ঘাটতি। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য সঠিক খাদ্যাভাস শুধু দরকারি নয়, এটি
একান্ত অপরিহার্য। ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি তৈরি করতে পারেন এমন একটি
রুটিন্ যা আপনার শরীর মন এবং জীবনের গুণগত মান উন্নত করবে।
পরিশেষে আমি এই ব্লগে সাতটি টপিক নিয়ে লিখেছি খাবারের খাদ্যাভাস চুলের যত্ন
কিভাবে নিতে হবে যে কোন একটি টপিক কে আপনারা মন্তব্য করতে পারেন যদি ভুল হয়
কিভাবে করলে বা লিখলে আরো ভালো হবে সে সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই মন্তব্য করবেন।
আর যদি আমার এই লেখা আপনাদের কাছে ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট করবেন ও
পরিচিতি অথবা বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দিবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url